ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬
সীতাকুণ্ড

অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় সাগরে ধাক্কা, লাশ মিলল সেই জেলের

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় সাগরে ধাক্কা, লাশ মিলল সেই জেলের
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় রামদাস (৩২) নামের এক জেলেকে মাথায় আঘাত করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। এর ৫দিন পর নিহত জেলের লাশ সাগরে ভেসে উঠেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগর পাড়ে তার লাশটি ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন জেলেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

নিহত রামদাশ বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের বাড়বকুণ্ড জেলে পাড়ার শীতল জলদাশের ছেলে।

আরো পড়ুন

বেনাপোল সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

বেনাপোল সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বাড়বকুণ্ড সাগর উপকূলে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। তারা ড্রেজার ও বাল্কহেড নিয়ে যাতায়াতকালে সাগরে পেতে রাখা জেলেদের বহু জাল কেটে বিপুল অংকের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল প্রতিদিন। গত সোমবার দুপুর ১টার দিকে এভাবে বালু উত্তোলনকালে জেলেদের জাল কেটে ফেলায় প্রতিবাদ জানাতে যায় বাড়বকুণ্ড জেলে পাড়ার শীতল জলদাশের দুই ছেলে রামদাশ ও তার ভাই লিটন দাশ।

আরো পড়ুন

জিনিসপত্রের দাম কমেনি ছয় মাসেও, ভাঙেনি সিন্ডিকেট : শামা ওবায়েদ

জিনিসপত্রের দাম কমেনি ছয় মাসেও, ভাঙেনি সিন্ডিকেট : শামা ওবায়েদ

 

তারা প্রতিবাদ জানানোর সময় তর্ক শুরু হলে বালুখেকো চক্র দুই ভাইকে বালু বহনকারী বাল্কহেডে তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। এতে ধস্তাধস্তি শুরু হলে তারা রামদাশের মাথায় আঘাত করে তাকে সাগরে ফেলে দেয়। এতে রামদাশ সাগরে তলিয়ে যায়। ফলে তার ভাই লিটন দাশ ফোন করে অন্য জেলেদের জানালে জানালে তারা সাগরে গিয়ে ড্রেজার বসানোয় জড়িত ছয়জনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

অন্যদিকে ভাই লিটনকে অপহরণ করে নোয়াখালী নিয়ে যায় বাল্কহেডে থাকা দুস্কৃতিকারীরা।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে জেলেদের হাতে আটক ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের মাধ্যমে বাল্কহেডে যোগাযোগ করে একদিন পর লিটন দাশকে উদ্ধার ও আটক ছয়জনসহ অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেন তখনো নিখোঁজ থাকা রাম দাশের স্ত্রী কনিকা দাশ।

আরো পড়ুন

টঙ্গীতে হামলায় ছাত্র শিবিরের মামলা, গ্রেপ্তার ১

টঙ্গীতে হামলায় ছাত্র শিবিরের মামলা, গ্রেপ্তার ১

 

এদিকে এরপর থেকে সাগরে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েও রামদাশের খোঁজ পায়নি। তবে ঘটনার পাচদিন পর শুক্রবার সকালে জেলেরা মাছ ধরতে বের হয়ে ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগর পাড়ে রামদাশের লাশ ভাসতে দেখেন।

পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে নৌপুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে গুলিয়াখালী সাগর উপকূল থেকে নিখোঁজ জেলে রামদাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরে সীতাকুণ্ডে বাড়বকুণ্ড থেকে সোনাইছড়ি সাগর উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিন দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। দেবে যাচ্ছে বাড়ি-ঘর। ফলে সাধারণ মানুষ চরম ক্ষিপ্ত হলেও প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন থাকায় বালু খেকোরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘গরিব গো আবার কিয়ের ঈদ’

এম সোহেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
এম সোহেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
শেয়ার
‘গরিব গো আবার কিয়ের ঈদ’

নদীর কিনারে সারি সারি নৌকা, এরই একটির গলুইতে বসে আছেন ঝুমুর বেগম। ছোট্ট শিশু মুন্নি নায়ের নৌকার বৈঠায় হাত রেখে আনমনা তাকিয়ে রয়েছে। চোখের সামনে শান্ত নদী। কিন্তু বুকের ভেতর তোলপাড় করে কষ্ট।

