বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে নিখোঁজ হাফেজ মো. সালাউদ্দিন ওরফে বুলু হুজুর (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ মহাস্থান গড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। সালাউদ্দিন আহম্মেদ দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় সাহারপুকুর বাজারে একটি হাফেজিয়া মাদরাসায় চাকরি করতেন।
মৃত বাবার পকেটে চিরকুট, লেখা মেয়ের বিয়ে নিয়ে চলমান ঝামেলার কথা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মহাস্থান গড় এলাকায় পাথরপট্টিতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নাই। এ ছাড়াও তিনি আত্মহত্যা করেছেন এমন কোনো আলামতও নেই।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে বৃহস্পতিবার বিকেলে বুলু হুজুরকে তার এক পরিচিত ব্যক্তি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। দুই কন্যা সন্তানের জনক বুলু হুজুরের ছোট মেয়েকে সম্প্রতি বিয়ে দেন।
সম্পর্কিত খবর

যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেপ্তার
বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর মহাদেবপুর যুবলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুদকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাদেবপুর কুঞ্জবন নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাসুদুর রহমান মহাদেবপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলার খেজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন গ্রামের জসিম উদ্দীনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন আলম বলেন, ‘গতকাল রাতে বদলগাছী থানা পুলিশ ও মহাদেবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে মাসুদুর রহমান মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে বদলগাছী থানায় নেওয়া হয়েছে।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত বছরের ৫ নভেম্বর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বদলগাছী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাবেক এমপির ভাই ফরিদ মোল্লার কারাদণ্ড, কোটি টাকা অর্থদণ্ড
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ছোট ভাই এ কে এম ফরিদ মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. বেলাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স হোসেন অ্যান্ড ব্রাদার্স’-এর স্বত্বাধিকারী এ টি এম মোকাম্মেল হোসেনের কাছ থেকে দীর্ঘ ব্যাবসায়িক সম্পর্কের সুবাদে ফরিদ মোল্লা বিভিন্ন সময়ে মোট এক কোটি ৮০ লাখ টাকা ধার নেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিয়ে ক্ষমতাবান ভাইয়ের প্রভাব দেখিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
পরে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ফরিদ মোল্লা তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব (মেসার্স মনিরা এন্টারপ্রাইজ) থেকে বাদীকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু পরদিন চেকটি রূপালী ব্যাংকের পটুয়াখালী নিউ টাউন করপোরেট শাখায় জমা দিলে তা ডিজ-অনার হয়।
এরপর বাদী ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু আসামি বাদীর দাবি অস্বীকার করেন।
বাদীপক্ষ অভিযোগ করেন, আসামির ভাই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ায় তাদের দাপটে অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম প্রভাবিত হয়ে আসছিল। তবে ৫ আগস্টের পর মামলার বিকচারিক কার্যক্রমে গতি আসে। এরপর রায় পেয়ে বাদী আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ব্যবসায়ী এ টি এম মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমি সব সময় সততার সঙ্গে ব্যবসা করেছি। দীর্ঘ ছয় বছর ধৈর্য ধরার পর আজ ন্যায়বিচার পেয়েছি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রভাবিত করার অভিযোগ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মামলাটি প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনের বিজয় হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল-আমীন সুজন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে তারা নানাভাবে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। সর্বশেষ এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর পটুয়াখালীতে দল ও ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন ফরিদ। এ ছাড়া অন্যের দরপত্র পাওয়া কাজও নিজে প্রভাব খাটিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন।

শেরপুরে অটোরিক্সা চাপায় গৃহবধূ নিহত
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিরিনা বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে শেরপুরের নকলা উপজেলার চরসন্তি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ শিরিনা বেগম ওই এলাকার রেহারচর গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন নকলা থাকার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শিরিনা বেগম তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নকলার গৌরদ্বার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। পরে তিনি একটি অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চরবসন্তি মোড়ে অটো থেকে নামেন।

বেলকুচিতে বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত, যুবদলের ৭ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপস্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ওয়ার্ড বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত এবং যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের ৭ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে জেলা বিএনপি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন, বেলকুচি পৌর বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জুলহাস ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সদস্য ফটিক হোসেন।
বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা যুবদল নেতারা হলেন, বেলকুচি উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য পল্টন জোয়াদ্দার, শরিফ আল আকবর শশী ও হাফিজুল ইসলাম এবং পৌর যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. কাইয়ুম, সাবেক সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, হাবিল ওরফে হাবলু ও ২নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি চাইনিজ রফিকুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপস্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বেলকুচি উপজেলা ও পৌর বিএনপির সুপারিশ অনুযায়ী উল্লিখিত ৯ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির ২ নেতার পদ ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। আর ৭ যুবদল নেতার বহিষ্কারাদেশ কার্যকরের জন্য যুবদল জেলা কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমোদন করেছেন।