ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬

স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদ কমায় যে খাবারগুলো

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদ কমায় যে খাবারগুলো

সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো ননকমিউনিকেবল ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আর এই সবক'টি রোগেই বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছে যুবসমাজ। শুধু তাই নয়, আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে।

রিপোর্টটিতে আর বলা হয়েছে, যে যে ননকমিউনিকেবল ডিজডিজের প্রকোপ গত কয়েক বছরে সবথেকে বেশিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল উচ্চ রক্তচাপ।

সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা আরও চিন্তায় পড়ে গেছেন। কারণ রক্তচাপ ওঠানামা করলে হার্টের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। ফলে একদিকে যেমন হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে, তেমনি নানাবিধ হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

এখন প্রশ্ন হল, উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা এত বাড়ছে কেন? বেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেসের কারণে কম বয়সেই শরীরে এসে বাসা বাঁধতে প্রেসারের রোগ, যা ধীরে ধীরে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে।

আর বিশেষ করে বেসরকারি খাতে কর্মরত তরুণ কর্মীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি স্ট্রেসের শিকার। যারা আবার ওবেসিটি বা স্থুলতার সমস্যায়ও ভুগছে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে ওজন যত বাড়তে থাকবে, তত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরল এবং হার্টের রোগের মতো নন-কমিউনিকেবল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই স্ট্রেস কমানো যায় কিভাবে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আর এই কজটি করবেন কিভাবে?

গবেষণা বলছে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি এবং মানসিক অবসাদ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খাবারগুলি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে মানসিক চাপ কমাতে কোনও সমস্যাই হয় না। কী কী খাবার এক্ষেত্রে সঙ্গে রাখাটা জরুরি?

১. দই
দুধ-দই সহ আরও যেসব দুগ্ধজাত খাবার রয়েছে, তাতে টাইরোসিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর সেরোটনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিমেষে মন ভাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদও কমতে শুরু করে।

আরও একভাবে দই বা দুধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দইয়ে থাকা প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর মস্তিষ্কের ভেতরে নিউরোহরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে ব্রেন সেলগুলি শান্ত হতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র স্ট্রেস লেভেলও কমতে থাকে।

২. ডার্ক চকলেট
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, একটু তিতকুটে খেতে এই বিশেষ ধরনের চকলেটটি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অন্যান্য স্ট্রেস সম্পর্কিত বায়ো-কেমিক্যালের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ কমতে থাকে। আসলে ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যে শুধু স্ট্রেস কমায়, এমন নয়। সেই সঙ্গে আরও নানা রকমের জটিল রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. সাইট্রাস ফল
লেবু, কমলা লেবু অথবা মুসাম্বি লেবুর মতো পছন্দের যেকোনো একটা সাইট্রাস ফল প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস লেভেল কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, সাইট্রাস ফলের পাশাপাশি যেকোনো ফলেই প্রাকৃতিক সুগার রয়েছে, যা মানসিক চপা কামতে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন বেদানা বা ডালিম ফলটি মানসিক চাপ কমায় দ্রুত।

৪. বাদাম
এতে থাকা ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক একদিকে সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি অন্যদিকে মানসিক চাপ সম্পর্কিত নানাবিধ শারীরিক সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। এক কথায় বলা যেতে পারে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতে বাদামের বাস্তবিকই কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৫. মাছ
প্রতিদিন যদি মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে স্ট্রেস নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না। কারণ এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, সেরাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমতে শুরু করে।

৬. রসুন
স্ট্রেস লেভেল বাড়তে শুরু করলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রাও বাড়তে থাকে। যে কারণে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন যদি এক কোয়া করে রসুন খাওয়া শুরু করেন, তাহলে স্ট্রেস তো কমেই। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার এবং বাজে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

তবে মানসিক চাপ কমানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হলো দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। যেজন্য সবসময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা এবং আশাবাদী হওয়াটা জরুরি।
সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সন্ধ্যার পর যেসব খাবার খেতে মানা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সন্ধ্যার পর যেসব খাবার খেতে মানা
সংগৃহীত ছবি

