উষ্ণতম মাস এপ্রিল শেষ হতে এখনো আট দিন বাকি। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সব বয়সী মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে জ্বর, টাইফয়েড, জন্ডিস, হাঁপানি, ডায়রিয়ার রোগী। ঝুঁকি বাড়ছে হিটস্ট্রোকের।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
কোনোভাবেই একটানা রোদে থাকা যাবে না
ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত যেমন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি ও ক্যান্সারের রোগী যাঁরা। যাঁরা একাধিক ওষুধ সেবন করে, অন্তঃসত্ত্বা, মানসিক রোগী বা ডিমেনশিয়ার রোগী, যাঁদের পেশাগত কারণে বাইরে কাজ করতে হয়, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। গরমে শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তেষ্টা পাওয়া, মাথা ব্যথা ও মাথা ঝিমঝিম করা, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে ও ত্বকের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। বেশি ঘাম হয়ে শরীরের লবণ, যেমন সোডিয়াম কমে যেতে পারে। গরমে হাত-পায়ের পেশি ব্যথা করতে পারে এবং ক্লান্তিবোধ হতে পারে।
প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না
যাঁদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়, তাঁরা দিনের কাজ সকাল বা বিকেলে সারার চেষ্টা করবেন। যতটুকু সম্ভব বাইরে কাজের সময় কমিয়ে আনা যেতে পারে। যাঁরা শ্রমজীবী মানুষ, দিন আনে দিন খান, কৃষক, রিকশাচালক ও নির্মাণ শ্রমিক, তাঁদের তো রোদে যেতেই হয়। তাঁদের সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
কাজের সময় তাঁরা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় চওড়া কার্নিশের টুপি ব্যবহার করতে পারেন। কোনোভাবেই একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে থাকা যাবে না। কিছুক্ষণ কাজ করে ছায়ায় থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, এসব মানুষ হিটস্ট্রোকের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
রাস্তাঘাটের শরবত খাওয়া যাবে না
প্রচণ্ড গরমে পিপাসা পেলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কোনো অবস্থায় রাস্তাঘাটে বিক্রি করা গুড়ের শরবত, আখের রস বা বিভিন্ন ফলমূলের শরবত খাওয়া যাবে না। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এতে টাইফয়েড, জন্ডিস ডায়রিয়াজনিত পানিবাহিত অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যদি শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়, দুর্বল ও ক্লান্তি লাগে, মাথা ঘোরায়, তাহলে পানির মধ্যে একটু লবণ মেশানো যেতে পারে। এ সময় স্যালাইন, ডাবের পানি খেলে ভালো।
শাক-সবজি, ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে
চর্বিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে গরুর ও খাসির মাংস কম খাওয়া ভালো। এ সময় শাক-সবজি, ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। যতটুকু সম্ভব ঘরের খাবার খাওয়া ভালো। বাইরের কিছু খাওয়া উচিত নয়। কারণ, দোকান বা হোটেলের খাবার আপনাকে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ঘরে খাবার অনেকক্ষণ রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। খাবার যেন টাটকা হয়, হালকা হয়। চা-কফি কম খেতে হবে।
ঢিলেঢালা হালকা রঙের কাপড় পরতে হবে
তীব্র গরমের এ সময় রঙিন জামাকাপড় না পরে সাদা বা হালকা রঙের জামাকাপড় পরতে হবে। বেশি আঁটো বা রঙিন কাপড় পরবেন না। যতটা সম্ভব সুতির জামাকাপড় পরা দরকার। রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা নিয়ে বের হওয়া উচিত। এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা তাপ শোষণ করবে কম।
হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
বাইরের প্রচণ্ড তাপ শরীর নিতে পারে না। ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এক পর্যায়ে এতে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘামঝরা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। প্রচণ্ড তৃষ্ণা হতে পারে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। হিটস্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুততর হতে পারে। মাথা ব্যথার পাশাপাশি বমি বমি ভাব, কথা জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঠাণ্ডা স্থানে নিয়ে পোশাক শিথিল করতে হবে। আরো যেসব কাজ করতে হবে তা হলো, শরীরে ঠাণ্ডা পানি দেওয়া এবং রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো।
লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পর্কিত খবর

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
অনলাইন ডেস্ক

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।
তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।
তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ওসমানীয় সাম্রাজ্যে ঈদ উৎসব কেমন ছিল?
অনলাইন ডেস্ক

