জেলখানাতে থেকেও প্রেমে ভাঁটা পড়েনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের। সেখান থেকেই প্রেয়সী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জন্য প্রেমের বার্তা পাঠান তিনি। সেই একই ধারা বজায় রইল ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তেও।
জ্যাকলিনকে ফের প্রেমপত্র পাঠালেন সুকেশ।
জেলখানাতে থেকেও প্রেমে ভাঁটা পড়েনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের। সেখান থেকেই প্রেয়সী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জন্য প্রেমের বার্তা পাঠান তিনি। সেই একই ধারা বজায় রইল ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তেও।
জ্যাকলিনকে ফের প্রেমপত্র পাঠালেন সুকেশ।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জ্যাকলিনকে একটি উড়োজাহাজ উপহার দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই উড়োজাহাজের নাম প্রেমিকার নামের আদ্যক্ষরের (জে এফ) সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন সুকেশ।
দু’ পাতার চিঠিতে সুকেশ লিখেছেন, “বেবি গার্ল, তোমাকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। এই বছরটা খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। আমাদের দু’জনের জীবনেই ভালো কিছু ঘটছে। আমাদের কিছু মাত্র পথ হাঁটা বাকি।
সুকেশের এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই কি জ্যাকলিনের সঙ্গে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তার? সুকেশ সেই চিঠিতে আরও লেখেন, “বেবি, তুমি কি জানো, প্রেম দিবস আমাদের জীবনের জন্য কতটা বিশেষ? এমনই একটি দিনে আমরা পরস্পরকে মেনে নিয়েছিলাম। পরস্পরকে ক্ষমা করেছিলাম। তাই প্রেম দিবস উপলক্ষে তোমার জন্য বিশেষ উপহার হল একটি গাল্ফস্ট্রিম উড়োজাহাজ। সেখানে তোমার নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা রয়েছে।”
সেই উড়োজাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও জ্যাকলিনের জন্ম তারিখ ও মাসের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন সুকেশ। প্রেমিক সুকেশ লিখেছেন, “বেবি, তুমি সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াও কাজের জন্য। এবার থেকে এই উড়োজাহাজে করে ঘুরবে। তোমার যাতায়াতে খুব সুবিধা হবে। কেউ তোমাকে প্রশ্নও করতে পারবে না। তার কারণ, আমি এই বছরের আয়কর ফেরত দেওয়ার নথিতে এই উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ করেছি।”
সম্পর্কিত খবর
‘স্ত্রী’ ও ‘স্ত্রী ২’ দুটো সিনেমায় ব্যবসাসফল। পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছেন এর অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরও। এবার সিনেমাটির প্রযোজক দীনেশ নিজানের ওপর বেজায় চটেছেন শ্রদ্ধার অনুরাগীরা। সম্প্রতি ছবির পরিচালক অমর কৌশিক কথা প্রসঙ্গে বলে বসেন, দীনেশ বিজনের মতে, শ্রদ্ধা কাপুর ডাইনির মতো হাসেন।
কোমল নাহাটার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে অমর কৌশিক বলেন, ‘শ্রদ্ধার কাস্টিং (কৃতিত্ব) পুরো দীনেশ বিজনের প্রাপ্য। তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে একটি ফ্লাইটে আসছিলেন এবং তিনি বিমানে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
আর এই মন্তব্য ঘিরেই দীনেশ বিজন ও অমর কৌশিককে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রদ্ধা কাপুরের ভক্তরা। তারা সামাজিক মাধ্যমে অমর কৌশিক ও দীনেশ বিজনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রীতিমতো।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘প্রথমে আপনি তার নামে ছবির প্রচার করলেন, কোটি টাকা উপার্জন করলেন এবং তারপরে তাকে নিয়েই মশকরা করছেন।’ একইসঙ্গে আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘এই নারীবিদ্বেষী পুরুষরা কখনোই তাদের কাজ এবং অভিনয়ের প্রশংসা করবে না, কিন্তু দেখুন তারা কীভাবে কথা বলছে।
ভারতীয় বাজারে প্রায় ৫৯৭ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে ‘স্ত্রী ২’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর, রাজকুমার রাও এবং অপারশক্তি খুরানা।
এবার ঈদুল ফিতরে শাকিব খান ও শবনম বুবলী; দুজনের সিনেমাই মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। দেশের ১২০ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে শাকিবের ‘বরবাদ’ এবং অন্যদিকে বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ চলছে ১১টি প্রেক্ষাগৃহে।
বাবা-মায়ের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চললেও বয়স কম হওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখা হয়নি শাকিবপুত্র শেহজাদ খান বীরের। তবে সিনেমা দেখার জন্য বাসায় থিয়েটার নিয়ে আসার আবদার করেছেন তাদের ছেলে।
শেহজাদ খান বীরের একাধিক স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে তার মা শবনম বুবলী লিখেছেন, তাদের ছেলে সিনেমা দেখবেন, তবে থিয়েটারে গিয়ে নয়, থিয়েটারটাই যেন বাসায় নিয়ে আসা হয়। শেহজাদ নাকি এমন কথা তার মা শবনম বুবলীকে বলেছেন। ফেসবুকে তা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, শাকিব খানের গুলশানের বাসায় তোলা হয়েছে এসব স্থিরচিত্র।
বুবলীর এমন পোস্টের নিচের অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করছেন। ইসমাইল নামের একজন লিখেছেন, ‘শেহজাদ স্যার তো পুরা ভিআইপি লেভেলের! থিয়েটারে যাবে না, থিয়েটারকেই বাসায় আনবে! নেটফ্লিক্স তো পুরান কথা, এখন থিয়েটার হোম ডেলিভারি! স্যার বললে, হতেই হয়!’