পেটকে ভুঁড়িহীন ও নির্মেদ রাখার জন্য চেষ্টা করছেন অনেকেই। এটি অর্জনের জন্য লড়াইও করছেন। বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ এবং ব্যায়াম করার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পান না। এর জন্য দায়ী হতে পারে রাতের খাবার।

কিছু খাবার আছে, যেগুলো দিনের বেলা খাওয়ার জন্য বেশি উপযুক্ত এবং রাতে সেগুলো এড়িয়ে চললে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন, তা জানতে পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদন।

পুষ্টিবিদদের মতে, সন্ধ্যা ৬টার পর কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তাহলে তলপেটের অতিরিক্ত চর্বি সাফ হবে নিমেষে।

আরো পড়ুন
কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

কাজুবাদামেরও রুটি হয় নাকি

 

সন্ধ্যা ৬টার পর কেক, কুকিজ ও চকোলেটের মতো চিনিযুক্ত খাবার একেবারেই নিষিদ্ধ। ক্যালরি বেশি হওয়ায় এগুলো পেটে চর্বি জমাতে পারে, যার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এই পরিবর্তনটি করা প্রথমে কিছুটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু একবার করলে আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।

পুষ্টিবিদরা রাতে ভারী প্রোটিন এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেন।

প্রোটিন স্বাস্থ্যকর হলেও লাল মাংসের মতো ভারী খাবার হজম করা কঠিন হতে পারে। এটি ঘুমানোর সময় পেটের সমস্যা তৈরি করে। তাই মুরগির বুকের মাংস বা ডিমের মতো হালকা প্রোটিন খান।

আমরা সবাই জানি যে কার্বনেটেড পানীয় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। সমতল পেট অর্জনের চেষ্টা করার সময় এগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা অপরিহার্য।

বিশেষ করে সন্ধ্যা ৬টার পরে। এর ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা ও চর্বি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

 

সন্ধ্যা ৬টার পর দুগ্ধজাত দ্রব্য পরিহার করার পরামর্শও দেন পুষ্টিবিদরা। দুগ্ধজাত দ্রব্য পেটের জন্য বেশ ভারী এবং এর ফলে পেট ফাঁপা ও হজমের সমস্যা হতে পারে। দুধ, পনির, দই ও ক্রিম রাতের বেলায় না খেয়ে দিনের বেলায় খেতে পারেন।

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলার আরেকটি জিনিস। আপনি যদি সাদা ভাতপ্রেমী, পাস্তাপ্রেমী, অথবা রুটিপ্রেমী হোন— তাহলে আপনার রাতের খাবারে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করুন। এগুলো খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের স্পাইক ও পেটের চর্বি জমে যেতে পারে।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাকোড়া, কচুরি ও সমুচার মতো ডিপ ফ্রায়েড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলোতে ক্যালরি বেশি থাকে এবং বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে, যার ফলে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে পারে।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

তাই সন্ধ্যা ৬টার পর যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত, সেগুলো আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। একবার এটি করা শুরু করলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

আধুনিক যুগে সম্পর্কের তৃতীয় ব্যক্তি কে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
আধুনিক যুগে সম্পর্কের তৃতীয় ব্যক্তি কে?
সংগৃহীত ছবি

যেকোনো সম্পর্কেই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ খারাপ কিছু বয়ে আনে। তৈরি করে নানাবিধ সমস্যা। দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদের কারণও হয় তৃতীয় ব্যক্তি। আধুনিক যুগে সম্পর্কে তিন নম্বর ব্যক্তি হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন।

একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিবর্তে ফোনে বুঁদ হয়ে থাকে বেশিরভাগ মানুষ। সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করছে এই ফোন। জেন জি-দের ভাষায় এই সমস্যার নাম হয়েছে ‘ফাবিং’। যেখানে সঙ্গীকে সময় দেওয়ার বদলে মানুষ নিজের স্মার্টফোনকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে হলে কমাতে হবে স্ক্রিনটাইম এবং দরকার ডিজিটাল ডিটক্স। মোবাইল ফোনের সঙ্গ ত্যাগ করে একে-অন্যের কাছে আসবেন কিভাবে, রইল সেই টিপস। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

 

সময় কাটানো

ব্যস্ত জীবনের মাঝে একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না।

তা ছাড়া এই ডিজিটালের যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া এক পা চলা যায় না। তাই চেষ্টা করুন দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর। একসঙ্গে ডিনার করতে পারেন। কিংবা ডিনারের শেষে গল্প কর‍তে পারেন।

