ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
বয়স্কদের সুস্থতায় যা করণীয়
সংগৃহীত ছবি

পঞ্চাশের পর সুস্থ থাকা খুব কঠিন কিছু নয়, তবে প্রয়োজন শুধু বিচক্ষণ জীবনযাপন। দেহ-মনের সুস্থতায় প্রতিকারের চেয়ে সব সময়ই প্রতিরোধ শ্রেয়, সে লক্ষ্যে করণীয় রয়েছে অনেক। আর তা-ই জানাচ্ছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ইরতিফা যাবিন।

সুস্থ থাকতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে পঞ্চার্ধোদের।

তাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে কিছু নির্দেশনা। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি আর খাবার থেকে শর্করা ও চর্বি কমালেই স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে মনে করে প্রচুর মানুষ। তবে এ দুটি নির্দেশনার পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন আরো কিছু পদক্ষেপ। কী সেই পদক্ষেপ, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

টিকা নিন

আবহাওয়া দ্রুত বদলায়, রাতে শীত তো দিনে গরম। তাপমাত্রার এমন তারতম্য এবং শুষ্ক বায়ু থেকে সহজেই বয়স্করা  আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি-কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়াতে। এসব রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে টিকা নেওয়া প্রয়োজন। ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে টিকা নিতে হবে প্রতিবছর।

আরো পড়ুন
যে ৪ পানীয় থেকে দূরে রাখবেন শিশুকে

যে ৪ পানীয় থেকে দূরে রাখবেন শিশুকে

 

যাদের হাঁপানি বা সিওপিডি আছে, তাদের নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত পাঁচ বছর পর পর। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিক রোগীরা যেকোনো অসুখেই কষ্ট পান বেশি। তাই তাদের সংক্রামক রোগের টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে টিকা নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ক্রনিক রোগ, যেমন—ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ আর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা সিডিসির রিপোর্ট অনুযায়ী ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই অনীহা। ফলে অধিকাংশ ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ সময়মতো শনাক্ত হয় না। একই কারণে উচ্চ কোলেস্টেরল, লিভারের সমস্যা বা ডায়াবেটিসও রয়ে যাচ্ছে অজানা।

রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি বয়স্কদের উচিত ভায়া টেস্ট, প্যাপ স্মিয়ার বা প্রোস্টেট পরীক্ষা করা। এতে প্রাথমিক অবস্থায়ই ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব। তাই প্রয়োজন রুটিনমাফিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, কোন পরীক্ষা কখন করতে হবে সেটি জানাবেন চিকিৎসক।

আরো পড়ুন
এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

এবার ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই!

 

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

সুস্থতায় চাই স্বাস্থ্যকর আহার—কথাটি বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্যাভ্যাস শরীরের ওপর বয়সের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। এতে করে বার্ধক্যজনিত সমস্যাগুলোও কম দেখা দেয়। একে বলা হয় ‘হেলদি এজিং’। টাটকা সবজি, ফলফলাদি, হোল গ্রেন শস্য ও বাদাম খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। মনে রাখতে হবে, সবার শরীরের চাহিদা এক নয়। পুষ্টিবিদের পরামর্শে সঠিক ডায়েট চার্ট তৈরি করে নেওয়া উচিত। লন্ডন কিংস কলেজের গবেষক ডা. মেগান রসি বলেছেন, বেশি করে শুধু এক জাতের নয়, খেতে হবে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও ফল। শীতের সময় সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার সবজি ও ফল, খাবারে বৈচিত্র আনার এটাই সেরা সময়।

শরীরচর্চা করুন

বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই দেহের সচলতা কমে যায়। তার মূলে আছে পেশিশক্তি কমে যাওয়া এবং অস্থিসন্ধির সমস্যা। বয়স্করা শরীরচর্চা কমিয়ে দেন অথচ তাদের জন্য এক টানা শুয়ে-বসে থাকা অত্যন্ত ক্ষতিকর। শরীরে অতিরিক্ত চাপ ফেলে না এমন ব্যায়াম করতে হবে, যেমন—মাঝারি গতিতে হাঁটা, সম্ভব হলে সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম, ওয়াটার অ্যারোবিক্স করা। এতে শরীর আর মন দুটিই চনমনে থাকবে। ব্যায়ামের মাধ্যমে হাড় ক্ষয় কমানো, অস্টিওআরথ্রাইটিসের ব্যথা উপশম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

আরো পড়ুন
শীত এলে চুল পড়া বাড়ে কেন?

