<p>দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঘোড়াঘাট থানা কমপ্লেক্স থেকে তারা বিদায় নেন। বিদায়ের পূর্বে থানা পুলিশের সদস্যরা সেনা সদস্যদের বিদায় জানান।</p> <p>এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতন খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থল ছেড়ে চলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব থানায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনীকে। মূলক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করেন সেনা সদস্যরা।</p> <p>সরকার পতনের পরবর্তী এক সপ্তাহে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় হামলা, মারপিট, ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও ঘোড়াঘাট থানায় দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পুরো পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। ৫ আগস্টে পর থেকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থানা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন স্থানীয় সচেতন মহল এবং বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দরা।</p> <p>এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে থানা পুলিশের কার্যক্রম। সরকার পতনের ঠিক এক মাসের মাথায় ঘোড়াঘাট থানা থেকে সেনা সদস্যদের সরিয়ে নিল কর্তৃপক্ষ। বিদায়ের পূর্বে অদ্ভুতপূর্ণ সহযোগীতার জন্য ঘোড়াঘাটবাসী এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সেনা সদস্যরা। নতুন দেশ গড়তে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।</p> <p>ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজামান আসাদ জানান, ঘোড়াঘাটবাসী খুবই শান্তি প্রিয়। ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় সচেতন মহল এবং বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পুলিশকে এবং সেনা সদস্যদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। স্থানীয় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ঘোড়াঘাট থানা এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। বিশৃঙ্খল পরিবেশ শান্ত করতে সেনা সদস্যরা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন।</p>