ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

সীতাকুণ্ডে স্কুলছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ পুলিশ কনস্টেবলের

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
সীতাকুণ্ডে স্কুলছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ পুলিশ কনস্টেবলের

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ শেষে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে ভুক্তভোগি ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসদরের দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাঙামাটিতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মোঃ শাহাদাত ইসলাম সম্রাট (২২) তার প্রতিবেশি এক ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এরপর গত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে ছুটিতে এসে ছাত্রীটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। সম্প্রতি এ বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবার জানার পর কনস্টেবল সম্রাটকে তাদের মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এক পর্যায়ে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে গত সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। 

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করেছে মর্মে তার মা মামলা দায়ের করেছে।

আমরা মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাব এবং আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য
মহেশপুর

কৃষকের ২ বিঘা জমির ড্রাগন গাছ কাটল দুর্বৃত্তরা

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
কৃষকের ২ বিঘা জমির ড্রাগন গাছ কাটল দুর্বৃত্তরা
সংগৃহীত ছবি

পূর্ব শত্রুতার জেরে ঝিনাইদহের মহেশপুরে কৃষকের প্রায় ছয় হাজার ড্রাগন গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে  বোয়ালে গ্রামের মাঠে এই ঘটনা ঘটে। 
 
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম লিয়াকত আলি সে পৌর এলাকার বোয়ালে গ্রামের বাসিন্দা। ফল-ফসলের এমন ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে মিশ্র প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

 

আরো পড়ুন
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা

 

বোয়ালে গ্রামের স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের মাঠে কৃষক লিয়াকত আলী দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করেছিলেন। কিছুদিন আগে বাগান থেকে কিছু ড্রাগন ফলও বিক্রি করেছেন। রাতের আঁধারে ড্রাগন গাছ গুলো গোঁড়া থেকে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

আরো পড়ুন
প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

 

আজ শনিবার সকালে মাঠে গিয়ে গাছগুলো কাটা অবস্থায় দেখতে পান কৃষকরা।

 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানি না। ফসলের সঙ্গে কেন এমন শত্রুতা, কোন মানুষ এমন ক্ষতি করতে পারে, আমি এ ঘটনার আইনের আশ্রয় নেব। 

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, এরকম ফসলহানির ঘটনা জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।

ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

মন্তব্য

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৮ বস্তা টাকা
ছবি: কালের কণ্ঠ

চার মাস ১১দিন পর আবার খোলা হলো কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার মসজিদের ১১টি সিন্দুক বা দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। আজ শনিবার সকাল সা‌ড়ে ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় মসজিদের সভাপতি, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, ও আনসার সদস্যরা। এ সময় মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।

দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরে কড়া নিরাপত্তায় মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই টাকা গণনার কাজ শুরু হয়।

এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর খোলা হয়েছিল মসজিদের দানবাক্স। তখন পাওয়া যায় রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪টাকা।

মসজিদের দোতলায় গিয়ে দেখা যায়, মেঝেতে বসা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সামনে বস্তায় ঢেলে দেওয়া হচ্ছে টাকা। আর সেগুলো ভাজ করে গুনছে তারা।

গণনার কাজে সহযোগিতা করছেন মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ব্যাংকের লোকজন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেস‌মিন আক্তা‌রের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। গণনার কাজে দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৮০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সাড়ে চারশো লোক টাকা গণনার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

আরো পড়ুন
প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

 

গত ১৭ আগস্ট আরেকবার খোলা হয়েছিল দানবাক্স। তখন পাওয়া যায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিল সিন্দুক খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। তারও আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণত তিন মাস পর পর দানবাক্স খোলা হয়। এবার চার মাসের বেশি সময় পর দানবাক্স খোলা হয়েছে। এ কারণে টাকার পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম জানান, দেশি টাকা ছাড়াও বিদেশি মূদ্রা ও সোনা-রূপার অলঙ্কারও উল্লেখযোগ্যা পরিমাণ পাওয়া গেছে। এগুলো গণনা করতে সন্ধ্যা, এমনকি রাতও হয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। ২০২৪ সাল থেকে আজ নিয়ে তিনবার খোলা হলো সিন্দুক। আগের দুবারে পাওয়া যায় ১৪ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯৬০ টাকা। নভেম্বর পাওয়া গিয়েছিল  ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪টাকা।

স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসে পাগলা মসজিদে। দান করে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার সঙ্গে সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।

তবে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দানবাক্সে পাওয়া চিঠিপত্র। এসব চিঠিতে লোকজন তাদের জীবনে প্রাপ্তির আনন্দ, না-পাওয়ার বিরহ বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা ও রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে।

জানা গেছে, মসজিদের দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। আর ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে থাকে মসজিদ কমিটি। যে কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জেলা প্রশাসক।

মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দানের টাকায় মসজিদের নিয়মিত খরচ চালিয়ে ব্যাংকে জমানো হচ্ছে। ব‌্যাং‌কে জমা আছে ৮০ কো‌টি ৭৫ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মসজিদ ঘিরে এখানে ছয়তলাবিশিষ্ট একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মিত হবে।

যেখানে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবে। এরমধ্যে পাঁচ হাজার নারীর জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে ডিজাইন ও নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

মন্তব্য

প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
প্রেমিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : বর্তমানকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাত

প্রেমিকা বৃষ্টির ইচ্ছা ছিল প্রেমিক রিপনের সঙ্গে রাত কাটাবেন নতুন বাসায়। বিয়ে করে নতুন করে সাজাবেন সংসার। মামার বাসা ছেড়ে প্রেমিকের বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু রিপনের সঙ্গে রাত কাটাতে হলো এ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালে।