শীত এলে চুল পড়া বাড়ে কেন?

 

সামাজিকতা বাড়ান

একাকিত্ব একটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা, ডিমেনশিয়া ও হৃদরোগের জন্যও সেটি দায়ী। একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা কিছু ক্ষেত্রে অকালমৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। সামাজিকতা বাড়ানোর মাধ্যমে একাকিত্ব দূর করা সম্ভব। পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও আলাপে সময় কাটাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত থাকাও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে সহায়ক। প্রয়োজনে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে হলেও সামাজিক হতে হবে। একা থাকা যাবে না।

পর্যাপ্ত ঘুমানো

সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে গড়ে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। তবে ৬ ঘণ্টা ঘুমও বয়স্কদের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ঘুমের ঘাটতির নেতিবাচক প্রভাব স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে দ্রুত। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। মানসিক অবসাদের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপেরও কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম। নিজের অথবা পরিবারের সুস্থ জীবনযাপনের পথ সুগম ও সুন্দর করতে পারে কিছু সচেতনতার পদক্ষেপ। জীবনকে নিয়মের মধ্যে আনুন, সুস্থ থাকুন।

আরো পড়ুন
কালো প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখা কতটা স্বাস্থ্যকর

কালো প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখা কতটা স্বাস্থ্যকর

 

লেখক : এমবিবিএস, এফসিপিএস মেডিসিন
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতিদিন কয় চামচ চিনি খাওয়া নিরাপদ?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন কয় চামচ চিনি খাওয়া নিরাপদ?
সংগৃহীত ছবি

চা, কফি বা মিষ্টি খাবার—চিনি ছাড়া যেন ভাবাই যায় না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি, অতিরিক্ত চিনি শরীরের নানা রকম সমস্যার কারণ হতে পারে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া নিরাপদ?

পুষ্টিবিদদের মতে, চিনির একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে, যা পেরিয়ে গেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক চিনি গ্রহণের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা প্রায় ৬ চামচের মধ্যে রাখাই নিরাপদ।

এর বেশি চিনি খেলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি জমে, ওজন বাড়ে ও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বিশেষত যারা অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য চিনির পরিমাণ আরো বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এমন ক্ষেত্রে দিনে ৩-৪ চামচের বেশি চিনি না খাওয়াই ভালো।

চিনির মূল কাজ হল শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি জোগানো।

তবে এই শক্তি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে তা ফ্যাট হিসেবে জমে যায়। এভাবেই বাড়তে থাকে ওজন, দেখা দেয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং শেষ পর্যন্ত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়।

অনেকে মনে করেন চায়ে একটু কম চিনি দিলেই যথেষ্ট, কিন্তু বাস্তবে চিনি শুধু মিষ্টি খাবারেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রসেসড খাবার, সফট ড্রিঙ্কস, সস, এমনকি পাউরুটির মধ্যেও ‘হিডেন সুগার’ থাকে, যা অজান্তেই শরীরে ঢুকে পড়ে।

তাই সচেতন থাকা জরুরি।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, স্বাদ থেকে একেবারে চিনি বাদ না দিয়ে বরং তার পরিমাণ কমিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন খেজুর গুড়, মধু  ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেগুলো সীমিত মাত্রায় খাওয়া উচিত।

সংক্ষেপে বললে, দৈনিক ২৫ গ্রাম বা ৬ চামচ চিনির মধ্যে থাকাই ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য রাখতেই হবে, আর সেই তালিকায় চিনিও এর ব্যতিক্রম নয়।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই
সংগৃহীত ছবি

সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলে, চাইলেও অনেক সময় ফাস্টফুড খেতে হয়, আর তার ফলেই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। নানা রকম ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও এই সমস্যা বারবার ফিরে আসে। একমাত্র উপায়, বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না।

তাই বরং রান্নার ধরণটাই একটু বদলে ফেলুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে রসুন, জোয়ান ও গোলমরিচ। তাই প্রতিদিনের রান্নায় এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।

রসুন ও গোলমরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর জোয়ান হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই তিনটি উপাদান একসাথে রান্নায় যোগ করলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য
রাশিফল

আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ঘনিষ্ঠ কারো সহযোগিতা পাবেন।

