চারাগাছ বড় হয়ে ফুল ফোটাবেই : হাবিব ওয়াহিদ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
চারাগাছ বড় হয়ে ফুল ফোটাবেই : হাবিব ওয়াহিদ
হাবিব ওয়াহিদ

অস্কারজয়ী সংগীতপরিচালক এ আর রহমান। এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পীর জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বজুড়ে। মিউজিকে ভিন্নতা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার। ঠিক এ আর রহমানের মতোই বাংলাদেশে একজন শিল্পীর আগমন ঘটেছিল একবিংশ শতাব্দীর শূন্য দশকে।

মিউজিকের ওপর অসামান্য দখল নিয়ে যাত্রা করা এই শিল্পী পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাও। বলছি এই প্রজন্মের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীতপরিচালক হাবিব ওয়াহিদের কথা। আজ এই জনপ্রিয় গায়ক ও সুরকারের জন্মদিন। বিশেষ দিনে কথা বলেছেন কালের কণ্ঠের সঙ্গে।
জানিয়েছেন নিজের হালচাল। তাঁর সঙ্গে আলাপ জমিয়েছেন কামরুল ইসলাম।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কিভাবে কাটাবেন আজকের দিন?

ধন্যবাদ।

জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকে না কখনো। পরিবারের সঙ্গেই কাটাব।
 
‘তুফান’ ছবির ‘ফেঁসে যাই’-এর পর নতুন কী করছেন? 

একটি গান করেছি মুজার সঙ্গে। শিগগিরই আসবে। দিনক্ষণ আমি এখনই বলতে পারছি না।

মুজার সঙ্গে এর আগে একটি গান করেছিলাম—‘বেনি খুলে’। ওটার চেয়ে এটা অনেক ভিন্ন। এখানে একটি সামাজিক বার্তাও রয়েছে। এখন দিনশেষে মানুষের ভালো লাগে কি না, সেটা প্রকাশের পর বোঝা যাবে।
 
ক্যারিয়ারের দুই দশক পেরিয়েছে। এখনো আপনার নতুন গানের জন্য শ্রোতাদের বিপুল আগ্রহ দেখা যায়। এই অবিরাম ভালোবাসার বিপরীতে কিছু বলতে চান?

এটুকুই বলি, অন্তর থেকে সবাইকে ধন্যবাদ। নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি আমি। এত দিনের ক্যারিয়ার, এখনো মানুষের এত ভালোবাসা দেখলে নিজেকে অতিভাগ্যবান মনে হয়।

জনপ্রিয়তা, পুরস্কার অনেক কিছুই অর্জন করেছেন। আর কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে? 

হ্যাঁ অবশ্যই। যে প্রাপ্তির কথা বললেন, সেগুলো দেশের ভেতরে। এখন আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো প্রাপ্তির মাধ্যমে দেশের সুনাম বয়ে আনতে চাই। যদি পারি, সেটা হবে আরো বড় প্রাপ্তি।

সংগীতের বৈশ্বিক বাজারে আমাদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে...

আমি আর তাহসান গ্র্যামিতে ইনভাইটেড গেস্ট হয়েছিলাম, ওটা অংশগ্রহণ না। অনেকেই আমন্ত্রিত হন। আমরাও একভাবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এ রকম আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে চাইলে, কাজের সঙ্গেও আন্তর্জাতিক যোগসূত্র লাগবে। ইউটিউব ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফরম হলেও সেখানে তো আমরা বাংলা গানই প্রকাশ করি। আর সে গানগুলো বিদেশেও যারা শোনে, তারাও মূলত বাঙালি। সুতরাং গানগুলো আন্তর্জাতিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।

কনসার্টে আপনাকে কম পাওয়া যায়। কেন?

ইচ্ছাকৃত কম করি, তা না। এখানে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় আছে। আমার জন্য সাউন্ডচেক খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাউন্ডচেক ঠিকঠাক না হলে পারফরম্যান্সে সমস্যা হয়। যে কনসার্টে অনেক শিল্পী বা ব্যান্ড থাকে, দেখা যায় তাদের গানের ধরন কাছাকাছি। সে কারণে তাদের অত সমস্যা হয় না। কিন্তু আমার সেটআপ, সাউন্ড একটু আলাদা। সেটা নড়চড় হয়ে গেলে মনমতো পারফরম করা যায় না। এসব কারণে কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তাই কম কনসার্ট করি।

আপনার উত্থানের পেছনে ফোক গানের ভূমিকা আছে। ফোক নিয়ে নতুন কিছু ভাবছেন?

