\'বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ধরে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা অব্যাহত\'

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
\'বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ধরে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা অব্যাহত\'
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি

'যতই সময় লাগুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রায় কার্যকর করা হবে। তাদেরকে ধরে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। মন্ত্রী ঢাকা থেকে আলোচনায় যোগ দেন।

দলের নেতাকর্মীরা ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে।

সাংবাদিকদকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যতই সময় লাগুক না কেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রায় কার্যকর করা হবে। তাদেরকে ধরে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।' তিনি বলেন, '১৫ আগস্টকে সামনে রেখে শুধু শোক পালন করলে চলবে না।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আদর্শ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।'

অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী আওয়ামী লীগকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে এ সময় নেতাকর্মীদের পরনে কালো ব্যাজ না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে সার্বক্ষণিকভাবে কালো ব্যাজ ধারণের নির্দেশ দেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া, উপজেলা কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সামদানী ফেরদৌস, আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, মো. জালাল উদ্দিন, আবুল হাসেম নোয়াব মিয়া, খোকন খান, মুজিবুর রহমান নান্নু মিয়া. মো. মজনু মিয়া, আলমগীর ভূঁইয়া, শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু, শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, মো. ইদন মিয়া, মো. শাহ আলম, লুৎফুর রহমান, পারভেজ ভূঁইয়া প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল। দোয়া পরিচালনা করেন মো. রফিকুল ইসলাম।

সভায় ১৫ আগস্ট উপলক্ষে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কাঙালিভোজ না করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। করোনাভাইরাসের কারণে এটা না করে কর্মহীন হয়ে পড়া সেলুন কর্মী ও চায়ের দোকানের কর্মীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এ সময় মন্ত্রীর ঘোষণা দেওয়া পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকায় এক হাজার প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শেয়ার
যুবকের পায়ুপথ থেকে ৬ স্বর্ণের বার উদ্ধার
ছবি: কালের কণ্ঠ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে মো. রাজ রকি (৩২) নামে এক চোরাকারবারির পায়ুপথ থেকে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি। সোমবার সন্ধ্যায় জীবননগর থানা মোড় থেকে তাকে আটক করার পর এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৭২৮.৯৬ গ্রাম। এর মূল্য ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ টাকা।

আটক রাজ রকি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজ রকিকে আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে মলদ্বার থেকে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং উদ্ধার করা স্বর্ণের বার ট্রেজারিতে জমা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

মন্তব্য

১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শেয়ার
১৫ মাসের শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ১৫ মাসের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত বৃদ্ধের নাম আব্দুর রশিদ (৬০)। সে উপজেলার মধুখালি গ্রামের মৃত সইমুদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রশিদ তার মেয়েকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আদর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে রশিদকে পাশের বাড়ির একটি ঘরে আটক রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রশিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

রাতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগে মামলার দায়ের করে শিশুটির বাবা।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণচেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আমরা আসামি রশিদকে গ্রেপ্তার করেছি।

মন্তব্য

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুর কামড়ালো বৃদ্ধ ও শিশুসহ ছয়জনকে
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা দু'য়েকের ব্যবধানে শিশু, বৃদ্ধসহ ছয়জনকে কামড়েছে একটি পাগলা কুকুর। এর আগে এটি সঙ্গে থাকা একটি বাচ্চা কুকুরকে কামড়ে মেরে ফেলে।

আহতরা হলো, প্রহলাদ ঘোষ (১২), রবিউল ইসলাম (১৩), আবুল হোসেন (৭৮) সুকুমার দাস (৬২), মো. মোজাহিদ (১২) ও শিউলী বেগম (২০)। পৌর এলাকার রাধানগর চৌরাস্তা ও ঘোষ পাড়া মোড় এলাকায় তারা কুকুরের কামড়ের শিকার হন।

এর মধ্যে শিউলী বেগম ঢাকা থেকে আখাউড়ায় বেড়াতে আসেন। আহত সুকুমার দাস ও প্রহলাদ ঘোষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুকুরটিকে মারতে এলাকার লোকজন মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও লুৎফর রহমান জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ছয়জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর প্রহলাদ ঘোষ ও সুকুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত যুবকের মরদেহ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাড়ির ছাদ থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  উপজেলার পূর্ব চিতোষী ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেনের বাড়ির ছাদে কে বা কারা নির্মমভাবে হত্যা করে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে ওই যুবককে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। 

প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী খোদেজা বেগম জানান, তার দেবর নজরুল ইসলাম হঠাৎ চিৎকার শুরু করে বাড়িতে চোর ঢুকেছে এবং চোরের দল ছাদ থেকে পাশের গাছ দিয়ে বেয়ে নেমে গেছে।

এসময় বাড়ির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠে দেখেন, এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। ওই নারী দাবি করেন, সন্ধ্যার আগেই বাড়ির ছাদে উঠার সিড়ির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ছাদের আশপাশে কিছু গাছ আছে। যা দিয়ে ছাদে উঠানামা করা যায়।

এমন দৃশ্য দেখার পর থানা পুলিশকে জানানো হয়। রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। 

থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, ঘটনার শিকার ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আলমগীর হোসেন।

একই গ্রামের মৃত শহীদ উল্লাহ ছেলে। ওসি আরো জানান, গরু জবাইয়ে ছোরা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করে জানাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিহতদের স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, তার স্বামী এলাকায় বিভিন্ন আয়োজনের মাইকিং করে সংসার চালাতেন। কারো সঙ্গে স্বামীর বিরোধ ছিল কি না, এমন তথ্যও তার কাছে নেই। কান্না জড়িত কণ্ঠে তাসলিমা বেগম জানান, স্বামী হত্যার বিচার পাব কি না জানি। তবে এখন নাবালক দুই সন্তান নিয়ে কোথায় যাব, তাদের নিয়ে কি খাব।

এদিকে, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর কথা রয়েছে। রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