মুক্তা একটি মহামূল্যবান রত্ন। এর জন্মরহস্য নিয়ে দুটো মত আছে। এটি আমরা প্রধানত ঝিনুকের মধ্যে পেয়ে থাকি।
বলা হয়, স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির পানি ঝিনুকের মধ্যে পড়লে মুক্তোর জন্ম হয়।
মুক্তা একটি মহামূল্যবান রত্ন। এর জন্মরহস্য নিয়ে দুটো মত আছে। এটি আমরা প্রধানত ঝিনুকের মধ্যে পেয়ে থাকি।
বলা হয়, স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির পানি ঝিনুকের মধ্যে পড়লে মুক্তোর জন্ম হয়।
প্রাচীন রত্নতত্ত্ববিদরা আট প্রকার মুক্তার কথা বলে গেছেন। গজমতি, সর্পমণি, বরাহ, মীন, বেণুজ, শঙ্কজ, জীমুত এবং শুক্তি।
এগুলো সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো :
গজ মুক্তো
হাতির কুম্ভর মধ্যে ও দন্তকোষে কিছুটা হলুদ রঙের বড় আকারের মুক্তা পাওয়া যায়।
সর্পমণি মুক্তো
সাপের মাথায় নীল রঙের গোল মুক্তা জন্মায়। কথিত আছে, পাপীদের দৃষ্টিগোচর হয় না এই মুক্তা।
বরাহ মুক্তা
বন্য বরাহ বা শূকরের দাঁতের গোড়ায় এক ধরনের মুক্তা জন্মায়।
মীন মুক্তা
তিমি মাছের মুখে এক প্রকার মুক্তা জন্মায়, এর নাম মীন মুক্তো। আবার এও কথিত আছে, গভীর সমুদ্রে বোয়াল মাছের মতো এক জাতীয় মাছের মাথায় এক ধরনের মুক্তা জন্মায়, এটি মীন মুক্তা। এই মুক্তা একটু বড় ও হালকা হয়ে থাকে। এর ঔজ্জ্বল্য খুব কম হয়।
বেনুজ মুক্তা
বাঁশের ভেতর এক ধরনের মুক্তা জন্মায়। কথিত আছে, বেদমন্ত্র দিয়ে এই মুক্তা রক্ষা করতে হয়।
শঙ্খজ মুক্তা
কোনও কোনও সমুদ্রজাত শঙ্খের গর্ভে পায়রার ডিমের মতো এক রকম মুক্তা জন্মায়। এই মুক্তার তেমন ঔজ্জ্বল্য নেই। ইংরেজিতে একে কঞ্চ পার্ল বলে।
জীমুত মুক্তা
কখনও কখনও আকাশ থেকে নাকি মুক্তা বর্ষণ হয়। একে তাই জীমুত মুক্তা বা মেঘ মুক্তা বলে।
শুক্তি মুক্তা
ঝিনুক জাতীয় এক রকম সমুদ্রজাত প্রাণীর গর্ভ থেকে যে মুক্তা পাওয়া যায় তাকে শুক্তি মুক্তা বলে। ইংরেজিতে একে বলা হয় অয়েস্টার পার্ল।
ওপরে যে আট রকম মুক্তার কথা আলোচনা করা হলো, এর মধ্যে সাতটি মুক্তাই বর্তমানে দেখা মেলে না। তবে শুক্তিমুক্তা বা ঝিনুকের মধ্যে যে মুক্তা জন্মায় তা বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু তার মূল্য বেশি এবং দুর্লভ।
বিজ্ঞানের ভাষায় ঝিনুকের মধ্যে যে মুক্তা জন্মায় তা সৃষ্টি হয় ঝিনুকের রস থেকে। অর্থাৎ শুক্তির দেহের ভেতর কোথাও বেদনাদায়ক কারণ উপস্থিত হলে সে স্থানে প্রদাহ অনুভূত হয় এবং এক প্রকার রস নিঃসৃত হয়। পরে তা জমে যায়।
এই লালারসকে ইংরেজিতে পার্ল নেক্রি বলে। আবার অনেকে একে মৌক্তিক রস বলে থাকেন। এই জমে যাওয়া মৌক্তিক রসই শেষে মুক্তায় পরিণত হয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
সম্পর্কিত খবর
প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও সেতারবাদনে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত পণ্ডিত রবিশঙ্করের জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের ৭ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) ভারতের উত্তর প্রদেশের বেনারসে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার সাংগীতিক কর্মজীবনের পরিব্যাপ্তি প্রায় ছয় দশকজুড়ে।
তার পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে প্রচার ও মানবিক সহায়তার জন্য জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে সেতার বাজান তিনি।
তার অমর কীর্তি হচ্ছে পাশ্চাত্য ও প্রতীচ্যের সংগীতের মিলন। পাশ্চাত্য সংগীতের বিখ্যাত বেহালাবাদক ইহুদি মেনুহিনের সঙ্গে সেতার-বেহালার কম্পোজিশন তার এক অমর সৃষ্টি, যা তাকে আন্তর্জাতিক সংগীতের এক উচ্চ আসনে বসিয়েছে।
