গরমে স্বস্তি পেতে কোন রঙের পোশাক বেছে নেবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে স্বস্তি পেতে কোন রঙের পোশাক বেছে নেবেন?
সংগৃহীত ছবি

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন চৈত্র মাস, যা গরমের আগমনের সূচনা। গরমের এই মৌসুমে উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার সাথে সমন্বয় করতে পোশাক নির্বাচন করা জরুরি। এই সময় সুতি বা হালকা ফ্যাব্রিকের পোশাক পরা সবচেয়ে ভালো। তবে শুধু ফ্যাব্রিক নয়, পোশাকের রংও শারীরিক অস্বস্তি কমাতে ভূমিকা রাখে।

অনেকেই গরমে কালো রঙের চেয়ে সাদা রঙের পোশাক বেশি পরেন। 
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য থেকে তাপ বিকিরণের কারণে সাদা রঙের পোশাক কম তাপ শোষণ করে, ফলে অস্বস্তি কম হয়। তবে সাদার পাশাপাশি আরো কয়েকটি রং রয়েছে যা আপনাকে গরমে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ রাখতে সহায়তা করবে।

আকাশি
দিনের বেলায় যদি কোনো অনুষ্ঠান বা অফিসে যেতে হয়, আকাশি রঙের পোশাক একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।

রৌদ্রজ্জ্বল দিনে আকাশি রঙ আপনাকে স্বস্তি দিবে ও সতেজ দেখায়। 

ধূসর
ধূসর রং গরম ও ঠাণ্ডা সব মৌসুমেই জনপ্রিয়। ধূসর রং সূর্যের তাপ শোষণ করে না। সুতরাং এটি সাদা রঙের ভালো বিকল্প।

শাড়ি, সালোয়ার বা স্যুট-প্যান্ট—ধূসর সবসময় আলাদা লুক তৈরি করে।

বেজ
বেজ রং সূর্যের তাপ প্রতিফলিত করে এবং শরীর ঠাণ্ডা রাখে। এই মুহূর্তে বেজ রং ফ্যাশনে চলছে, তাই এটি পরলে ট্রেন্ডি দেখাবে।

প্যাস্টেল
প্যাস্টেল রঙের মধ্যে মিন্ট গ্রিন, ল্যাভেন্ডার, বেবি পিঙ্ক, মভ ইত্যাদি গরমে পরা বেশ আরামদায়ক। এই রংগুলোর তাপ শোষণের ক্ষমতা কম।

যা আপনাকে গরমে আরামদায়ক অনুভূতি দিবে।

যেসব রং এড়িয়ে চলা ভালো—   

গাঢ় রং
কালো, গাঢ় বাদামি, গাঢ় নীল ইত্যাদি রং সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে। এই ধরনের পোশাক দিনে পরলে অস্বস্তি বাড়তে পারে। কারণ তাপ শোষণের ফলে ঘামও বাড়ে।

বোল্ড কালার
টকটকে লাল, ইলেকট্রিক ব্লু, গাঢ় কমলা, বার্গেন্ডি, মেটালিকস—এই রংগুলো গরমে এড়িয়ে চলাই ভালো। সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করার কারণে এ রঙের পোশাক শারীরিক অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

সূত্র : এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাশিফল

আজ ১২ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ১২ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১২ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে। সঠিক বুদ্ধির অভাবে সুযোগ কাজে না-ও লাগতে পারে।

অংশীদারি কাজে বুঝেশুনে এগোবেন। জীবনে চলতে থাকা অশান্তির মধ্যে নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কর্মপ্রার্থীদের উন্নতির পথ খুলবে। তবে নিয়মিত কাজে বাধা আসতে পারে।

জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। বিপর্যয় মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন।

আরো পড়ুন
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ

উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ

 

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): অপ্রত্যাশিত কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা। কাজকর্মে প্রসার লাভ হবে। আয় বাড়বে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। আর্থিক বিনিযোগ শুভ।