ছুটির দিন উপভোগ করুন

সারা সপ্তাহ যখন একে-অন্যকে সময় দিতে পারেন না, তখন ছুটির দিনগুলো একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন।

ছুটির দিন একে-অন্যকে সময় দিন। একসঙ্গে বাড়ির কাজ করা, রান্না করা, শপিং করতে যাওয়া কিংবা ডিনারে যাওয়ার মতো কাজ করতে পারেন। এতে একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। চেষ্টা করুন সপ্তাহান্তগুলোতে শুধু একে-অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং ফোন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

একসঙ্গে বেড়াতে যান

সম্পর্কের জন্য এবং নিজের জন্য ডিজিটাল ডিটক্স ভীষণ জরুরি। মাঝে মাঝে ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যান। এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই। এতে স্মার্টফোনে নোটিফিকেশন ঢুকবে না এবং আপনিও ঘন ঘন মোবাইল ঘাঁটবেন না। সঙ্গীকে বেশি সময় দিতে পারবেন এবং সম্পর্ককে আরো সুন্দর কিভাবে করা যায়, সেই চেষ্টাই করবেন।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য
রাশিফল

আজ ৩০ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৩০ মার্চ, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

আরো পড়ুন
মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

 

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার সিদ্ধান্ত অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কাজকর্মে উন্নতির যোগ প্রবল।

কাজে অন্যদের উৎসাহিত করতে পারবেন। বুদ্ধি সঠিক পথে পরিচালিত হবে। নতুন যোগাযোগকে কাজে লাগান। সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে। কাছের মানুষদের সহযোগিতা পাবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। অস্থির চিন্তায় কাজ নষ্ট করবেন না। মন ভালো রাখুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কাজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে। কিছু অর্থ অপচয় হওয়ার আশঙ্কা।

পেশাগত ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হবে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। কাজে গতিশীলতা আনুন। পরিবেশ পক্ষে থাকবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো ভালো কাজে অবদান রাখতে পারবেন। আটকে থাকা টাকা হাতে আসতে পারে। ব্যবসায় ভালো উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা। আপনার হাতে যদি একাধিক কাজ থাকে, সেখান থেকে একটি কাজ বেছে নিন।

আরো পড়ুন
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৩০ মার্চ)

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৩০ মার্চ)

 

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): আজকের দিনটি আপনার জন্য শুভ ফলদায়ক হতে পারে। কাজে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। অর্থাভাবে আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে। বুদ্ধিবলে কঠিন সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কাজে উৎসাহ পাবেন। প্রিয়জনের জন্য মানসিক চাপ থাকতে পারে। পেশাগত লক্ষ্য পূরণে সতর্ক থাকতে হবে। অবস্থা বুঝে যেকোনো কাজে অগ্রসর হবেন। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রেম সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিষ্পত্তি করুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): নতুন কোনো উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। সম্মিলিত চেষ্টায় কোনো কাজের অগ্রগতি হবে। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পক্ষে থাকবে। হঠাৎ কোনো সুযোগ আসতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ফল দেবে।

আরো পড়ুন
মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

মাঠে ফিরেই গোল মেসির, জিতল মায়ামি

 

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো প্রচেষ্টায় বাধা আসতে পারে। উদ্বেগের মধ্যেই কোনো সুযোগ লাভহবে। মানসিক অস্থিরতা থাকলে তা সামলে নিন। কাজে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করুন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো কাজের জন্য প্রশংসা পাবেন। প্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতি হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। আর্থিক ব্যাপারে সচেতন থাকুন। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজন আজ আপনার কাছে অগ্রাধিকার পাবে। কোনো কাজে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। নিজের দুর্বলতা অন্যকে না বলাই ভালো। কাজ নিরলসভাবে করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন।

আরো পড়ুন
ভূমিকম্পের পরও মায়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা থেমে নেই

ভূমিকম্পের পরও মায়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা থেমে নেই

