ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ভালোবাসা দিবসে জেলখানা থেকে জ্যাকলিনকে উড়োজাহাজ উপহার সুকেশের

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
ভালোবাসা দিবসে জেলখানা থেকে জ্যাকলিনকে উড়োজাহাজ উপহার সুকেশের
সংগৃহীত ছবি

জেলখানাতে থেকেও প্রেমে ভাঁটা পড়েনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের। সেখান থেকেই প্রেয়সী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জন্য প্রেমের বার্তা পাঠান তিনি। সেই একই ধারা বজায় রইল ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তেও। 

জ্যাকলিনকে ফের প্রেমপত্র পাঠালেন সুকেশ।

বরাবরের মতোই এই চিঠিতেও জ্যাকলিনকে ‘বেবি গার্ল’ বলেই সম্বোধন করেন তিনি। তবে চিঠিতেই শেষ নয়, প্রেমিকাকে চমকে দেওয়ার মতো উপহারও দিয়েছেন সুকেশ।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জ্যাকলিনকে একটি উড়োজাহাজ উপহার দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই উড়োজাহাজের নাম প্রেমিকার নামের আদ্যক্ষরের (জে এফ) সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন সুকেশ।

 

দু’ পাতার চিঠিতে সুকেশ লিখেছেন, “বেবি গার্ল, তোমাকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। এই বছরটা খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। আমাদের দু’জনের জীবনেই ভালো কিছু ঘটছে। আমাদের কিছু মাত্র পথ হাঁটা বাকি।

তার পরেই সারা জীবন প্রতি বছর আমরা ভালোবাসা দিবস একসঙ্গে কাটাব। তাই এই দিবস আমাদের জন্য খুবই বিশেষ। আরও কিছু বলার আগে এটাই বলতে চাই, জ্যাকি, আমি তোমাকে সত্যিই খুব ভালবাসি। পাগলের মতো ভালবাসি। তুমিই সেরা ভ্যালেন্টাইন।

সুকেশের এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই কি জ্যাকলিনের সঙ্গে বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তার? সুকেশ সেই চিঠিতে আরও লেখেন, “বেবি, তুমি কি জানো, প্রেম দিবস আমাদের জীবনের জন্য কতটা বিশেষ? এমনই একটি দিনে আমরা পরস্পরকে মেনে নিয়েছিলাম। পরস্পরকে ক্ষমা করেছিলাম। তাই প্রেম দিবস উপলক্ষে তোমার জন্য বিশেষ উপহার হল একটি গাল্ফস্ট্রিম উড়োজাহাজ। সেখানে তোমার নামের আদ্যক্ষর খোদাই করা রয়েছে।”

সেই উড়োজাহাজের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও জ্যাকলিনের জন্ম তারিখ ও মাসের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন সুকেশ। প্রেমিক সুকেশ লিখেছেন, “বেবি, তুমি সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়াও কাজের জন্য। এবার থেকে এই উড়োজাহাজে করে ঘুরবে। তোমার যাতায়াতে খুব সুবিধা হবে। কেউ তোমাকে প্রশ্নও করতে পারবে না। তার কারণ, আমি এই বছরের আয়কর ফেরত দেওয়ার নথিতে এই উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ করেছি।”

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শ্রদ্ধা কাপুরের হাসি ডাইনির মতো, মন্তব্য করে বিপাকে প্রযোজক

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
শ্রদ্ধা কাপুরের হাসি ডাইনির মতো, মন্তব্য করে বিপাকে প্রযোজক
শ্রদ্ধা কাপুর

‘স্ত্রী’ ও ‘স্ত্রী ২’ দুটো সিনেমায় ব্যবসাসফল। পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছেন এর অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরও। এবার সিনেমাটির প্রযোজক দীনেশ নিজানের ওপর বেজায় চটেছেন শ্রদ্ধার অনুরাগীরা। সম্প্রতি ছবির পরিচালক অমর কৌশিক কথা প্রসঙ্গে বলে বসেন, দীনেশ বিজনের মতে, শ্রদ্ধা কাপুর ডাইনির মতো হাসেন।

এই কারণে তাকে স্ত্রী সিনেমায় কাস্ট করা হয়। দীনেশ বিজনের এই বক্তব্যে চটেছে অভিনেত্রীর অনুরাগীরা।