নতুন ফোক গান করতে চাই। কিন্তু এখন গান প্রকাশিত হয় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে। এখানে গানের স্বত্বাধিকারের তথ্য নির্ভুল থাকা জরুরি। নাহলে পরে সেটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অনেক পুরনো গানের লেখক বা সুরকার জীবিত নেই। তাঁদের অবর্তমানে গানের স্বত্ব কার? ব্যক্তি পর্যায়ে এসব গবেষণা কঠিন। আমি যখন ফোক গান করেছি, সেগুলো মিউজিক কম্পানি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। তো গানের স্বত্বের বিষয়গুলো তারাই ডিল করত। আমি শুধু মন দিয়ে মিউজিক করেছি।

বলা হয়, সংগীতাঙ্গনে কেউ কারো না। কিন্তু আপনার সান্নিধ্যে অনেকেই আলোয় এসেছেন...

যদি দেখি কারো মধ্যে প্রতিভা আছে, তাকে একটু উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। যেন সে আরো ভালো কিছু করতে পারে। যার ট্যালেন্ট আছে, সেটা তার নিজের গুণ। প্রতিভা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জিনিস। দেখুন, চারাগাছ বড় হয়ে ফুল ফোটাবেই। সে গাছে যদি কেউ একটু পানি দেয়, তাহলে ফুলটা আরেকটু হৃষ্টপুষ্ট হবে, এটুকুই। কিন্তু ফুল ফোটানোর ক্ষমতা তো অন্য কারো নেই। একজন সফল মানুষ এসে যদি বলে, ‘আরে, তোমার মধ্যে তো ট্যালেন্ট আছে, তুমি পারবে’—তখন ভেতরের সুপ্ত আত্মবিশ্বাস জেগে ওঠে। ব্যাসিকলি এটা মাছের তেল নিয়ে মাছ ভাজার মতো। এর জন্য আলাদা তেল আনতে হয় না। ওই উৎসাহটুকুই দিই আমি। আমি তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছি, তাদের প্রতিভায় কিছু যোগ করেছি, বিষয়টা এমন না।

আপনার বাবার (ফেরদৌস ওয়াহিদ) পর আপনি, এখন আপনার ছেলেও (আলিম ওয়াহিদ) মিউজিকে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ওয়াহিদ পরিবারে সংগীতের ভবিষ্যৎ কেমন দেখতে চান? 

আমার বাবা জানতেন না, আমি মিউজিকে আসব। এটা ন্যাচরালি হয়েছে। একইভাবে আমিও জানতাম না, আলিম মিউজিক করবে। এ কারণে ভবিষ্যৎ ধারণা করা কঠিন। আলিম যদি নিজের ইচ্ছায় মিউজিক করে, তাহলে সংগীতে ওয়াহিদ পরিবারের আরো বিকাশ ঘটবে। বাবা যেমন আমাকে কখনো জোর করেননি, বাধাও দেননি। আমারও একই ভাবনা। আলিমই বেছে নেবে, সে আসলে কোন দিকে এগোবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা
সংগৃহীত ছবি

‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির দুই বছর পর ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা ‘দাগি’ নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন তমা মির্জা। যার দরুণ এবারের ঈদ উৎসব তার সিনেমা ঘিরেই কাটবে, এটা বলাই বাহুল্য। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই চিত্রনায়িকা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব।

তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রি-অ্যাকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি।
‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।’

আরো পড়ুন
এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

 

ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা।

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই।
লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’

ফ্যাশন সচেতনতায়ও অনন্য তমা। আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্ধারণ করেন। ঈদের পোশাক প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ‘এখন যেহেতু একটু গরম, দিনের বেলা অল্প ডিজাইনের মধ্যে হালকা গড়নের কামিজ পরা হবে। এরপর রাতে যেহেতু ফ্রেন্ডজদের বাসায় যাওয়া হবে তখন আবার একটু অন্য রকম ডিজাইনের কামিজ পরা হবে।’