ঝলমলে আকাশে খাঁ খাঁ রৌদ্দুর। সব জায়গায় ঈদের আমেজ। কিন্তু তাদের ভাসমান এই জীবনে সেই আমেজের ছিটেফোঁটাও নেই।

‘গাঙে মাছ নাই, হাতে টাহা (টাকা) নাই।

গরিব গো আবার কিয়ের (কিসের) ঈদ’—এমন কথাই আক্ষেপের সুরে বেরিয়ে এলো ঝুমুর বেগমের মুখ থেকে। তাঁর স্বামী শহীদ হাওলাদার চুপচাপ নৌকার ছইয়ে শুয়ে আছেন। নদীতে মাছ ধরে সংসার চলত, এখন নদী যেন অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নদীতে তেমন মাছ নেই, যাও পাওয়া যায়, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলাই দায়।

আরো পড়ুন
রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নঘেঁষা বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতীরে মান্তা পল্লীতে বাস করেন ঝুমুর-শহীদ দম্পতি। ঝুমুর বেগমের পাশের নৌকাটি সোহেল ভূঁইয়ার। তাঁর নৌকায় তাকাতেই আরেক দৃশ্য। ছোট্ট মেয়ে জমেলা নৌকার সামনেই বসা। তীরের শিশুদের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরেক বোন মিমিলা নৌকার পেছনের দিকে বসা। নৌকার কাছে যেতেই সোহেল বললেন, ‘নদীতে মাছ নাই। অনেক কষ্টে ধারদেনা করে বাচ্চার পোশাক কিনছি। নিজেরা অহনও (এখনো) লই নাই। বাজারে গেছিলাম দুইজনার কাপড় কিনতে, দাম কইল দুই হাজার টাকার বেশি। এত টাকা কই পাব?’ হতাশ কণ্ঠে বলেন তিনি।

এই হতাশার গল্প শুধু এই দুই পরিবারেরই নয়। ঈদ সামনে রেখে মান্তা পল্লীর বেশির ভাগ পরিবারের উত্সবের গল্পে এমন করুণ সুর বাজছে। মান্তা সম্প্রদায়ের লোকজনের ভাষ্যমতে—গাঙে (নদীতে) তেমন মাছ নেই, ঈদের আনন্দ নেই। ঈদ মানেই তাদের কাছে শুধুই বিলাসিতা। নদীই মান্তা সম্প্রদায়ের জীবন। কিন্তু এবার ঈদের আগে সেই নদীর বুকে নৌকাগুলোতে কেবল হতাশা আর দারিদ্র্যের ছাপ।

আরো পড়ুন
ভারতে পটকা বানানোর সময় বিস্ফোরণ, চার শিশুসহ নিহত ৭

ভারতে পটকা বানানোর সময় বিস্ফোরণ, চার শিশুসহ নিহত ৭

 

ঝুমুর বেগমের মতো মায়েরা সন্তানদের নতুন জামা দিতে পারেননি, পুরনো কাপড় ধুয়ে ঈদের দিন কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোহেল মাঝির মতো বাবারা ঈদের বাজারে গিয়ে সন্তানের জন্য কিছু কিনলেও নিজেদের জন্য কিনতে পারেননি। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। শহীদ হাওলাদারের মতো জেলেরা কাজ হারিয়ে নৌকার ছইয়ে শুয়ে থাকেন। দিন পার করেন দুশ্চিন্তায়। গ্রামে ঈদের বাজার জমজমাট। কিন্তু মান্তা পল্লীতে নেই কোনো খুশির ঝলকানি।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসন তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। মান্তা পল্লীর জেলেদের জন্য বিশেষ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
শেয়ার
রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১
প্রতীকী ছবি

মায়ানমারের গরু চোরাচালানের বিরোধকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপে গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিহত মো. নবী হোসেন (৪০) কাউয়ারখোপের পশ্চিম গনিয়াকাটা এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকাল ৫টার দিকে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উখিয়ারঘোনা রাবার বাগান চৌধুরী খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে মায়ানমার থেকে চোরাচালানে আনা গরুর চালান টানার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।