রমজান বায়রাম কিংবা সেকার বায়রাম, ওসমানীয় সাম্রাজ্যে এই নামেই ডাকা হতো ঈদকে। তুর্কি ‘বায়রাম’ শব্দের অর্থ উৎসব আর ‘সেকার’ শব্দের অর্থ মিষ্টি।
৬০০ বছর ধরে রাজত্ব করা সুবিশাল ওসমানীয় বা অটোমান সাম্রাজ্যের শাসকরা ছিলেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলামের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর তাই রাজকীয় সমারোহে উদযাপিত হতো এই সাম্রাজ্যে।
ওসমানীয় সাম্রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়রাম উদযাপনের শুরুটা হয়ে যেত চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে। ঈদের চাঁদ দেখা গেলে দুটি ভিন্ন স্থান থেকে তিনবার করে তোপধ্বনির মাধ্যমে জানান দেওয়া হতো। তোপ দাগানোর রেয়াজ ছিল ঈদের সকালেও। নামাজের পর ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন স্থান বিশেষ করে প্রাসাদসমূহের ফটক এবং অন্যান্য শহরে তোপধ্বনি করা হতো।
‘ঈদের দিনে হুররাম সুলতানের মাথায় শোভা পেতো পান্না ও রুবি খচিত সোনার মুকুট। নিজের সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরতেন তিনি।’ ইতিহাসবিদ জন ফারলি অটোমান সম্রাট সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হুররামের ঈদের সাজের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবেই।
ইতিহাসবিদ লেসলি প্যারিসের মতে, অটোমান সুলতানদের স্ত্রীরা দরিদ্রদের মধ্যে খাবার ও পোশাক বিতরণ করতেন।
ঈদের দিন সুলতান কী করতেন?
সুলতান সকাল সকাল তার লোকবহর নিয়ে মিছিল বা শোভাযাত্রা করে মসজিদের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়তেন। হায়া সোফিয়া কিংবা নীল মসজিদে যেতেন নামাজ পড়তে। প্রাসাদের ফটক থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিল দেখতে পথের দু’ধারে সমবেত হতো ইস্তাম্বুলবাসী। প্রহরীদের সতর্ক উপস্থিতি থাকতো শোভাযাত্রা ঘিরে।
প্রাসাদে পৌঁছে সিংহাসনে বসতেন সুলতান। শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন রাজপুত্র, রাজকর্মচারী ও হারেমের বাসিন্দাদের সাথে। আগতদের মিষ্টিমুখ করানো হতো। সোনা ও রুপার পাত্রে ঈদের বিশেষ মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হতো তাদের। আহার শেষে, সুলতান সমুদ্রতীরের প্রাসাদে যেতেন। সেখানে নানান বিনোদনের ব্যবস্থা থাকত। কুস্তি, বন্দুক ও বর্শা দিয়ে লক্ষ্যভেদ ও তির-ধনুকের খেলা দেখাতেন দক্ষ ব্যক্তিরা।
ঈদ উপলক্ষে কখনো কখনো বড় বড় ভোজের আয়োজন করতেন অটোমান শাসকরা। শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে প্যাভিলিয়ন (তাবু) করা হতো। সুলতান এবং বড় বড় কর্মকর্তাদের বসার ব্যবস্থা থাকত সেখানে। সুসজ্জিত করা হতো পথঘাট। ছোট-বড় সবার জন্য দোলনার ব্যবস্থা থাকত।
খাবার, শোভাযাত্রা, নানান শারীরিক কসরত প্রদর্শন থেকে শুরু করে বই বাঁধাইয়ের মতো আয়োজনের পসরা দেখা যেত। জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকত বলে প্রাসাদ থেকে নারীরাও সেখানকার আয়োজন দেখতে পেতেন। শোভাযাত্রা শেষে সুলতানের তরফ থেকে ঈদ উপহার দেওয়া হতো সবাইকে।
সুলতান সুলেমানের রাজত্বকালে ঈদ উদযাপনের বর্ণনা দিয়ে অটোমান ইতিহাসবিদ মুস্তাফা আলী বলেন, ‘সুলতান তার কর্মকর্তা ও প্রজাদের কাছ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করতেন এবং দরিদ্রদের মধ্যে উপহার বিতরণ করতেন।’
জোহরের নামাজের পর কবরস্থানে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনার রীতি তখনো ছিল। শহরে ২৪ ঘণ্টাই বিনোদন ও ক্রীড়ার অনুমতি দিতেন সুলতান। আনন্দমুখর সময় কাটাতে দুই বা তিন আকচে (মুদ্রা) ছিল যথেষ্ট। নগরজুড়ে উৎসবের আয়োজন দেখতে বিদেশিরাও আসতেন ইস্তাম্বুলে।
শেষ অটোমান খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামিদের রাজত্বকালে, নাট্য পরিবেশনাও ঈদ উৎসবের অংশ হয়ে ওঠে। ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও আমন্ত্রণ পেতেন নাটক দেখার। এমন নানা আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অটোমানদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম রমজান বায়রাম তথা ঈদুল ফিতর উদযাপন করে এসেছে।
১৩ শতকে ওসমান গাজীর হাত ধরে এই সাম্রাজ্যে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছয় শতাব্দী পার করে সাম্রাজ্যের পতন হয় ১০০ বছর আগে ১৯২৪ সালে। নির্বাসনে পাঠানো হয় দ্বিতীয় আব্দুল হামিদকে।