কোমল নাহাটার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে অমর কৌশিক বলেন, ‘শ্রদ্ধার কাস্টিং (কৃতিত্ব) পুরো দীনেশ বিজনের প্রাপ্য। তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে একটি ফ্লাইটে আসছিলেন এবং তিনি বিমানে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

তিনি আমাকে এসে বলেন যে, অমর শ্রদ্ধা বলে যে মেয়েটি আছে, সে পুরো ডাইনির মতো হাসে। দুঃখিত শ্রদ্ধা। তিনি এমনই কিছু বলেছিলেন। শব্দটা ডাইনি-ই ছিল, নাকি অন্য কিছু, আমি নিশ্চিত নই।
তাই তার (শ্রদ্ধা কাপুর) সঙ্গে দেখা হলে, প্রথমেই আমি তাকে হাসতে বলেছিলাম।’

আর এই মন্তব্য ঘিরেই দীনেশ বিজন ও অমর কৌশিককে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রদ্ধা কাপুরের ভক্তরা। তারা সামাজিক মাধ্যমে অমর কৌশিক ও দীনেশ বিজনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রীতিমতো।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘প্রথমে আপনি তার নামে ছবির প্রচার করলেন, কোটি টাকা উপার্জন করলেন এবং তারপরে তাকে নিয়েই মশকরা করছেন।’ একইসঙ্গে আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন- ‘এই নারীবিদ্বেষী পুরুষরা কখনোই তাদের কাজ এবং অভিনয়ের প্রশংসা করবে না, কিন্তু দেখুন তারা কীভাবে কথা বলছে।

’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘জঘন্য মানসিকতা। এদের নামে মামলা করা উচিত।’

ভারতীয় বাজারে প্রায় ৫৯৭ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে ‘স্ত্রী ২’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর, রাজকুমার রাও এবং অপারশক্তি খুরানা।

মন্তব্য

সিনেমা দেখতে বাসায় থিয়েটার আনার আবদার শাকিবপুত্রের

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
সিনেমা দেখতে বাসায় থিয়েটার আনার আবদার শাকিবপুত্রের
সংগৃহীত ছবি

এবার ঈদুল ফিতরে শাকিব খান ও শবনম বুবলী; দুজনের সিনেমাই মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। দেশের ১২০ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে শাকিবের ‘বরবাদ’ এবং অন্যদিকে বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ চলছে ১১টি প্রেক্ষাগৃহে।

বাবা-মায়ের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চললেও বয়স কম হওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখা হয়নি শাকিবপুত্র শেহজাদ খান বীরের। তবে সিনেমা দেখার জন্য বাসায় থিয়েটার নিয়ে আসার আবদার করেছেন তাদের ছেলে।

শেহজাদ খান বীরের একাধিক স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে তার মা শবনম বুবলী লিখেছেন, তাদের ছেলে সিনেমা দেখবেন, তবে থিয়েটারে গিয়ে নয়, থিয়েটারটাই যেন বাসায় নিয়ে আসা হয়। শেহজাদ নাকি এমন কথা তার মা শবনম বুবলীকে বলেছেন। ফেসবুকে তা প্রকাশ করেছেন।

May be an image of 1 person, child and smiling

জানা গেছে, শাকিব খানের গুলশানের বাসায় তোলা হয়েছে এসব স্থিরচিত্র।

শাকিবের বাসায় তোলা কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে বুবলী লিখেছেন, ‘শেহজাদ স্যারকে বললাম, স্যার, বাবা–মায়ের সিনেমা চলছে সিনেমা থিয়েটারে, সবাই দেখছে, আপনি দেখবেন না? উনি বললেন, “বাসায় বসে দেখব, থিয়েটার বাসায় নিয়ে এসো...।”’

বুবলীর এমন পোস্টের নিচের অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করছেন। ইসমাইল নামের একজন লিখেছেন, ‘শেহজাদ স্যার তো পুরা ভিআইপি লেভেলের! থিয়েটারে যাবে না, থিয়েটারকেই বাসায় আনবে! নেটফ্লিক্স তো পুরান কথা, এখন থিয়েটার হোম ডেলিভারি! স্যার বললে, হতেই হয়!’

