দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন এলিটা করিম। ব্যান্ডের পাশাপাশি এককভাবেও নিজের সংগীতজীবন এগিয়ে নিয়েছেন তিনি। বছরশেষে নতুন অ্যালবাম নিয়ে এসেছেন এই সংগীতশিল্পী। ‘চিনি দেড় চামচ’ অ্যালবামটি সাজানো হয়েছে চারটি গান দিয়ে।
এলিটা করিম
আমি কোনো প্রতিযোগিতায় নেই
বিনোদন প্রতিবেদক

‘চিনি দেড় চামচ’ অ্যালবামটা সম্পর্কে জানতে চাই...
এটি একটি এক্সটেন্ডেড প্লে বা ইপি। এখানে চারটি গান রয়েছে।
অ্যালবামের নামটা বেশ আলাদা। কিভাবে এলো এই নাম?
এ বিষয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ভাই ভালো বলতে পারবেন। কারণ গানগুলো তাঁর লেখা, উদ্যোগটাও তাঁরই। তিনি গান লিখেছেন, পিলু ভাই সুর করেছেন, আমাকে বললেন গেয়ে দিতে, দিয়েছি।
আপনি চা পছন্দ করেন? চিনি কত চামচ?
আমি চা, কফি দুটোই খাই। তবে চা বেশি খাই। চিনি ছাড়া রং চা খাই, আদা-লেবু দিয়ে। মজার ব্যাপার হলো, আমাদের এই টিমের মধ্যে সবার বড় জঙ্গী ভাই। তিনি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব সচেতন। অত্যন্ত শৃঙ্খল একজন মানুষ। অথচ তিনি চায়ে চিনি খান। তো গান করতে গিয়ে আমরা এই বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক মজা করেছি।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও পিলু খান সংগীতাঙ্গনের জ্যেষ্ঠ মানুষ। আর আপনি একবিংশ শতকের তরুণ। তাঁদের সঙ্গে গান করতে কেমন লেগেছে?
খুবই ভালো। অনেক দিন ধরে চাচ্ছিলাম গত শতকের নব্বইয়ের দশকের ধাঁচে কিছু গান করতে। ‘চিনি দেড় চামচ’ সে রকমই। শ্রোতারা এর গানগুলো শুনলে সেই চিরচেনা আবহ পাবে। আরেকটি বিষয় হলো, যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, তাদের সঙ্গে গান করা, তাদের লেখা-সুরে গান গাওয়া তো বিশাল ব্যাপার। এখানে আমি শুধু তাঁদের কথা শুনেছি, আর গেয়েছি। একটি গান বাড়িয়ে ইপি করার পরামর্শ ছাড়া কোনো কথাই বলিনি। কারণ আমি নিজেই খুব কৌতূহলী ছিলাম। আমার জীবনের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হলো কাজটি করে।
২০ ডিসেম্বর একটি আনপ্লাগড শো করলেন, জয় শাহরিয়ারের সঙ্গে। কেমন ছিল শো?
খুব ভালো ছিল। আমি ছোট ক্রাউড (অল্প শ্রোতা) পছন্দ করি। কারণ আমি অনেক কথা বলি। অনেকেই বলেন, কথা কম বলে গান বেশি করতে। তবে আমি গানের ফাঁকে শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলতে খুব ভালোবাসি। তো ছোট আয়োজনে, অল্পসংখ্যক শ্রোতা থাকলে গল্প করতে সুবিধা হয়। ২০ ডিসেম্বরের শোতে শ-খানেক মানুষ এসেছিল। তারা আমাদের গান শোনার আগ্রহ নিয়েই এসেছিল। আমি সম্মানিত বোধ করছি যে মানুষ টিকিট কেটে ছুটির দিনে আমাদের গান শোনার জন্য এসেছিল। এটা বিশাল ব্যাপার। এর মানে তারা সত্যিকার অর্থেই আমাদের গান ভালোবাসে। এতে চাপও বেড়ে গেল, ভালো গান করতে হবে।
প্লাগড নাকি আনপ্লাগড—কোন ধরনের শোতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয়। তবে আমি অবশ্যই আনপ্লাগড পছন্দ করি। দুটি অ্যাকুইস্টিক গিটার, একটি কাহনের সঙ্গে গান করা, এতে ঘরোয়া অনুভব পাওয়া যায়। এটি আমার খুব ভালো লাগে।
প্রায় দুই যুগ আগে সংগীত এবং চাকরি দুটিই একই সময়ে শুরু করেছিলেন। সে সময় আপনার প্রচুর গানও প্রকাশিত হতো। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে গানের সংখ্যা একদম কমে গেল। কারণ কী?
এটি আসলে সময়ের পরিবর্তন। আমি বসে থাকব আর আমাকে কেউ গান দেবে, এখন এমনটা হয় না। নিজের উদ্যোগে গান করতে হবে। এই জানুয়ারিতে আমার সংগীত ক্যারিয়ারের ২৩ বছর হবে। সুতরাং এখন নিজ থেকেও কিছু করা প্রয়োজন। সেটি এরই মধ্যে শুরু করেছি। আমাকে সিনিয়র অনেক শিল্পী প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, ‘এলিটা, তুমি এত অলস কেন? নতুন গান করছ না কেন?’ হয়তো আমি অলস, সে কারণে গান কম। তবে আমি কোনো প্রতিযোগিতায় নেই, ধীরে-সুস্থে স্বাভাবিকভাবে গান করে যাচ্ছি।
সম্পর্কিত খবর