দূরদৃষ্টির সঙ্গে অর্থের সদ্ব্যবহার করুন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো স্থাবর সম্পত্তির আলোচনায় অগ্রগতি হবে। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি আশা করা যায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তিত থাকতে পারেন। দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। চিন্তা ও কাজে গতিশীলতা আনতে হবে।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): সঠিক প্রচেষ্টায় কাজের অগ্রগতি হবে। পুরনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারবেন। নিকট ভ্রমণ হতে পারে। সেরা কাজগুলো গতি পাবে। নতুন ধারণাগুলো ফলদায়ক হবে।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় অগ্রগতি হবে। বিনিয়োগে লাভবান হবেন। আর্থিক ব্যাপারে ভারসাম্য রক্ষা করে চলুন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি

প্রথম আলোর ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি

 

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। কাজকর্মে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় জটিলতা কাটিয়ে ওঠার ভালো সময়। চাকরিক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। কৌশলী হলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): কোনো কারণে মানসিক চাপ থাকতে পারে। অতীতের কোনো ঘটনা মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অকারণে ব্যয় বাড়বে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): নতুন যোগাযোগের পরিবেশ অনুকূলে। আয়ের নতুন কোনো উৎস পেতে পারেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বন্ধুর সহযোগিতা পাবেন। দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে। অর্থভাগ্য অন্যদিনের তুলনায় শুভ।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): পেশাগত কাজে সুযোগ বাড়বে। পাওনা আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হবে। কোনো আকর্ষণীয় অফার পেতে পারেন। বুদ্ধি সঠিক পথে পরিচালিত হবে। চারপাশে যারা আছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ান। একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করুন।

আরো পড়ুন
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ

উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আপনার কাজে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারবেন। প্রত্যাশা পূরণে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। ধর্মীয় কাজে আগ্রহ বাড়বে। আপনার দৃঢ় সংকল্প এবং দক্ষতা লক্ষণীয় হবে। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আজ নিজেকে পরিচর্যা করার এবং যা আপনি সব থেকে পছন্দ করেন, তা করার জন্য ভালো দিন। কাজে অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে। আপনার মনোভাব আপনাকে সুখী থাকতে সাহায্য করবে।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কী ক্ষতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কী ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

ধুলাবালি আর বায়ুদূষণের ফলে ত্বকের পাশাপাশি চুলেও ময়লা জমে। এ কারণে অনেকেরই প্রতিদিন শ্যাম্পু করার অভ্যাস আছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন  শ‍্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয়। কারণ, শ‍্যাম্পুতে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা সত‍্যিই চুলের জন‍্য ক্ষতিকর।

কসমেটিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। কারণ এতে রাসায়নিক থাকে। প্রতিদিন ব্যবহারে মাথার ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় তেল অপসারণ হয়, যার ফলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।

চুল বেশি ঘামলে চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে কারো যদি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিদিন চুল ধুতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে হালকা ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত।

আরো পড়ুন
হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

 

শ্যাম্পু অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কী হয়

  • চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।
  • খুশকির উপদ্রব দেখা দিতে পারে। 
  • চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়।
  • আগা ফেটে যেতে পারে। 
  • চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল ঝরে পড়ে। 
  • সবার চুল এক রকম নয়।

    কারো খুব কোঁকড়া, কারো পাতলা, কারো ঢেউ খেলানো। এ কারণে চুলের ধরন অনুযায়ী শ‍্যাম্পু করার পরিমাণও বদলে যায়। কোন ধরনের চুলে কয় দিন পর পর শ্যাম্পু করবেন, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

    আরো পড়ুন
    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

     

    রুক্ষ চুল: কারো চুল যদি খুব রুক্ষ হয়, তাহলে ৪-৫ দিন পর পর শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে চুল কতটা রুক্ষ তার ওপর নির্ভর করবে কত ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে পারেন। বেশি শ্যাম্পু করলে চুল খারাপ হয়ে যেতে পারে।  চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি ফিরে আসার জন্য একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন। তবে যে ধরনের শ্যাম্পুতে রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি, সেই শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো।

    পাতলা চুল : শ্যাম্পু না করলে পাতলা চুল আরো পাতলা দেখায়। কারণ নোংরা, তেল, ঘাম মাথায় জমে থাকার ফলে চুল বেশি পাতলা দেখায়। পাতলা চুল ঘন দেখাতে শ্যাম্পু করা ছাড়া উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ক্ষারহীন শ্যাম্পু বেছে নিন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।

