<p style="text-align:justify">সাভারের আশুলিয়ায় পাওনা পরিশোধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পরে সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। </p> <p style="text-align:justify">পরে দুপুর ৩টার দিকে পুলিশ জল কামান ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছাত্র ভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত শারমীন গ্রুপের চাকুরিচ্যুত কয়েক’শ শ্রমিক।</p> <p style="text-align:justify">শিল্প পুলিশ জানায়, সম্প্রতি আশুলিয়ায় শারমিন গ্রুপের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২৩ ধারায় বেশ কিছু শ্রমিককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। পরবর্তীতে মালিকপক্ষ তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় অন্তত ৪৫৩ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করে। এ ঘটনায় সকাল ১০টা থেকে শ্রমিকরা শারমিন গ্রুপের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনকারীদের নানাভাবে বুঝিয়েও সড়ক থেকে সরাতে না পেরে জল কামান নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।</p> <p style="text-align:justify">বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ ঘটনায় পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।</p> <p style="text-align:justify">আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। প্রথমে আমরা তাদের অনুরোধ করি, আপনাদের বিষয়ে বিজিএমইতে আলোচনা চলছে। আপনারা রাস্তা থেকে সরে যান। তবে তারা শোনেননি। পরে বিকেল ৩ টার দিকে আমরা তাদের জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে তাদেরকে সড়িয়ে দিয়েছি।</p>