প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে ফেরদৌস ওয়াহিদের গান
বিনোদন প্রতিবেদক

প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে একটি দেশের গান নিয়ে আসছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার সঙ্গে আরো আছেন শিল্পী সাঈদা শম্পা। গানটির শিরোনাম, ‘দেখেছি সে তোমাকে’। গোলাম মোর্শেদের কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “যখন শুনেছি গানটি লাকী আখন্দের সুরে তখন আর না করতে পারিনি। পরে গানটির কথা ও সুর শুনে দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর এমন একটি দেশের গান করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকেই হয়তো জানে না আমার কালজয়ী গান ‘আগে যদি জানতাম, মন ফিরে চাইতাম’ গানটিও লাকী আখন্দের সুরের গান।
গীতিকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আমল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সময় পর্যন্ত বাঙারি সত্তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কেবলমাত্র বাংলাকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যারা, তাদের নিয়ে এই গান।
শম্পা বলেন, ‘এমন খ্যাতিমান ভারী ভারী মানুষদের সম্মিলনে তৈরি গানটিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি নিজে অনেক সম্মানিত বোধ করছি, শুধু সেটা নয়, স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবে আছি সেটা পরখ করতে নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে দেখার মতো অবস্থা হয়েছিল। আনন্দের মাত্রা ছিল ঠিক তেমনি, আমার জন্য।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ ‘গান জানালা’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত হবে।

মন ভালো করবে ‘হাউ সুইট’, বিরক্ত হওয়ার সুযোগ নেই : অমি
- কনটেন্ট বানিয়েছি ওটিটির, ফিডব্যাক পাচ্ছি সিনেমার
দেখার পর দর্শক বলবে, পয়সা উসুল
কনটেন্ট যতক্ষণ দর্শক ধরে রাখতে পারবে, আমি ঠিক ততটুকুই বানাই
বিনোদন প্রতিবেদক