    আরো পড়ুন
    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

     

    ঘন চুল : আর্দ্রতার অভাবে চুল বেশি তেলতেলে হতে থাকে। সাধারণত পাতলা চুলের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে ঘন চুলে আর্দ্রতা বজায় থাকে অনেক দিন। এমন চুলে সপ্তাহে এক দিন শ্যাম্পু করলেই চলে। তবে চুল বেশি তেলতেলে মনে হলে সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু করতে পারেন।

    টিপস

    • ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহার যদি করতেই হয় তবে শ্যাম্পুর সঙ্গে খানিকটা পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন।
    • ভেষজ শ্যাম্পু বা মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।  
    • বাইরে যাওয়ার সময় স্কার্ফ বা ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে পারেন। এতে ধুলাবালি কম লাগবে চুলে। 
    আরো পড়ুন
    গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা

    গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা

     
    মন্তব্য

    বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন যেভাবে

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন যেভাবে
    সংগৃহীত ছবি

    এই সময়ে বাজারে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়, যা কেবল আমাদের খাবারের স্বাদই বদলে দেয় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। এ ছাড়া দামেও থাকে খুব কম। তবে খুব কম মানুষই এই সবজি খেতে পছন্দ করেন। বাচ্চারা তো সবজি খেতেই চায় না।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক-সবজি খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, কিন্তু সবাই শাক-সবজি খেতে পছন্দ করেন না। যদি আপনার বাচ্চারাও সবজি খেতে না চায়, তাহলে কিছু উপায়ে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। চলুন, জেনে নিই উপায়গুলো।

    আরো পড়ুন
    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

     

    সালাদ

    খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করার সবচেয়ে সহজ ও স্বাস্থ্যকর উপায় হলো সালাদ। শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, গাজর, বাঁধাকপির মতো সবজি এবং অঙ্কুরিত ফল দিয়ে লবণ ও চাট মশলা দিয়ে সালাদ তৈরি করে খাওয়ান। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু, বাচ্চারাও মজা করে খাবে।

    স্মুদি বা স্যুপ

    সবজি অনেক বাচ্চাই খেতে চায় না।

    এরজন্য সবথেকে ভালো পদ্ধতি হলো স্মুদি বা স্যুপ। এটি বাচ্চার জন্য পুষ্টিকরও হবে। যদি কারো সবজির গঠন পছন্দ না হয়, তাহলে সেগুলোকে অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে একটি সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করুন। এ ছাড়া এটি ভালো করে কেটে স্যুপে যোগ করুন। এটি একটি পুষ্টিকর ও ভারী ব্রেকফাস্টের চমৎকার বিকল্প।

    আরো পড়ুন
    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

    পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

     

    পিউরি

    পালং শাক, বিট, কুমড়া ইত্যাদি সবজির পিউরি তৈরি করতে পারেন এবং যেকোনো তরকারিতে বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

    ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ

    সবজি রুটি খেতে স্বাদহীন মনে হতে পারে। কিন্তু একই সবজি দিয়ে যদি স্যান্ডউইচে টিক্কি তৈরি করা হয় অথবা সস, চাটনি ও ক্রিমের সঙ্গে রোল করে দেওয়া হয় তাহলে এটি বাচ্চা খেতে পছন্দ করবে। এ ছাড়া এটি স্বাস্থ্যকরও হবে।

    আরো পড়ুন
    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

    কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

     

    রোস্ট

    কিছু সবজি ভেজে তার ওপর লেবু ও চাট মশলা ছিটিয়ে খেলে তা মুচমুচে ও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। মিষ্টি আলু, গাজর, পনির ও ক্যাপসিকামের মতো সবজি ভেজে খেলে এর স্বাদ বেড়ে যায়।

    ভাত ও পাস্তার সঙ্গে

    বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর আরো একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হলো ফ্রাইড রাইসের মতো ভাত ও পাস্তাতে মিশিয়ে খাওয়া। এভাবে খেলে সুস্বাদু লাগবে এবং স্বাস্থ্যকরও হবে।

    আরো পড়ুন
    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

     

