পেটে গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। যা অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। তবে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় খুবই কার্যকর হতে পারে।
চলুন জেনে নিই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
পেটে গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। যা অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। তবে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় খুবই কার্যকর হতে পারে।
চলুন জেনে নিই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
জিরা
গ্যাসের সমস্যায় উপশম পেতে জিরা পানি অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ জিরা মিশিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিন এবং ধীরে ধীরে পান করুন।
মৌরি
মৌরির অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মৌরি ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর এটি পান করুন।
বাটারমিল্ক
নিয়মিত বাটারমিল্ক খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন গ্যাস, গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। যা পেট ঠান্ডা করে ও হজমশক্তি বাড়ায়।
জোয়ান
পেটের গ্যাস দূর করতে জোয়ান খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে বা খাওয়ার পরে এক চা চামচ জোয়ান বীজ চিবিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম থেকেও মুক্তি মিলতে পারে।
সূত্র : আজতাক বাংলা
সম্পর্কিত খবর
মিষ্টি কুমড়ার মতো এর ফুলেও অনেকে স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই ফুলগুলো মিষ্টি কুমড়ার মতোই দেখতে উজ্জ্বল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুমড়ার ফুল সিদ্ধ করে, বেটে, রান্না করে কিংবা ভেজে খাওয়া হয়। এ ফুল অবশ্য কাঁচাও খাওয়া যায়।
কুমড়া ফুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে, এই ফুলে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, ফ্যাটের পরিমাণ না থাকায় এ ফুলটি খাবারের ভালো উৎস। এই ফুলে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যেমন- ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও মিনারেল থাকায় এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। মিষ্টি কুমড়ার মতো এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি ২, বি৬ রয়েছে।
আর এভাবেই এই ফুল আমাদের অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই কুমড়ার ফুল খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের কতটা উপকার হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে
কুমড়ো ফুলে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে আমাদের দূরে রাখে।
ব্যাকটেরিয়া-ফাঙ্গাস সংক্রমণের সমস্যা দূরে থাকে
কুমড়ার ফুল খেলে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস সংক্রমণের সমস্যা দূর হয়। গরমকালে এই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এরকম অবস্থায় এই ফুল খাওয়া খুবই উপকারী।
হজম সমস্যা ভালো হয়
পাচনতন্ত্রেও উপকার পাওয়া যায় কুমড়ার ফুল খেলে।
ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ কুমড়ার ফুল ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। এ ছাড়া এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য উপকারী
উজ্জ্বল রঙের কুমড়া ও কুমড়ার ফুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় দুটিই চোখের জন্য দারুণ উপকারী।
হাড় মজবুত করে
কুমড়া ফুল হাড়ের উপকার করে। কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। যা হাড়কে মজবুত করে। অস্টিওপোরোসিস রোগেও এটি উপকারী।
অস্বাস্থ্যকর জেনেও অনেকে ইফতারে ভাজাপোড়া খান। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতনদের ভাবনায় থাকে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার। ভাজাপোড়ার পরিবর্তে তারা বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ইফতারে আর কী কী রাখতে পারেন, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গুলশান ক্লিনিক লিমিটেডের নিউট্রিশন ও ডায়েট কনসালট্যান্ট মাইশা ফারজানা অন্তরা। আর লিখেছেন চান্দ্রেয়ী মম। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
অল্প তেলে ভুনা ছোলা
ইফতারে ছোলা ভুনা খাওয়ার চল অনেক আগের।
দই-চিড়া
দই ও চিড়ার সঙ্গে পাকা কলা মিশিয়ে নিন। সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে ইফতারে খেতে পারেন। শুধু চিড়া ও কলা মেখেও খেতে পারেন। ইচ্ছা হলে এর সঙ্গে বাদাম ও মধু মিশিয়েও খেতে পারেন ইফতারে।
কাঁচা ছোলা
কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদা ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
খেজুর ও দুধ
খেজুর দুধে ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এটি একটু খেলেই পেট অনেকটা ভরে যায়।
মৌসুমি ফল
শরীরের জন্য উপকারী মৌসুমি ফলমূল। রোজার সময় নানা রকম ফলের শরবত তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ফলের সালাদ তৈরি করা যায়। আপেল, শসা, আঙুর, বরই, ডালিম একত্র করে সালাদের মতো বানিয়ে টক দই মিক্স করে খেতে পারেন। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকবে।
ওটস ও ডিমের প্যানকেক
ওটস ও ডিম দিয়ে প্যানকেক তৈরি করে খেতে পারেন। এতে একদমই তেল প্রয়োজন হয় না। প্যানকেক তৈরি করার পর মধু দিয়েও খেতে পারেন।
চিয়া সিড