অপরিচিত দুটি ছেলে-মেয়ের এক হঠাৎ জার্নি আর সেই জার্নিতে ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। সেই ঘটনাগুলো কী বলতে চায়—এমন গল্পের আভাসেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
এর মধ্যে ফিল্মটির টিজার, ট্রেলার এবং একটি গান উন্মুক্ত হয়েছে, যা দর্শকরা লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে ‘হাউ সুইট’, এমনটাই জানালেন এর পরিচালক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ওয়েব ফিল্মে রোমান্স, অ্যাকশন, কমেডি, নাচ-গান সব কিছুই রয়েছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘হাউ সুইট’ একটা গুড ফিল, অর্থাৎ মন ভালো করার মতো কনটেন্ট, একটা হ্যাভ ফান কনটেন্ট যেখানে একটু রোমান্স, একটু কমেডি, একটু অ্যাকশন থাকবে। দর্শকরা ঘরে বসে যেন একটু সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারে সে জন্যই ওটিটিতে কনটেন্টটি করেছি।
তিনি আরো বলেন, দর্শক এই ঈদে তাদের ওয়াচলিস্টে ‘হাউ সুইট’কে এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের ব্যাপ্তি অনেক সময় বেশি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
‘হাউ সুইট’-এর ব্যাপ্তি ৮৬ মিনিট, এন্ড টাইটেল মিলিয়ে ৯০ মিনিট। দর্শকের এক সেকেন্ডও বিরক্ত লাগবে না, বরং তারা বলবে আরো ১০ মিনিট বেশি হলে ভালো হতো।
বঙ্গ প্রযোজিত ‘হাউ সুইট’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল প্রমুখ।

হরনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুর গুজব, পরিচালকের ধিক্কার
বিনোদন ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, ‘প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তী!’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে টলিপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
এর পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, খবরটি ভুয়া।
এর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকাল যে কোনো কিছু লিখে দিয়ে ভিউ বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। মানসিকভাবে অত্যন্ত আহত হয়েছি এমন খবরে।
এর পর পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগে গত ১৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে তার স্ত্রী রাজশ্রী চক্রবর্তী মারা যান।
বললেন, সেই খবর অনেকেই জানতে পেরেছিলেন।
প্রসঙ্গত, হরনাথ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অঞ্জন চৌধুরীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হল মঙ্গলদ্বীপ (১৯৮৯)। তার পরিচালিত সাথী (২০০২) বাংলার তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।

ঈদে ১০ নাটক নিয়ে আসছেন নির্মাতা এস আই সোহেল
বিনোদন প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০টি একক নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা এস আই সোহেল। নাটকগুলো প্রযোজনা করেছেন পিএফএফ এন্টারটেইনমেন্ট, কেএসআর মাল্টিমিডিয়া, ফখরুল ইসলাম ও থ্রি স্টার ড্রামা।
নাটকগুলো হলো পিতার মতো শ্বশুর, ৫ টাকার কয়েন, সাইকো ম্যান, চাটগাইয়া বউয়ের ঠেলা, লতিফের সুন্দরী বউ, প্রবাসীর লাশ, আইল ঠেলা মুসুল্লি, শ্বশুরবাড়ি বরিশাল, শ্বশুরের খেদমত, প্রাক্তনের প্যারা। গল্পগুলো রচনা করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক ও সজিবুর রহমান পিন্টু।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শেলী আহসান, তন্ময় সোহেল, সাব্বির আহমেদ, একে আজাদ, মীম চৌধুরী, সামান্তা পপি, নেহা মনি, নওশীন নাহার, ফারজানা উর্মি, শিশির আহমেদ, নাবিলা চৌধুরী, রেশমি আহাম্মেদ, আনোয়ার শাহী, এম কে এইচ পামির, শিবা শানু, জিনিয়া যিনি, নাবিলা চৌধুরী, শিশির আহমেদ, ইমরান আজান, টি.এ. তুহিন খান, একে আলামিন, ইভা রহমান, টিটু বাঙ্গালী, লিটন, মাইমুনা মম, সাবিনা রনি, নাহার নৌরিন আরও অনেকে।
এর বাইরে এসআইসোহেল ‘রঙিন ফিলিংস’ নামে একটি বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল এবং শাহরিয়ার রাফাত। গানটির গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ।