<article> <p style="text-align: justify;">সারা দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে বয়স্ক ব্যক্তিদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীদের বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। কারণ ডায়াবেটিক রোগীদের এই গরমে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগার আশঙ্কা থাকে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>পানিশূন্যতার ঘাটতি মেটাতে করণীয়</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦ কিডনি ও হার্টের সমস্যা না থাকলে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। ষ প্রয়োজনে লবণ-পানি বা ওরস্যালাইন খেতে পারেন। ♦ অল্প লবণ ও চিনি দিয়ে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। ♦ যাঁরা এম্পাগ্লিফ্লোজিন গ্রুপের ওষুধ খাবেন, তাঁদের অবশ্যই বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কারণ এই ওষুধের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ♦ বাইরের শরবত, আখের রস এগুলো খাওয়া যাবে না। এগুলো থেকে ভাইরাল হেপাটাইটিস বা জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>অসুস্থ হলে করণীয়</strong></p> <p style="text-align: justify;">এই গরমে পেটের পীড়া ও জ্বরে আক্রান্ত ডায়াবেটিক রোগী বেশি আসছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পেটের সমস্যার সঙ্গে জ্বর থাকলে—</p> <p style="text-align: justify;">♦ বারবার অল্প অল্প করে তরল খাবার খেতে হবে। ষ ওরস্যালাইন খাওয়া যাবে।<br /> ♦ মিষ্টি ফল ও ফলের রস না খাওয়া ভালো। যেমন—মাল্টা, আঙুর, আনার এগুলো দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। ষ জ্বর ও পেট খারাপ থাকলে মেটফরমিন জাতীয় ওষুধ বন্ধ রাখা ভালো। কারণ এটি পাতলা পায়খানা আরো বাড়াতে পারে। খাবারের রুচি কমাতে পারে।<br /> ♦ ডায়াবেটিস কমে গেলে বা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>খাদ্যতালিকা কেমন হবে?</strong></p> <p style="text-align: justify;">♦ ডায়াবেটিক রোগীদের এই গরমে সহজে পরিপাক হয় এমন খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারেন, দুপুরে ভাত কম পরিমাণে খেয়ে সবজি, সালাদ, ডাল বেশি পরিমাণে খাবেন। সকালের খাবারে রাখতে পারেন রুটি-সবজি, একটি ডিমও খেতে পারেন। কোলেস্টেরল বেশি থাকলে কুসুম ছাড়া খাওয়া ভালো। ♦ সকাল ১১টায় ফল খেতে পারেন, যেগুলো কম মিষ্টি যেমন—সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, অল্প তরমুজও খেতে পারেন। ♦ রাতে শোয়ার সময় হালকা খাবার খেয়ে ঘুমাবেন। মিষ্টি ছাড়া যেকোনো কিছু খেতে পারেন। ♦ যাঁদের কোলেস্টেরল এবং ওজন বেশি তাঁরা তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড এবং গরু-খাসির মাংস এড়িয়ে চলবেন।</p> <p style="text-align: justify;">ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে</p> <p style="text-align: justify;">♦ বেশিক্ষণ হাঁটা বা ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়ামের জন্য খুব ভোর বা সন্ধ্যার সময়টা বেছে নিতে পারেন। ষ অতিরিক্ত ঘাম হলে, হাত-পা কাঁপলে হাঁটা বা ব্যায়াম বন্ধ রাখতে হবে। ব্যায়ামের ফাঁকে তরল খাবার বা ওরস্যালাইন খেতে পারেন।</p> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;"><strong>ডা. মো. মাজহারুল হক তামিম</strong></p> <p style="text-align: justify;">মেডিসিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ</p> <p style="text-align: justify;">ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা</p> </article>