এদিকে পুলিশ বলছে, খুনের ঘটনাটি তদন্তে উঠে আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নিহত মো. নবীর ঘনিষ্ঠজন মো. হানিফ, মো. হাছন, মো. হোছন ও সানী গরু পাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে পাচার করে আনা গরুর অবৈধ কারবার চলছে গত কয়েক বছর ধরে।

রামুর সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহীন ডাকাত গ্রুপের বিশাল বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা সীমান্ত থেকে গরু পাচারে জড়িত রয়েছে।

মায়ানমারের চোরাই গরু রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়। এরপর প্রতি গরু পিছু ৮/১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি রশিদ নিয়ে মায়ানমারের গরুকে করা হয় দেশীয় গরু। 

এ কারণে গর্জনিয়া বাজারটির নীলাম ডাক এবার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজারটি অন্যান্য বছর ২/৩ কোটি টাকায় নিলাম হলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।

মন্তব্য

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন
প্রতীকী ছবি

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অলিদ (১৯) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ কিশোর। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে বিরামপুর ব্রিজের ওপর আপন, রাশেদুল ও শামীম নামে তিনজন পটকা বাজি ফোটাচ্ছিল।

এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী নামে কয়েকজন। তারা দাবি করে, পটকা তাদের গায়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এ সময় অলিদসহ অন্যরা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে।
খবর পেয়ে আপনের বাবা রিপন আলী সেখানে গেলে তাকেও ছুরি মেরে আহত করা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অলিদ গুরুতর আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত আপন, তার বাবা রিপন আলী, শামীম, অলিদ ও রাশেদুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় অলিদ। আহতদের মধ্যে রাশেদুলকে খুলনা মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া আপন, তার বাবা রিপন আলী ও শামীম যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

শহীদ ছাত্র বিশালের পরিবারে ঈদের দিনে বিষাদের ছায়া

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
শেয়ার
শহীদ ছাত্র বিশালের পরিবারে ঈদের দিনে বিষাদের ছায়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জয়পুরহাটের ছাত্র শহীদ নজিবুল সরকার বিশালের পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। ছেলেকে হারিয়ে কান্না থামছে না পরিবারে। সকাল থেকেই বিশালের ছবির অ্যালবাম দেখছেন আর ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন মা বুলবুলি খাতুন। বড় ছেলে বিশালকে হারিয়ে যেন ঈদের আনন্দও হারিয়ে গেছে পরিবারে।

 

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের নিহত কলেজছাত্র বিশালদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে বিষন্ন মনে বসে আছেন বাবা মজিদুল সরকার। আর মা বুলবুলি খাতুন চেয়ারে বসে নিহত ছেলে বিশালের ছবির অ্যালবাম দেখছেন আর ছেলের জন্য বিলাপ করছেন। ঈদের দিন হলেও শোকের কারণে রান্না হয়নি তাদের। বিশাল না থাকায় ছোট ছেলে মোমিন ঈদের নামাজ আদায় করলেও ভাইয়ের শোকে না খেয়ে ঈদ পালন করেন ঘুমিয়ে।

 
সান্ত্বনা দিতে কেউ খোঁজ না নেওয়ার অভিযোগ করেন মা বুলবুলি খাতুন। অথচ বিশাল নিহতের পর হাজার বিশাল পাশে থাকার আশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, চারজনের সংসারে বড় ছেলে বিশাল ছিলেন স্থানীয় বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। গত বছরও তারা একসঙ্গে ঈদ করেছেন।
কিন্তু এবার বিশাল না থাকায় তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে গেছে। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন। আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং খুনি হাসিনাসহ প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেন বাবা মজিদুল সরকার। 

গেল ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন পাঁচবিবির নাকুরগাছি বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বিশাল। তার বাবা মজিদুল সরকার শ্যালো ও পাওয়ার টিলার মেকানিক।

মা বুলবুলি খাতুন গৃহিণী। তাদের ছোট ছেলে মোমিন সরকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