আরো পড়ুন
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

 

ঈদ আনন্দে সালামি, প্রসঙ্গ টেনে নায়িকা জানালেন ঈদে এখন সালামি পাওয়ার চেয়ে দেওয়াই হয় বেশি। বললেন, ‘এখন আর সেভাবে সালামি পাই না। শুধু আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই পাই। তবে দেওয়া হয় বেশি, ছোটদের দিই সব সময়ই। যতক্ষণ আমার কাছে টাকা থাকে ততক্ষণই সালামি দিই। আব্বু-আম্মুর কাছ থেকে প্রাপ্ত সালামির চেয়ে আমার জন্য তাদের দোয়াটাই আমার কাছে মূল্যবান।’

ছোট আর বড় বেলায় ঈদের আনন্দটাও অনেকটা বদলে যায়। শৈশবের আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। ঈদের আগে লাগেজ গুছিয়ে দাদু বাড়ি চলে যেতেন। সেখান থেকে চাচার বাড়ি, নানার বাড়ি- এভাবেই ঘুরে বেড়িয়ে উদযাপন করা হতো ঈদ। সে সময় পাওয়া ঈদ সালামিগুলো টিফিনের টাকার মতো করে জমিয়ে রাখতেন বলে জানান। এর পর বললেন, ‘ছোটবেলায় ঈদ কাটত দাদু, চাচা-নানি-খালাদের সাথে আর এখন ঈদ কাটে দর্শকের সাথে। যেহেতু এখন ঈদে আমার সিনেমা রিলিজ হয়।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান
সংগৃহীত ছবি

এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।

ঈদের নামাজ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে যারা পরিচিতজন যারা আছেন তাদের সঙ্গে দেখা করা পাশাপাশি ঢাকায় সবার সঙ্গে কথা বলেই দিনটা পার করছেন তিনি।

কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মত বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার।

সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।

বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন প্রতি ঈদেই তাদের কাছ থেকে সালামি পেতেন জায়েদ খান। এবার সেটাও মিস করছেন বলে জানালেন। 

আরো পড়ুন
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

 

শৈশবের স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বললেন, আমি পিরোজপুরের শৈশবের ঈদটাকে মিস করি খুব।

বাবা আমাকে লুকিয়ে অন্যদের থেকে বেশি সালামী দিতেন। একবার বাবা জুতা কিনে দিয়েছিলেন, আমি সেটা বালিশের পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখনো মাঝেমধ্যেই সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, বিশেষ করে ঈদে।

ঈদে সালামি দিতেও পছন্দ করেন জায়েদ খান আবার নিতেও। সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, আবার দিয়েছেনও তবে সেটা তার কোনো এক প্রিয় মানুষকে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছি এক লাখ টাকা। গত ঈদে ডিপজল ভাই দিয়েছিলেন আমাকে। আর আমি সর্বোচ্চ দিয়েছিলাম আমার এক প্রিয় মানুষকে।

মন্তব্য

যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
যে সিনেমার টিকিট পাব সেটাই দেখতে যাব : আইশা
ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।

ঈদে আনন্দে এসেছে খানিক পরিবর্তন। বরাবরের চেয়ে এবারের ঈদ একটু অন্য রকম আইশা খানের কাছে। তার মতে, যখন থেকে আমি নিয়মিত কাজ শুরু করেছি (২০২৪ থেকে) তখন থেকে ঈদের আনন্দটা একটু ডিফারেন্ট হয়ে গেছে। এখন কাজ নিয়েই বেশি এক্সাইটমেন্ট কাজ করে।

এবারও তাই। কাজ নিয়ে আসা এটা আমার দ্বিতীয় ঈদ। এবার আমি আমার কাজগুলো নিয়ে যথেষ্ট তৃপ্ত, তুলনামূলকভাবে। 

ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা।

কালের কণ্ঠকে এই অভিনেত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বলা যায় একটু ঘোরাঘুরি আর সিনেমা দেখা। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার লাইনআপটা খুবই ভালো। ইতিমধ্যে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটি দেখে ফেলেছি প্রিমিয়ার শোতে। এ ছাড়া বাকি যে সিনেমা রয়েছে সেগুলোর টিকিট পাব কি না জানি না।
তবে যেটার টিকিট পাব সে সিনেমাটিই দেখতে যাব।