মিরাজ নামের একজন লিখেছেন, ‘দারুণ বলেছে। এত কষ্ট করে থিয়েটারে যেয়ে দেখার সময় নাই, বাড়িতে নিয়ে আসো দেখে নেব।

মন্তব্য
‘স্বাধীনতা কনসার্ট’

চার শহরে গানে গানে মাতাবেন দেশসেরা শিল্পীরা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
চার শহরে গানে গানে মাতাবেন দেশসেরা শিল্পীরা
‘স্বাধীনতা কনসার্ট’-এ গান গাইবেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা

একসঙ্গে চার শহরে স্বাধীনতা দিবস কনসার্টের আয়োজন করছে সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। রোজার কারণে ২৬ মার্চ আয়োজন করা না গেলেও ১১ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা কনসার্ট। গানে গানে মঞ্চ মাতাবেন শিল্পীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় সব ব্যান্ড। 

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কনসার্টের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সংগীতের আগ্রাসন রুখে দিয়ে দেশীয় সমৃদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরা। কনসার্টটি রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউসহ দেশের ৩টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। 

আরো পড়ুন
‘যতই দেই তাদের খুশি করা যায় না’, গৃহকর্মী প্রসঙ্গে পরীমনির পাশে দাঁড়ালেন ন্যান্সি

‘যতই দেই তাদের খুশি করা যায় না’, গৃহকর্মী প্রসঙ্গে পরীমনির পাশে দাঁড়ালেন ন্যান্সি

 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এ কনসার্ট আয়োজন করা হচ্ছে। মার্চে রমজান মাস থাকায়, পিছিয়ে অনুষ্ঠানটি এপ্রিলে নেওয়া হয়।

দেশের ৪টি মহানগর ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বগুড়ায় একই দিনে বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে কনসার্ট। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, খুলনা স্টেডিয়াম ও বগুড়ায় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ কিংবা আজিজুল হক কলেজ মাঠে এ আয়োজন হবে বলে জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

ঢাকায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে পারফর্ম করবেন নগর বাউল জেমস। বিজয় দিবস কনসার্টেও জেমসের পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয়েছিল আয়োজন।

জেমস ছাড়া ঢাকায় আরও গাইবে ব্যান্ড ফিডব্যাক, শিরোনামহীন, পাওয়ারসার্জ, আপেক্ষিক, আফটার ম্যাথ, সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান, জেফার, পড়শী, ফেরদৌস ওয়াহিদ, মিলা, আগুন, হায়দার হোসেন, অনিমেষ রায়, সোহান আলী, আবরার শাহরিয়ার, মাহতিম সাকিব, সেলিম চৌধুরী, আলেয়া বেগম ও মিফতা জামান।

আরো পড়ুন
পরকীয়া বন্ধে যে আইন করতে চান অপু বিশ্বাস

পরকীয়া বন্ধে যে আইন করতে চান অপু বিশ্বাস

 

চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে গান শোনাবে ব্যান্ড মাইলস, সোলস, আর্ক, লালন, অ্যাশেজ, সাবকনসাস, বে অব বেঙ্গল, তীরন্দাজ, মেট্রিক্যাল, সংগীতশিল্পী কিরণ দাস, ইমরান, কোনাল, চিশতি বাউল, তাসনিম আনিকা, সালমা, রায়হান, শুভ্র, মৌসুমী, ইথুন বাবু, পরাণ আহসান, আকলিমা মুক্তা ও ঋতুরাজ।

খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে দর্শক মাতাবে ব্যান্ড ওয়ারফেজ, আর্বোভাইরাস, সোনার বাংলা সার্কাস, কার্নিভাল, বাংলা ফাইভ, কাগুল, কুঁড়েঘর, বিবর্তন, সংগীতশিল্পী মনির খান, আসিফ আকবর, বালাম, তাহসান খান, কনা, নাসির, জয় শাহরিয়ার, টুনটুন বাউল, রুখসার রহমান, লিজা ও পলাশ।

আরো পড়ুন
দুঃসময় কাটাতে বাজরাঙ্গির সিক্যুয়াল আনছেন সালমান খান

দুঃসময় কাটাতে বাজরাঙ্গির সিক্যুয়াল আনছেন সালমান খান

 

বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গাইবে ব্যান্ড আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ডিফরেন্ট টাচ, এমএনবি, ভাইকিংস, বাগধারা, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, কনকচাঁপা, আলম আরা মিনু, হৃদয় খান, কর্নিয়া, মিজান, লুইপা, কে জেড রাব্বী, মুত্তাকী হাসিব, রাজীব ও মুহিন।