প্রিয়জনের জন্য অর্থ ব্যয় হতে পারে। আপনার অনুভূতিগুলো সততার সঙ্গে প্রকাশ করুন এবং আপনার সঙ্গীর প্রয়োজনগুলোও শুনুন।

আরো পড়ুন
নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫

নোয়াখালীতে যুবককে আটকে চাঁদা দাবি, সমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ৫

 

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে উন্নতির যোগ প্রবল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

সামান্য বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই শুভ ফলের আশা। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিলে সুফল পাবেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে।

ব্যবসায় বাড়তি চাপ আসতে পারে। অর্থপ্রাপ্তিতে বিলম্ব হবে। পেশাজীবীরা অপছন্দের কাজ থেকে বিরত থাকুন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): সামাজিক কাজে সম্মান বাড়বে। বিনোদনের জন্য ভালো দিন।

প্রিয়জনের জন্য অর্থ ব্যয় হতে পারে। সৃজনশীল কাজে আনন্দ পাবেন। সামান্য বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই শুভফলের আশা। রোমান্স শুভ।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার জন্য দিনটি শুভ। বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন।

আরো পড়ুন
ভয় ধরিয়ে দিয়েও বার্সালোনার শেষ চার ঠেকাতে পারল না ডর্টমুন্ড

ভয় ধরিয়ে দিয়েও বার্সালোনার শেষ চার ঠেকাতে পারল না ডর্টমুন্ড

 

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতি হবে। দিনটিকে ভালো করতে আপনি আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হবে। আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। সাফল্য লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে। সামাজিক কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকুন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।

আরো পড়ুন
সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

সিলেটে ছুরিকাহত তরুণের লাশ উদ্ধার

 

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি) : কাজে উন্নতির যোগ আছে। ব্যবসায়ীদের অর্থভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। তাড়াহুড়া করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। সব কাজ বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। শুভ সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। আনন্দে থাকুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চাপ থাকলেও কিছু ইতিবাচক সংবাদ পাবেন। কোনো প্রচেষ্টায় অযথা বিলম্ব হবে। গুরুদায়িত্ব গ্রহণে অনীহা আসতে পারে। কারো সহায়তায় সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গরমের ভরসা যে চার ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমের ভরসা যে চার ফল
সংগৃহীত ছবি

বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসে গেছে। গরম যেন সব কিছু ঝলসে দেয়। এ সময়ে আমাদের পরিবেশে এমন কিছু ফল জন্মায়, যা স্বাদে ও স্বাস্থ্যে অতুলনীয়। আম, লিচু তো রয়েছেই, এর বাইরেও রয়েছে আরো কয়েকটি ফল।

কী সেসব ফল, আর কী উপকার রয়েছে এসব ফলে তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

তরমুজ

গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড রাখার জন্য তরমুজ খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এবং এটি ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজে লাইকোপিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগ ও কিছু ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। এ ছাড়া এটি ভিটামিন এ এবং সি-এর ভালো উৎস।

আরো পড়ুন
গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি, কিভাবে সুস্থ থাকবেন

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি, কিভাবে সুস্থ থাকবেন

 

কামরাঙা

এই ফলটি তারার মতো আকৃতির। গ্রামেগঞ্জে একসময় প্রচুর পরিমাণে এই ফল খাওয়া হতো।

স্বাদে টক-মিষ্টি এই ফল এখন শহুরে মানুষের কাছে কিছুটা ব্রাত্য। অথচ কামরাঙা ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে। হজমক্ষমতাকে উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই ফল। কামরাঙা দিয়ে আচার, চাটনি ও জুস তৈরি করা যায়।

আঁশফল

আঁশফলও এমন একটি ফল, যা গরমকালে পাওয়া যায়। মিষ্টি স্বাদের জন্য এককালে এই ফলটিও বেশ জনপ্রিয় ছিল। এর ভেতরের সাদা শাঁসটি খুব নরম এবং দানাদার হয়। আঁশফলে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাসিয়াম থাকে। এই ফল ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগাতেও সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

 

বেল

গরম কালে বেলপানা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শক্ত বেলের খোলসও। কিন্তু সেই কাঠিন্যের ভেতরে মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের শাঁস থাকে। বেল হজমের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার থাকে। বেলের শরবত গরমকালে শরীরকে সতেজ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

এসি রুমে বসেই ধূমপান, হতে পারে যে বিপদ

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