<p>দেশের সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের উৎসব ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। আয়োজকদের দাবি, এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীতের উৎসব। বিগত ৯ বছর ধরে এটি আয়োজন করে আসছে সান ফাউন্ডেশন। তবে ২০১৯ সালে উৎসবের পঞ্চম আসরের পর এটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য হয়নি ফোক ফেস্ট। পরবর্তী দুই বছরেও হয়নি আন্তর্জাতিক এই লোকসংগীতের উৎসব।</p> <p>আশার কথা হলো, চার বছরের বিরতি কাটিয়ে বসতে যাচ্ছে লোক গানের আসর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আয়োজকদের বেশ কয়টি সূত্র।</p> <p>জানা গেছে, এরই মধ্যে ফোক ফেস্ট নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সান ফাউন্ডেশনের আলোচনা শুরু হয়েছে। শিল্পী বাছাই প্রক্রিয়াও চলছে। সাধারণত শীতকালেই বসে গানের উৎসবটি। সেই ভাবনা থেকে আসছে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে ফোক ফেস্ট। বিগত বছরের মতো এবারও আর্মি স্টেডিয়ামেই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সান ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ‘স্পষ্ট করে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য এই মুহূর্তে নেই। তবে আলোচনা চলছে যেন আবারও লোক গানের উৎসবটি ফিরিয়ে আনা যায়। সারা দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল উৎসবটি। সবাই এটি উপভোগ করতে চান। সব কিছু অনুকূলে থাকলে আগের বছরগুলোর চেয়েও আরো জাঁকজমক করে এটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে। শিল্পী তালিকাতেও থাকবে চমক। বিশ্বের নানা দেশের শিল্পীরা অংশ নেবেন। চূড়ান্ত হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।’</p> <p>উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে এখন পর্যন্ত ১৭ দেশের ৫০০ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪-১৬ নভেম্বর, তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শাহ আলম সরকার, শফিকুল ইসলাম, মালেক কাওয়াল, ফকির শাহাবুদ্দিন, কাজল দেওয়ান, চন্দনা মজুমদার, কামরুজ্জামান রাব্বিসহ অনেকে। বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন শেভেনেবুরেবি (জর্জিয়া), হিনা নাসরুল্লাহ (পাকিস্তান), হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা (মালি), সাত্তুমা (রাশিয়া), জুনুন (পাকিস্তান)।</p>