আরো পড়ুন
তারকাদের ঈদ, কে কোথায় করবেন

তারকাদের ঈদ, কে কোথায় করবেন

 

উৎসব বলতে একটা সময় তার কাছে শুধু বিয়ে বাড়ি বলেই মনে হতো। যে কারণে ঈদ পোশাকেও বিয়ে বাড়ির কথা মাথায় রাখতেন আইশা। ঈদে কী পোশাক পরতে পছন্দ করেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ঈদের জন্য সব সময় আমি এমন পোশাকই নিতাম যেটা কোনো একটা উৎসবে পরা যায়। ছোটবেলায় উৎসব বলতে শুধু বিয়ে বাড়ি ছিল।

সারা বছর যা-ই পরি না কেন বিয়ে বাড়িতে একটু ভিন্ন কিছু পরতে হবে। সেই প্র্যাকটিসটা এখনো আছে। যদিও একটা সময়ের পর থেকে বিয়ে বাড়িতে কম যাওয়া হয়, এখন যেহেতু বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে হয় ওটা মাথায় রেখেই ঈদের কাপড়গুলো বাছাই করি।

‘দাদুর হাতের রান্না করা পোলাও, মায়ের হাতের বানানো কাবাব, বড় মামির হাতে বানানো কাবাব এবং মামান্টির হাতে রান্না করা রোস্ট- এই চারটা খাবার আমার খুবই প্রিয়, আমাকে খেতেই হয়।’- ঈদের প্রিয় খাবারের তালিকায় এগুলো যেন নাহলেই নয়, এমনটাই বললেন আইশা। 

আরো পড়ুন
তারকাদের সঙ্গে তাদের ‘ভালোবাসার’ সংসার

তারকাদের সঙ্গে তাদের ‘ভালোবাসার’ সংসার

 

ঈদ উৎসবে সালামি দেওয়ার চেয়ে নিজে পান বেশি। তবে কিছু বিষয় মিস করেন খুব। আইশা খান বলেন, ‘আমার পরিবারে যেহেতু আমার পরে ছোটদের সংখ্যা কম তাই সালামি দেওয়ার চেয়ে আমার পাওয়াই হয় বেশি। তবে এখনের চেয়ে আমার কাছে ছোটবেলায় পাওয়া সালামিগুলোই মধুর মনে হয়। এখন তো পাঁচ শ কিংবা এক হাজার টাকার চকচকে নোট পাওয়া যায় কিন্তু ওই সময় দুই টাকা কিংবা পাঁচ টাকার বান্ডিল পেতাম, যেটা মোট করলে পঞ্চাশ অথবা এক শ টাকা হতো। ওই সময়টা খুব মিস করি, ওই সময়ের সেই খুচরা টাকার বান্ডিলগুলোকেও মিস করি খুব। ছোটবেলায় আত্মীয়দের থেকে যে টাকাটা সালামি পেতাম সেটা আমার আম্মু নিয়ে রেখে দিত, বলত পরে যখন তোমার লাগবে তখন দেব। কিন্তু সেই সালামির টাকাগুলো আমি আজও পাইনি... হাহাহা।’

মন্তব্য

পর্দা ও পরিবার ঘিরেই তাদের ঈদ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
পর্দা ও পরিবার ঘিরেই তাদের ঈদ

ঈদ এলেই উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তারকারাও ব্যতিক্রম নন। সাধারণ মানুষের মতো পর্দার মানুষগুলোও এই দিনটিকে ঘিরে সাজিয়ে রাখেন বিশেষ পরিকল্পনা। শুটিংয়ের ব্যস্ততা শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো—সব মিলিয়ে ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ।

এবারের ঈদে দেশের জনপ্রিয় তারকারা কিভাবে সময় কাটাবেন, কী করবেন, কী তাদের ঈদ পরিকল্পনা? কালের কণ্ঠকে জানালেন তারা।

5

অভিনেত্রী সাফা কবির। বছরজুড়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি ঈদের অভিনেত্রীর ব্যস্ততা কম নয়। এই ঈদেও আসছে সাফার বেশ কয়েকটি নাটক।

