<p>শেরপুরে আনন্দমুখর পরিবেশে শেষ হলো দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। ‘প্রার্থনা অনুপ্রেরণা- ফাতেমা রানীর মা মারিয়া, যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে- সে পরিবার একত্রে বাস করে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুক্রবার (১ নভেম্বর) শেষ হলো এই উৎসব। এবারের তীর্থে আগমন ঘটে অর্ধলক্ষাধিক পুণ্যার্থী।</p> <p>আয়োজকরা জানান, নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লী। পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ৪২ একর জমিতে স্থাপিত হয় এই মিশন। ১৯৯৮ সালে বারোমারী মিশনকে ধর্মপল্লী ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশ। এখানেই স্থাপিত হয় ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার তীর্থস্থান। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতি ও নভেম্বরের শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়ার তীর্থ উৎসব। মনের বাসনা পূরণ ও মা মারিয়ার সন্তুষ্টি লাভে উৎসবে আগমন ঘটে অর্ধলক্ষাধিক পুণ্যার্থী। </p> <p>তারা আরো জানান, তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল আলোক শোভাযাত্রা। এ ছাড়া প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহা- খ্রিষ্টযাগসহ নানা অনুষ্ঠান। তীর্থে প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহা ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ। ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পল পলেন কুবি সিএসসি, বারোমারী ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার তরুণ বানোয়ারী, সহকারী পাল পুরোহিত ফাদার নোবেল পাথাংসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  </p> <p>তীর্থ উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো পল্লী গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার ও নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. দিদারুল ইসলাম। তীর্থযাত্রার মধ্যে দিয়ে পূরণ হবে পুণ্যার্থীদের মনের বাসনা। এমনটাই মনে করেন  পুণ্যার্থীসহ আয়োজকরা। </p>