    সূত্র : ইটিভি

    মন্তব্য

    বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ
    সংগৃহীত ছবি

    বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে অনেকে অনেক পদের রান্না করেন। আর যা কিছু থাকুক আর না থাকুক ইলিশ কিন্তু থাকবেই। বৈশাখের সঙ্গে পান্তা-ইলিশ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তবে এটি কবে থেকে শুরু হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

    বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকবেই, তাই বলে তো খাওয়া বন্ধ থাকবে না। তাই এবারের বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ রান্না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রান্না করবেন ইলিশ।

    ইলিশ পোলাও

    উপকরণ

    • ইলিশ মাছ ৬ টুকরা
    • পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
    • পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল চামচ
    • আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ
    • রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
    আরো পড়ুন
    বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

    বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

     
    • মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ
    • তেল দেড় কাপ
    • ঘি সিকি কাপ
    • লাল ও সবুজ কাঁচা মরিচ ১০-১২টি
    • টক-মিষ্টি দই আধা কাপ
    • নারকেল দুধ ১ কাপ
    • চাল আধা কেজি
    • পেঁয়াজ ভাজা ও বেরেস্তা আধা কাপ এবং
    • লবণ পরিমাণমতো।
    আরো পড়ুন
    নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

    নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

     

    প্রণালী

    প্রথমে ইলিশ মাছটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। দই ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার দইয়ে পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, মরিচের গুঁড়া, পরিমাণমতো লবণ ও আধা কাপ নারকেল দুধ ভালো করে মিশিয়ে এর মধ্যে মাছ দিয়ে ম্যারিনেট করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর কড়াইয়ে উপকরণের অর্ধেক তেল ও অর্ধেক ঘি দিয়ে আস্তে করে ম্যারিনেট করা মাছগুলো ছেড়ে দিতে হবে।

    দু–তিন মিনিট পর খুব সাবধানে মাছগুলো উল্টিয়ে দিন। এরপর সবুজ ও লাল মরিচ ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে।

    মাঝারি জ্বালে ৬ মিনিট রাখার পর চুলা বন্ধ করুন। আরেকটি পাত্রে বাকি তেল ও ঘি দিয়ে অবশিষ্ট পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা লাল হলেই চাল দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে চালটা ভেজে ভেজে নিন।

    আধা কেজি বা দুই পট চালের জন্য চার পট পানি লাগবে। পৌনে তিন পট পানি ও আধা কাপ নারকেল দুধ চালে দিয়ে দিন।

    আরো পড়ুন
    ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

    ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি

     

    চালে বলক এলে ৬-৭টি সবুজ ও লাল মরিচ দিয়ে দিন। এরপর পাত্রটি ঢেকে দিন, জ্বাল কমিয়ে ২০ মিনিট চুলায় রেখে দিন। ২০ মিনিট পর পোলাও হয়ে গেলে এর ওপর রান্না করা ইলিশ মাছগুলো এমনভাবে সাজিয়ে দিন যেন ভাতের মধ্যে ডুবে থাকে। মাছের ঘন ঝোল পোলাওয়ের ওপর ছড়িয়ে দিন। সবশেষে বেরেস্তা ছিটিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখুন।

    এবার একটি ছড়ানো পাত্রে খুব সাবধানে প্রথমে পোলাও, পরে মাছগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

    লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা

    আরো পড়ুন
    আম তো খাবেনই, এর পাতারও রয়েছে নানা উপকারিতা

    আম তো খাবেনই, এর পাতারও রয়েছে নানা উপকারিতা

     

    উপকরণ

    • ইলিশ মাছ, মাথা, ডিমসহ ছোট করে কাটা ২ কাপ
    • লেবুপাতা ৫-৬টি
    • পেঁয়াজকুচি ১ কাপ
    • কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি
    • হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ
    • মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ
    • জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ
    • তেল আধা কাপ
    • লবণ পরিমাণমতো
    • লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
    • চিনি ১ চা-চামচ
    • টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
    আরো পড়ুন
    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

    হজমশক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে ওজনও কমাবে পুদিনা পাতা

     

    প্রণালী

    তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ নরম হলে সমস্ত মসলা কষিয়ে টমেটো সস দিয়ে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ঝোল কমে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ, লেবুপাতা পর্যায়ক্রমে দিয়ে নামাতে হবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা।

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