চিয়া সিড, দুধ ও ফল সারা দিন একত্রে ভিজিয়ে রেখে ইফতারে খেতে পারেন। অনেকে পানিতে চিয়া সিড অথবা মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করে থাকেন। আপনি চাইলে ইফতারেও এটি রাখতে পারেন।
ডিম, মুরগি সিদ্ধ
সালাদের সঙ্গে সিদ্ধ ডিম বা মুরগির মাংস যোগ করেও খেতে পারেন ইফতারে।
মোমো
জাপানিজ খাবার মোমো তেলবিহীন ভালো খাবার। এটি সবজি বা মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি তৈরিতে একদমই তেলের ব্যবহার নেই। গরম পানির ভাপে সিদ্ধ করে তৈরি করা হয়।
ইফতারে মোমো রাখতে পারেন। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যিনি খাচ্ছেন তার যেন কোনো শারীরিক সমস্যা না হয়। অনেকের ডায়াবেটিস, এসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক ও অন্যান্য সমস্যা থাকতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে রমজানের ইফতার খেতে হবে।
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ২৩ মার্চ, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): ভালো কোনো কাজে সুনাম হবে। কর্মক্ষেত্রে পূর্বের যোগাযোগ কাজে লাগবে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো লাভজনক পরিবর্তন আসতে পারে। কোনো খবর উৎসাহিদ করবে। প্রত্যাশিত অর্থগেমে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। প্রেমিক প্রেমিকারা পরস্পরকে বুঝতে সময় নিন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো কাজের জন্য প্রশংসা পাবেন। ব্যবসায় লাভবাড়বে। পূর্বের কোনো কাজের সুফল পেতে পারেন। সঠিক পরিশ্রমের ভালো ফল পাবেন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে পারে। কাজের চাপ থাকবে। কোনো কাজ মাঝপথে আটকে যেতে পারে। উচ্চ পদথ ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। ভুল বোঝাবুঝির অবসানে সহনশীল আচরণ করুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): প্রত্যাশিত কোনো কাজে অগ্রগতি হবে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় মন্দাভাব কেটে যাবে। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ অনকূলে থাকবে। স্বকীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সফলতা পাবেন। মন ভালো রুখুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): পেশাগত কাজে সাফল্য পাবেন। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত আপনাকে লোশানের হাত থেকে রক্ষা করবে। বড় কোনো কাজে হাত দিতে ভয় পাবেন না। ভাগ্য অপনার পক্ষে থাকবে। গৃহ পরিবেশ অনুকূলে থাকবে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): বিদেশ সংক্রান্ত কোনো কাজে অগ্রগতি হবে। অর্থাগমের নতুন পথ পেতে পারেন। সামাজিক কর্মকান্ডে অনুকূল অবস্থা থাকবে। হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। কোনো কিছুতে পিছিয়ে থাকবেন না।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আপনি যে পরিবর্তগুলির জন্য লড়াই করছেন তার কোনো দিক নির্দেশনা পেতে পারেন। স্বজন বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে। লক্ষে পৌছানো জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): নতুন কাজের সুযোগ আসবে। প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ে অনুকূল অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হতে হবে। সম্মিলিত কাজের ফলাফল ভালো হবে। দক্ষতা প্রদর্শনের সযোগ আসবে।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কাজকর্মে উৎসাহ বাড়বে। অস্থিরতা ও ধৈর্যহীনতার জন্য কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আপনার করনীয় তালিকা থেকে সরে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার নিজের স্বাস্থ্য এবং প্রয়োজনের ওপর ফোকাস করতে ভুলবেন না। বেপরোয়া কর্মকলাপ এড়িয়ে চলুন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কাজকর্মে ভাগ্যের আনুকূল্য পাবেন। আকস্মিক প্রাপ্তির সম্ভাবনা রোমান্টিক সম্পর্কের অগ্রগতি হবে। সৃজনশীল কাজে বন্ধু পাশে থাকবে। ব্যবসায় স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো হবে। প্রিজনের পরার্ম নিন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। পারিবারিক কাজে ব্যস্ততা বাড়বে। স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে। ছোট ঘটনায় মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে। বুদ্ধির সঠিক প্রয়োগে পরিবর্তন সম্ভব।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে মসলা। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মসলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে।
হলুদ গুঁড়া
হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন।
মরিচের গুঁড়া
আজকাল মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়া বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
ধনে গুঁড়া
অনেক সময়ে ধনে গুঁড়াতে কাঠের গুঁড়া, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়া নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
জিরা গুঁড়া
জিরার গুঁড়াতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস পানিতে খানিকটা জিরা ফেলুন। যদি কিছু অংশ পানিতে ভেসে থাকে বা পানির রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।
গোলমরিচ
গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা পানির নিচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ ওপরে ভেসে উঠবে।
সূত্র : আজকাল