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। কোনো আত্মীয় মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় অগ্রগতি হবে। অর্থাগমের সুযোগ আসতে পারে। সঠিক প্রচেষ্ঠায় পরিবর্তন সম্ভব। নিজেকে সংযত রাখুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ সময় ভালো কাটবে। অর্থযোগ ভালো। ব্যবসায় উন্নতির সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কঠোর মনোভাব বজায় রাখুন। ব্যবসায় অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন এড়িয়ে চলুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বকাঝকা না করেও বাচ্চাদের বোঝাবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শিশুদের শাসন করা প্রতিটি মা-বাবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের তিরস্কার করে বা কঠোর শাস্তি দিয়ে শাসন করা উচিত। সঠিক উপায়ে শৃঙ্খলা শেখানোর মাধ্যমে শিশুরা কেবল দায়িত্বশীল হয় না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়।

আপনি যদি ভালোবাসা, ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখান, তাহলে তারা সব কিছু বুঝতে পারবে এবং মেনে চলবে।

আর সন্তানদের রাগ না দেখিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে চাইলে কিছু সহজ ও কার্যকর টিপস আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসুন, জেনে নিই এমন ১০টি সহজ টিপস।

আগে থেকেই নিয়ম বুঝিয়ে দিন

আপনি যদি চান যে শিশু কোনো ভুল না করুক, তাহলে তাকে আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলুন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। বারবার তিরস্কার করার পরিবর্তে শুরু থেকেই বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেওয়া ভালো।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

ভালো কাজের প্রশংসা করুন

যদি শিশু ভালো কিছু করে, তাহলে তার প্রশংসা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে নিজেই তার খেলনা সংগ্রহ করে অথবা সময়মতো তার বাড়ির কাজ করে, তাহলে তাকে বাহবা দিন অথবা হালকা আলিঙ্গন করুন। এটি তাকে আরো ভালো করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

কিছু পছন্দ করতে দিন

সন্তানের ওপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কিছু বিকল্প দেওয়া ভালো।

উদাহরণস্বরূপ, সে আগে খাবে নাকি কাজ সেরে খাবে ইত্যাদি। এটি তাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত হতে সাহায্য করবে।

ভুলের প্রভাব অনুভব করান

শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, একটি বুদ্ধিমান পদ্ধতি অবলম্বন করুন - শিশুকে তার ভুলের প্রভাব অনুভব করান। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে তার খেলনা সংগ্রহ না করে, তাহলে পরের দিন তাকে কম খেলনা দিয়ে খেলতে দিন। এতে সে বুঝতে পারবে যে যখন সে গোলমাল করবে তখন কী হবে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

যেমন আশা করেন তেমন আচরণ করুন

শিশুর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা যায় তেমন আচরণ করুন। আপনি যদি চান যে শিশু রাগে চিৎকার না করুক, তাহলে নিজে তার ওপর চিৎকার করা এড়িয়ে চলুন। শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে।

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে দিন

প্রতিবার বাধা দেওয়ার চেয়ে শিশুকে চিন্তা করার সুযোগ দেওয়া ভালো। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘তুমি যদি এটা করো তাহলে কী হবে?’ এতে সে নিজে চিন্তা করবে এবং তার ভুল সংশোধন করবে।

মনোযোগ সহকারে কথা শুনুন

যদি শিশুটি রাগের বশে কিছু বলে, তাহলে তাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে প্রথমে তার কথা শোনা ভালো। যখন সে অনুভব করবে যে তার কথার গুরুত্ব আছে, তখন সে আপনার কথাও শুনবে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

প্রতিদিনের রুটিন ঠিক করুন

আপনার সন্তানের ঘুম, খেলাধুলা ও পড়াশোনার সময় ঠিক করুন। এইভাবে সে সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং তাকে বারবার বাধা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন

যদি শিশুটি কোনো ভুলের ওপর অটল থাকে তাহলে তাকে তিরস্কার করার পরিবর্তে তার মনোযোগ অন্য কোনো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া ভালো।

ব্যাখ্যা করুন

শিশুকে শাসন করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত ও ধৈর্যশীল হওয়া। রাগের বশে চিৎকার করলে শিশুটিও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া হয় তাহলে খুব বেশি কঠোরতা ছাড়াই শিশুরা ভালোভাবে শৃঙ্খলা শিখতে পারবে এবং নিজেরাই দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারবে।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