<p style="text-align:justify">‘দিন যাইতেছে আর কাঁচা তরকারির (সবজি) দাম খালি বাড়তেছেই। এইভাবে দাম বাড়তে থাকিলে তরকারির বদলে আমাগো ঘাস-পাতা হিদ্ধ (সিদ্ধ) কইরা খাইয়া বাঁচতি (বাঁচতে) হইবে মনে হয়। তাছাড়া তো কোনো উপায় দেখতেছি না। আমরা তো ”ভাই” দিন কামাই করে দিন খাই। আমাগো দ্বারায় (পক্ষে) এত দামে কাঁচা তরকারি কিনে খাওয়ার কায়দা নাই। আগে চাল ও তেলের দাম নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। আর এহন কাঁচা তরকারি নিয়ে চিন্তায় আছি। তরকারি বাজারে এহন ঢুকতে ডর নাগে (লাগে)।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728630964-039f80c9612a9a292cd35d8418eaec45.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার, জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/11/1434059" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সবজির দাম অস্বাভাবিক গতিতে বাড়তে থাকায় এভাবেই তার ভাষায় কথাগুলো কালের কণ্ঠকে বলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের ভ্যানচালক নাজিম শেখ। তিনি চার সন্তানের জনক। শুধু ভ্যানচালক নাজিম একা নয়, সবজির বাজারের আগুনের তাপ এখন উভয় উপজেলার হাজারো কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর ও ভ্যান চালকের পরিবারের পাশাপাশি চাকরীজীবী এবং মধ্যবিত্ত পরিবারেও লেগেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সব শ্রেণির মানুষই যেন অসহায় অবস্থায় পড়েছে।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, এখানকার সবজির হাট-বাজারগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি শাক-সবজি আবাদ করা হলেও দাম কমছেই না। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দুটি কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বিক্রেতারা প্রতি কেজি মরিচ ৪৫০, বেগুন ১২০, দেরশ ১২০, করল্লা ১২০, পটল ১০০, মুলা ১০০, ফুলকপি ১০০, পাতাকপি ৮০, শষা ৮০, মুখিকচু ৮০, পেপে ৬০, ধুন্দল ৬০, ঝিংগা ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৭০ ও আলু ৬০ টাকা বিক্রি করছেন। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাল শাক ৩০, ডাটা ৪০ ও প্রতিহালি কাঁচা কলা ৫০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দামি গাড়ি ফেলেই বাসা ছেড়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ এমডি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728629688-1cae7a202a0e87f8ac6aa3655a76942c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দামি গাড়ি ফেলেই বাসা ছেড়েছেন ইউনিয়ন ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ এমডি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/10/11/1434057" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে সবজির দাম ডাবল হয়েছে। অভিযোগ আছে, সবজিচাষিদের কাছ থেকে স্বাভাবিক দামে পাইকারী সবজি ক্রয় করে সবজি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামতো ক্রেতাদের কাছ থেকে খুচরা দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে একাধিক সবজি বিক্রেতার দাবি, বন্যায় সারাদেশে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই সবজি সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় হু হু করে দাম বাড়ছে। এখানে তাদের কিছু করার নেই। </p> <p style="text-align:justify">তারা বলেন, বাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই। বেশি দামে সবজি ক্রয় করে, বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় আমরা নিজেরাও সবজি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।    </p> <p style="text-align:justify">সবজি কিনতে আসা দিনমজুর হাফেজ মোল্যা ক্ষোভ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, আমাদের এলাকার বেশিভরভাগ মানুষ গরীব। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি মানুষ কৃষিকাজ ও ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। একজন দিনমজুর ও একজন ভ্যানচালক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা উপার্জন করে। আর যদি বৃষ্টি-বাদল থাকলে ঘরে বসে থেকে দেনা হয়ে সংসার চালাতে হয়। আবার অনেককে না খেয়েও থাকতে হয়। বর্তমানে তো বৃষ্টি নামছে পুরোদমে। এখন বেশিরভাগ গরীবরা বেকার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/11/1728627173-aaa19e37661613b10e32ba33c2bb956a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/11/1434052" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এমন অবস্থায় বাজারে যদি অস্বাভাবিকভাবে চাল-ডাল ও সবজির দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কিভাবে বাঁচবো। তিনি আরো বলেন, সব সরকারই গরীবের পক্ষের সরকার বলে দাবি করে। আমরা তো কাজে-কর্মে দেখি কোনো সরকারই গরীবের কথা ভাবে না। গরীবরা কিভাবে চলছে, তা নিয়ে চিন্তাও করে না। যাইহোক- বর্তমান সরকারকে বলবো, সবজি বাজারে নজর দিন। আমরা গরীবরা সবজি বাজারে ঢুকতে পারছি না। সবজি ছাড়াই ভাত খেতে হচ্ছে আমাদের।</p> <p style="text-align:justify">সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান বালী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সবজি বাজার মনিটরিং করছি। সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই-এক দিনের মধ্যে অভিযান চালানো হবে।</p>