ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো পক্ষেরই মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে অন্যরা বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরো পড়ুন
বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা ভারতের : জয়শঙ্কর
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও বিএনপি নেতা মো. ঠান্ডু মোল্যা গ্রুপের মধ্যে বুধবার সকালে এক দফা সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে বিকেলে পুনরায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাঠের মধ্যে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী, থানা ও ডহরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে রূপাপাত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয় বোয়ালমারী উপজেলা হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জনকে ভর্তি করা হয়।
অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন
এক রাতে ছাত্রদল নেতারসহ ৯ বাড়িতে চুরি
মোড়া গ্রামের বিএনপি নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ঠান্ডু বলেন, ‘সেনা সদস্য মিজানের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা রফিকুলের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর আগেও মারামারি হয়েছে। তার সূত্র ধরে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রফিকুলকে মেরে ফেলার টার্গেট করেই মিজানরা সংঘর্ষ শুরু করে।
রফিকুলের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। রফিকুলের মা সালমা বেগম বাদী হয়ে এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
অপরপক্ষ সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান পলাতক এবং তার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণ গেল শিশুর
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিজান গ্রুপ আর ঠান্ডু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত অবধি ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পরিস্থিতি শান্ত করি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’