ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধ, ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধ, ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামে ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে। নিহত আব্দুল কাইয়ুম (৫০) নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার অধিকাংশ লোকজন প্রত্যেক বছর সদরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করেন। সম্প্রতি সৈয়দ আলী ঈদগাহের জায়গার ওয়াকফের কাগজ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজের পর ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত পড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মুরুব্বিয়ানরা সদরঘাট গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদে জড়ো হন।

এ সময় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে মুরুব্বিয়ানরা মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় মসজিদের সামনে ওই গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে মোজাহিদ মিয়া সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমকে ছুরিকাঘাত করেন।

ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম গুরুতর আহত হন। আব্দুল কাইয়ুমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে আব্দুল কাইয়ুমের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ রিয়াজ নাদির সুমন জানান, ঈদের জামাত নিয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল কাইয়ুম এলাকার একজন নামাজি ও আমলদার মানুষ ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি সদরঘাট গ্রামে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে আলোচনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বুড়িচংয়ে গোমতী নদীতে ডুবে প্রাণ গেল কৃষকের

বুড়িচং -ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বুড়িচং -ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
বুড়িচংয়ে গোমতী নদীতে ডুবে প্রাণ গেল কৃষকের
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা জেলা বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে গোমতী নদীতে ডুবে আবু ইউসুফ (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন।

স্থানীয় ও নিহত পরিবারের সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বুড়িচং উপজেলার ৯ নম্বর ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের এতবারপুর দক্ষিণ পাড়ার আবু ইউসুফ ও তার ভাই হুমায়ুন কবির গরুর জন্য গোমতীর পাড়ে ঘাস কাটতে যান। ঘাসের বস্তা নিয়ে নদী পারাপারের সময় ইউসুফ পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যান।

তার ভাই হুমায়ুন কবির অনেক খোঁজাখুঁজির পর মসজিদের মাইকে গ্রামবাসীকে জানালে একদল যুবক নদীতে নেমে আবু ইউসুফের ঘাসের বস্তাটি খুঁজে পান।

পরে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা এসে নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর নদীর তলদেশ থেকে আবু ইউসুফের মরদেহ উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন
রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

 

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এতবারপুর এলাকায় গোমতীর নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু-মাটি উত্তোলন করার কারণে অনেক বড় গর্ত হয়ে যায়। এই গর্তের ভেতরে পড়ে আবু ইউসুফ মারা গেছেন।

আবু ইউসুফের মৃত্যুতে আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম বইছে। তাকে দেখার জন্য গোমতীর দুই পাড়ে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবু ইউসুফ নামের এক ব্যক্তির মরদেহ গোমতী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাস কাটতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও বুড়িচং থানা পুলিশসহ উদ্ধার কাজে সহায়তা করেছে।

মন্তব্য

রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শেয়ার
রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
সংগৃহীত ছবি

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় সালমা খাতুন (৩২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলিজয়পুর গ্রামে শোবার ঘর থেকে

নিহত সালমা খাতুন একই গ্রামের আজাদের স্ত্রী। আজাদ গত এক বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে সালমার শাশুড়ি দেখেন তার ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে বিছানার ওপর সালমার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মৃত্যুর কারণ চিকিৎসকরা প্রতিবেদন দিলে জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

মন্তব্য

গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে ফকির বংশের সংঘর্ষ, আহত ২০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে ফকির বংশের সংঘর্ষ, আহত ২০
ছবি : কালের কণ্ঠ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফকির বংশের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের একটি জমিতে মাছের ঘের কাটতে যান সিরাজ ফকির। এতে বাধা দেন একই বংশের চাচাতো ভাই গাউস ফকির।

 

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ঢাল সড়কি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

 

এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিরোধীয় জমিতে ঘের কাটা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।

অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
সংগৃহীত ছবি

ঢাকার সাভারে ঈদের রাতে রুবেল (৩০) নামে এক নৈশ প্রহরীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল বরিশাল জেলার সদর থানা এলাকার খলিফার ছেলে। তিনি সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লার মনিরের মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।

নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, রুবেল দুই মাস যাবৎ সাভারের বাঁশপট্টি এলাকায় রাতে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুবেলের মোবাইলে একটি কল আসে। এরপর সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার কিছু সময় পরেই বাসায় খবর আসে, রুবেলকে গুলি করেছে, সে বাঁশপট্টি এলাকায় পড়ে আছে।

পরে আমরা সেখান থেকে রুবেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হরনাথ সরকার অর্ণব বলেন, ‘রুবেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মুখে গভীর ক্ষত রয়েছে। সেটা বুলেটের ক্ষত।

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