<p>নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তি ও কালিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বাস নওশের আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>এ ছাড়া মামালায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. ফোরকান মোল্যাকেও আসামি করা হয়েছে।</p> <p>মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য বি এম কবিরুল হক মুক্তিসহ অন্য আসামিরা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, শটগান, বন্দুক, হাতবোমা নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগুডাঙ্গা এলাকায় সমাবেশ করেন। এ সময় তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পতনের চেষ্টায় মিছিল সহকারে বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের মাল লুটপাটের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া তারা এলাকার লোকজনকে খুন-জখমের হুমকিও দেন। পরে যাওয়ার সময় জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টির জন্য হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শটগান ও বন্দুক থেকে গুলি ছোড়েন।</p> <p>নড়াগাতি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিস্ফোরক আইনে সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে জন্য অভিযান চলছে।</p> <p>আসামি বি এম কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং খান শামীমুর রহমান দুইবার কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।</p>