তাদের ভাষায়, পথের কাটা হলো বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক হৃদয়।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিপনকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সাবেক প্রেমিক হৃদয়। আহত রিপনকে খুলনা থেকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়। হৃদয় রিপনকে ছুরিকাহত করে এখন পলাতক।

এক প্রেমিকাকে নিয়ে দুই প্রেমিকের এমন যুদ্ধ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আটটার দিকে।

আরো পড়ুন
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রিপনকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আহত রিপন খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার মিলকি দেয়াড়ার আসলাম শেখের ছেলে।

প্রেমিকা বৃষ্টি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে বয়রা খ্রীষ্টানপাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পলিটেকনিকে পড়াশুনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী রিপন শুক্রবার রাতে যান বৃষ্টির কাছে। উদ্দেশ্য ছিল তাকে নিয়ে নতুন বাসায় উঠবেন। এ খবর জানতে পেরে বৃষ্টির সাবেক প্রেমিক এবং রিপনের গাড়ির হেলপার হৃদয় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে ছিলেন সেখানে।

হৃদয় বাগেরহাট জেলার সদর থানাধীন কাটাখালি এলাকার বাসিন্দা শের আলীর ছেলে। 

বৃষ্টিকে নিয়ে যাওয়ার সময় রিপনের সঙ্গে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হৃদয়ের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রিপনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে বসে এসব তথ্য জানিয়েছেন বৃষ্টি নিজেই।

বৃষ্টির চিৎকার-চেচামেচির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রিপনকে উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে রিপনকে নিয়ে বৃষ্টি চলে যান ঢাকায়।

আরো পড়ুন
সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু

সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু

 

এ ব্যাপারে কেএমপির খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'রিপন মূলত গাড়িচালক আর হৃদয় তার গাড়ির হেলপার। বিষয়টি একেবারেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটে। চিকিৎসা শেষে রিপন ফিরে মামলা করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাছাড়া হৃদয়ও এখন পলাতক।'

মন্তব্য

সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাঙ্গু নদীতে ফুল দিয়ে বিজু উৎসব শুরু
সংগৃহীত ছবি

ফুল দিয়ে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর পূজা এবং ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিজু-বিষু। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষজন জলবুদ্ধ ও মা-গঙ্গাদেবীকে ফুল নিবেদনের মাধ্যমে বিজু ও বিষু উৎসবের সূচনা করেন।

ভোর থেকেই নারী, পুরুষ ও শিশুরা বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে কলাপাতায় সাজানো ফুল নিয়ে সাঙ্গু নদীর তীরে জড়ো হন। মোমবাতি জ্বালিয়ে, ফুল অর্পণ করে অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা।

সেইসঙ্গে প্রার্থনা করেন, অতীতের সব দুঃখ-কষ্ট যেন নদীর স্রোতের মতো ভেসে যায় এবং ভবিষ্যত দিনগুলো শান্তি ও সমৃদ্ধিতে কাটে।

সিদ্ধার্থ চাকমা বলেন, অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গাদেবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আগামী বছর সুখে শান্তিতে থাকার প্রার্থনা জানিয়ে ফুলবিজু উদযাপন করে থাকি।

আরো পড়ুন

কলেজ ছাত্রীকে হত্যা, ডিবির হাতে গ্রেপ্তার খুনি নাজিম

কলেজ ছাত্রীকে হত্যা, ডিবির হাতে গ্রেপ্তার খুনি নাজিম

 

মিনতি চাকমা বলেন, ভোরে উঠে বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করে নদীতে জলবুদ্ধ ও মা গঙ্গার উদ্দেশ্য ফুল নিবেদন করে, অতীতে ভুল করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। আগামী বছর সুখে শান্তিতে থাকার জন্য আর্শীবাদ চেয়ে আজকে ফুলবিজুর আয়োজনে অংশ নিয়েছি এবং প্রতিবছর এভাবেই নদীতে এসে বিজু উৎসব শুরু করি।

নাজিব তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বান্দরবানে বসবাসরত চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় প্রতিবছরের মতো এবছর সাঙ্গু নদীতে ফুল বিজু-ফুল বিষু উদযাপন করছেন। অতীতের ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে আগামীবছর যেন সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে পারি সেই প্রত্যাশায় মা- গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করেছি।

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি—এই তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খুমী, খেয়াং প্রমুখ) মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি জনপদে বইছে আনন্দের আমেজ।

আরো পড়ুন

ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল

ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না যে ফল

 

বিজু-বৈসু-বিষু উপলক্ষে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত নানা কর্মসূচির মধ্যে আরো রয়েছে— ১২ এপ্রিল বিকেল ৫টা থেকে রাতব্যাপী রেইচা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা টুর্নামেন্ট। ১৩ এপ্রিল সাংগ্রাইং র‌্যালি ও বয়স্ক পূজা। ১৪ এপ্রিল বান্দরবানের বৌদ্ধ বিচারগুলোতে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, রাতে পিঠা তৈরি, ১৫ এপ্রিল রাজার মাঠে বলি খেলা। 

১৬ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল রাজার মাঠে কাঙ্ক্ষিত মারমা সম্প্রদায়ের রিলংবোই (মৈত্রি পানি বর্ষণ খেলা)। এছাড়াও বান্দরবানের সাত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে মুখর থাকবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনপদ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