মিরাজ নামের একজন লিখেছেন, ‘দারুণ বলেছে। এত কষ্ট করে থিয়েটারে যেয়ে দেখার সময় নাই, বাড়িতে নিয়ে আসো দেখে নেব।
একসঙ্গে চার শহরে স্বাধীনতা দিবস কনসার্টের আয়োজন করছে সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। রোজার কারণে ২৬ মার্চ আয়োজন করা না গেলেও ১১ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা কনসার্ট। গানে গানে মঞ্চ মাতাবেন শিল্পীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় সব ব্যান্ড।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কনসার্টের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এ কনসার্ট আয়োজন করা হচ্ছে। মার্চে রমজান মাস থাকায়, পিছিয়ে অনুষ্ঠানটি এপ্রিলে নেওয়া হয়।
ঢাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে পারফর্ম করবেন নগর বাউল জেমস। বিজয় দিবস কনসার্টেও জেমসের পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয়েছিল আয়োজন।
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে গান শোনাবে ব্যান্ড মাইলস, সোলস, আর্ক, লালন, অ্যাশেজ, সাবকনসাস, বে অব বেঙ্গল, তীরন্দাজ, মেট্রিক্যাল, সংগীতশিল্পী কিরণ দাস, ইমরান, কোনাল, চিশতি বাউল, তাসনিম আনিকা, সালমা, রায়হান, শুভ্র, মৌসুমী, ইথুন বাবু, পরাণ আহসান, আকলিমা মুক্তা ও ঋতুরাজ।
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে দর্শক মাতাবে ব্যান্ড ওয়ারফেজ, আর্বোভাইরাস, সোনার বাংলা সার্কাস, কার্নিভাল, বাংলা ফাইভ, কাগুল, কুঁড়েঘর, বিবর্তন, সংগীতশিল্পী মনির খান, আসিফ আকবর, বালাম, তাহসান খান, কনা, নাসির, জয় শাহরিয়ার, টুনটুন বাউল, রুখসার রহমান, লিজা ও পলাশ।
বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গাইবে ব্যান্ড আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ডিফরেন্ট টাচ, এমএনবি, ভাইকিংস, বাগধারা, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, কনকচাঁপা, আলম আরা মিনু, হৃদয় খান, কর্নিয়া, মিজান, লুইপা, কে জেড রাব্বী, মুত্তাকী হাসিব, রাজীব ও মুহিন।
ঘোষণা মতে, ১১ এপ্রিল চার শহরে একযোগে শুরু হবে কনসার্ট।
ইমরুল নূর
সুচিত্রা সেন, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম। তাকে মহানায়িকা বলেও আখ্যায়িত করা হয়। টেলিফোনের প্রতি অনীহা ছিল এই মহানায়িকার। তিনি কখনো টেলিফোন ধরতে চাইতেন না।
অভিনেত্রীর জন্মস্থান পাবনার হিমসাগর এলাকায় রয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা। সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে এই সংগ্রহশালা দারুণ দর্শনীয় একটি জায়গা। সেখানে তার স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রহশালা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, তার এই সংগ্রহশালায় রয়েছে তার বিভিন্ন সময়ের ছবির মূহুর্ত যা ফ্রেমে বাঁধাই করা।
টেলিফোনের প্রতি তার অনীহা বিষয়ে জানা গেছে সেই স্মৃতি সংগ্রহশালা থেকেই। সেখানে দেয়ালে টানানো একটি ফ্রেমে দেখা যায়, সেই কথারই একটা অংশ।
সুচিত্রা সেনের প্রকৃত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। আজ তার ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অন্তর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রাম সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস) পাবনা জেলার সদর পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই কিংবদন্তি। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন এক স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।
১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। তার দুই নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও অভিনেত্রী। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু তার অভিনীত প্রথম ছবিটি মুক্তি পায়নি।
উত্তম কুমারের বিপরীতে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। বাংলা ছবির এই অবিসংবাদিত জুটি পরবর্তী ২০ বছরে ছিলেন আইকন স্বরূপ।
বাংলাদেশে এই মহানায়িকার জন্মভিটা দীর্ঘকাল অবহেলিত ও বেদখল হয়ে ছিল। ২০১৭ সালে প্রশাসনের উদ্যোগে সুচিত্রা সেনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।
বর্তমানে এই সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুবেল। সেই রুবেল জানিয়েছিলেন, দখলমুক্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে মহানায়িকার বাড়িতে তার স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপন করে পাবনা জেলা প্রশাসন। সরকার এখানে একটি চলচ্চিত্র আর্কাইভ এবং একটি লাইব্রেরি করার পরিকল্পনা করেছে।