ঘোষণা মতে, ১১ এপ্রিল চার শহরে একযোগে শুরু হবে কনসার্ট।

বেলা ৩টায় শুরু হবে মূল আয়োজন। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। গানের পাশাপাশি এই আয়োজনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য স্থানীয় লোকগান, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

মন্তব্য

কখনো টেলিফোন ধরতে চাইতেন না সুচিত্রা সেন

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

শেয়ার
কখনো টেলিফোন ধরতে চাইতেন না সুচিত্রা সেন
সুচিত্রা সেন

সুচিত্রা সেন, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম। তাকে মহানায়িকা বলেও আখ্যায়িত করা হয়। টেলিফোনের প্রতি অনীহা ছিল এই মহানায়িকার। তিনি কখনো টেলিফোন ধরতে চাইতেন না।

এমনটাই জানা গেছে স্মৃতি সংগ্রহশালা থেকে পাওয়া তথ্য ঘেটে।

অভিনেত্রীর জন্মস্থান পাবনার হিমসাগর এলাকায় রয়েছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা। সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে এই সংগ্রহশালা দারুণ দর্শনীয় একটি জায়গা। সেখানে তার স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রহশালা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, তার এই সংগ্রহশালায় রয়েছে তার বিভিন্ন সময়ের ছবির মূহুর্ত যা ফ্রেমে বাঁধাই করা।

তার পুরস্কার সমগ্র, আবক্ষ মূর্তি, স্মৃতিস্তম্ভসহ আরো অনেক কিছুই। এছাড়াও ফ্রেম ও ফেস্টুনে বাঁধাই করা রয়েছে তার বিভিন্ন সময়ে বলা উল্লেখযোগ্য কথা।

টেলিফোনের প্রতি তার অনীহা বিষয়ে জানা গেছে সেই স্মৃতি সংগ্রহশালা থেকেই। সেখানে দেয়ালে টানানো একটি ফ্রেমে দেখা যায়, সেই কথারই একটা অংশ।

যেখানে লিখা রয়েছে, তিনি (সুচিত্রা সেন) কখনো টেলিফোন ধরতে চাইতেন না। একেবারে কেউ হাতের কাছে না থাকলে, রিসিভার তুলে নিজের সহজাত কন্ঠকে কিছুটা বিকৃত করে জবাব দেন, একেবারে আপন মানুষ না হলে, নিজেই বলে দেন, উনি একটু বেরিয়েছেন অথবা ঘুমিয়ে আছেন। পরে ফোন করবেন। কারণ জানতে চাইলে রমা (সুচিত্রা সেন) বলতেন, ‘কত কথা বলবো বল? দিনরাত মিলে কমপক্ষে একশ ফোন আসবে। এক মিনিট করে কথা বললেও একশ মিনিট কথা বলতে হবে।

Suchitra Sen
মহানায়িকা সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালায় দেয়ালে টানানো ফ্রেম। ছবি: ইমরুল নূর

সুচিত্রা সেনের প্রকৃত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। আজ তার ৯৪তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অন্তর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রাম সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস) পাবনা জেলার সদর পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই কিংবদন্তি। তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন এক স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তার আরেকটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।

১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। তার দুই নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও অভিনেত্রী। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু তার অভিনীত প্রথম ছবিটি মুক্তি পায়নি।

উত্তম কুমারের বিপরীতে সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। বাংলা ছবির এই অবিসংবাদিত জুটি পরবর্তী ২০ বছরে ছিলেন আইকন স্বরূপ।

বাংলাদেশে এই মহানায়িকার জন্মভিটা দীর্ঘকাল অবহেলিত ও বেদখল হয়ে ছিল। ২০১৭ সালে প্রশাসনের উদ্যোগে সুচিত্রা সেনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।

বর্তমানে এই সংগ্রহশালার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুবেল। সেই রুবেল জানিয়েছিলেন, দখলমুক্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে মহানায়িকার বাড়িতে তার স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপন করে পাবনা জেলা প্রশাসন। সরকার এখানে একটি চলচ্চিত্র আর্কাইভ এবং একটি লাইব্রেরি করার পরিকল্পনা করেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