সেই সঙ্গে থাকছে নিজের ঈদ পরিকল্পনা। এবার ঈদ বরাবরের মতো একই রকম নাকি কোনো পরিবর্তন আছে? কালের কণ্ঠের এমন প্রশ্নের জবাবে সাফা কবির বলেন, ‘ঈদ একই রকম আছে। ছোটবেলার ঈদ এক রকম হয়, বড় হওয়ার পর সেটা আবার ডিফরেন্ট। এখনকার ঈদটা আমার কাছে মনে হয় সমান্তরাল, এই যে প্রত্যেকবার ঈদ হচ্ছে, করছি।
কিন্তু ঈদের অবশ্যই একটা আনন্দ আছে। ঈদ বলেই তো আমাদের এত সব আয়োজন, এত কাজ করা, কষ্ট করা, দর্শকদের রেসপন্সের জন্য ওয়েট করা। সো এই জায়গা থেকে ঈদ নিয়ে ডেফিনিটলি আমি এক্সাইটেড। এখন আমার এক্সাইটমেন্টের আরেকটা কারণ হচ্ছে ঈদে আমার কাজ রিলিজ হয়। ওই কাজগুলো দর্শক দেখবে বা পরিবারের সদস্যদের দেখাব।

5

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তমা মির্জার ‘দাগি’। সিনেমাটি ঘিরে দর্শক প্রত্যাশাও অনেক। তবে পর্দায় হাজির হওয়ার পাশাপাশি ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তমা মির্জা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সাথেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব। তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রিয়েকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি। ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।”

ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই। লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’

5

এবার ঈদে নুসরাত ফারিয়ার ‘জ্বিন ৩’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার প্রচারের সঙ্গে ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদ নিজের মতো করে পালন করছেন নুসরাত ফারিয়া। ছোটবেলার ঈদ, আর এখনকার ঈদ কতটা বদলেছে? প্রশ্নের জবাবে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদ অনেক ঝামেলাবিহীন, সহজ-সরল ছিল। এখন আর সেটা নেই। তবু ঈদ মানেই তো আনন্দ। এই আনন্দটা কতটা তা হয়তো ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সারা মাস রোজা রাখার পর একটা দিন এভাবে সেলিব্রেট করার আনন্দই আলাদা। বাড়িতে সবার সঙ্গে কাটানো, এটা আসলে একাত্মতার দিন, সবাই এক হয়ে যাওয়ার দিন। ছোটবেলার ঈদের থেকে বড়বেলার ঈদ অনেকটাই বদলেছে, সেটা তো ঠিকই, তবু এই উৎসব আমার কাছে আজও আগের মতোই স্পেশাল।’

পর্দার নিয়মিত মুখ কখনও হতে চাইনি: আইশা খান

এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইশা খান। অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। এবার ঈদে বেশ কিছু নাটকে দেখা মিলবে তার। সেই ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা। কালের কণ্ঠকে এই অভিনেত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বলা যায় একটু ঘোরাঘুরি আর সিনেমা দেখা। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার লাইনআপটা খুবই ভালো। ইতিমধ্যে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটি দেখে ফেলেছি প্রিমিয়ার শোতে। এ ছাড়া বাকি যে সিনেমা রয়েছে সেগুলোর টিকিট পাব কি না জানি না। তবে যেটার টিকিট পাব সে সিনেমাটিই দেখতে যাব।’

5

এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিণ। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত তিনি। ফারিণ অভিনীত বেশ কটি নাটক ঈদুল ফিতরে প্রচার হবে। ঈদে পর্দার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও ফারিণ থাকবেন আনন্দ-উদ্দীপনায়। সারা বছর ডায়েট করে চললেও ঈদে খাওয়াদাওয়া করেন চুটিয়ে। এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘ঈদের সময়ে ডায়েট ভুলে যাই আরকি! যদিও ডায়েট আমি কমই করি। আমি জেনেটিক্যালি একটু শুকনা। সারা বছর যতটুকু ডায়েট করি, ঈদের সময়ে ততটুকুও করি না।’

ঝাল, টক, মিষ্টি— কোনটা খেতে বেশি পছন্দ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ফারিণ খান বলেন, “ঝাল, আমি ঝাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি।”

যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ে করছেন জায়েদ খান?

দেশের শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। তবে বিদেশে থাকলেও দেশের ঈদ মিস করছেন অভিনেতা। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মতো বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার। সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