তিনি আরো একটি বিখ্যাত সংগীত কম্পোজিশন করেছেন বিখ্যাত বাঁশিবাদক জঁ পিয়েরে রামপাল, জাপানি বাঁশির সাকুহাচি গুরু হোসান ইয়ামামাটো ও কোটো গুরু মুসুমি মিয়াশিতার জন্য। ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আমরা প্রায়ই মশকরা করে বলি, ‘বুদ্ধি তো হাঁটুতে থাকে’। কিন্তু কিছু প্রাণী আছে, যাদের মস্তিষ্ক সত্যিই পায়ে থাকে। আবার কিছু প্রাণী রয়েছে, যাদের একাধিক মস্তিষ্ক থাকে। শুনতে অবাক লাগলেও, এটি একেবারে সত্যি।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে, যাদের মস্তিষ্কের গঠন সাধারণ প্রাণীর তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন।
অক্টোপাস
অক্টোপাস সাধারণত তার আটটি শুঁড়ের জন্য পরিচিত। এই প্রাণীর মাথায় একটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক থাকে। কিন্তু প্রতিটি শুঁড়ের নিজস্ব একটি ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক রয়েছে।
জোঁক
জোঁক কেবল তার রক্তচোষা স্বভাবের জন্যই নয়, বরং তার অদ্ভুত স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও বিখ্যাত। জোঁকের দেহে ৩২টি স্নায়ু কোষের গুচ্ছ থাকে, যা তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
স্টারফিশ
স্টারফিশের কোনো কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক নেই।
কাটলফিশ
কাটলফিশের একটি বৃহৎ কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক এবং হাতে অতিরিক্ত স্নায়ু ক্লাস্টার থাকে। এটি তাদের ত্বকে রং পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, যা তাদের শিকার থেকে বাঁচতে বা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে সহায়তা করে।
মাকড়সা
বিশেষ করে ট্যারান্টুলার মতো বৃহৎ মাকড়সার পায়ে গ্যাংলিয়া নামক বিস্তৃত স্নায়ুতন্ত্র থাকে।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাইস্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কল্যাণ তহবিল থেকে গরীব, অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার (২ এপ্রিল) মথুরাপাড়া বছিরকাজী হাই স্কুল মাঠে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোজাফ্ফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কাজী এরফানুর রহমান রেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী তোফায়েল আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সম্পাদক শিক্ষাবিদ মো. বেলাল হোসেন, বিদ্যালয়ের ১৯৭৯ ব্যাচের ছাত্র জিসকা ফার্মাসিটিকেলস সিনিয়র ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) আবেদ মওলা বাহলুল টিপু, একই ব্যাচের যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ডিজু ও রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের পরিচালক শিল্পপতি বদিউজ্জামান ।
অনুষ্ঠানে কল্যাণমূলক কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং সুধীজনের উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী।
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।
স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।
মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।
জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।
মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘
জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।
সূত্র : আজতক বাংলা