এপ্রিল ফুল, কেন এদিন মানুষকে বোকা বানানো হয়
অনলাইন ডেস্ক

পয়লা এপ্রিল। মানুষকে বোকা বানানোর দিন। বছরের পর বছর ধরে এদিন বন্ধু-বান্ধব, ভাইবোন, কাছের মানুষ এবং সহকর্মীদের বোকা বানানো হয়। সহজ কথায় বলা যায়, নিরলস হাস্যরস উদযাপনের জন্য বরাদ্দ একটা দিন।
জীবনে অন্তত একবার বোধ হয় আমরা সবাই ‘এপ্রিল ফুল’ হয়েছি। মজার বিষয় হলো, এদিন বোকা হওয়ার পরেও কেউ রাগ করেন না, বরং নিজেই সেই খেলায় জড়িয়ে পড়েন।
আনন্দ, মজা, হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে পালিত হতো এপ্রিল ফুল বলে। এদিন যেকোনো বয়সের মানুষ উৎসাহের সঙ্গে একে অপরকে বোকা বানানোর খেলায় অংশ নেয়।
এপ্রিল ফুলের ইতিহাস
‘এপ্রিল ফুলস ডে’র সূচনা ও ইতিহাস নিয়ে অনেক কাহিনি ও নানা মতভেদ প্রচলিত আছে।
কিভাবে শুরু হলো এপ্রিল ফুলস ডে
ক্যালেন্ডারের ৩২ মার্চ
কথিত আছে যে ১৩৮১ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপন শুরু হয়। আসলে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় রিচার্ড ও বোহেমিয়ার রানি অ্যান বাগদানের ঘোষণা করেন। বাগদানের তারিখ রাখা হয়েছিল ৩২ মার্চ। মানুষ উদযাপন শুরু করেন।
ঠাট্টা-বিদ্রূপ শুরু
এই দিনটি ঘিরে আরো একটি বিশ্বাসও রয়েছে, আগে ফ্রান্সে এপ্রিলেই নববর্ষ উদযাপিত হতো। ১৫৮২ সালে চার্লস পোপ গ্রেগরি দ্বাদশ ফ্রান্সে পুরনো ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করেন। তা সত্ত্বেও অনেকে পুরনো ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে থাকেন। এর পর থেকে ১ জানুয়ারিতে নতুন বছরের সূচনার দিন হিসেবে পালন হওয়া শুরু হয়।
তবে অনেকে এটি মানতে অস্বীকার করেন এবং এপ্রিল মাসেই বর্ষারম্ভের দিন পালন করতে থাকেন। যারা নতুন ক্যালেন্ডারকে সমর্থন করেছেন তারা এপ্রিলে নতুন বছর সমর্থনকারীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা শুরু করেছিলেন। এই ব্যক্তিদের ‘এপ্রিল ফুল’ বলা শুরু হয় এবং এ জন্য এপ্রিলের প্রথম দিনেই ‘এপ্রিল ফুলস ডে’ হিসেবে প্রচলিত হয়।
রোমান উৎসব হিলারিয়া
কিছু মানুষ আবার এই দিনটিকে প্রাচীন রোমান উৎসব ‘হিলারিয়া’র সঙ্গে সংযুক্ত করেন। যেটি একটি হাসি ও মজার উৎসব। এমনকি এই উৎসবে সবাই অন্যকে বোকা বানানোর জন্য এবং বসন্ত উপভোগ করতে ছদ্মবেশে থাকতেন।
উপমহাদেশ উদযাপন শুরু
কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটিশরা ভারতে ১৯ শতকে এই দিনটি উদযাপন শুরু করে। যদিও গত কয়েক বছরে এটি উদযাপনের উন্মাদনা বেড়েছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পর্কিত মিম মারাত্মকভাবে ভাইরাল হয়। তবে মজা করার সময় মাথায় রাখা জরুরি, আপনার কোনো কথা যেন অপর মানুষটিকে আঘাত না করে।
সূত্র : আজতক বাংলা

দুধ দিয়ে গোসল করলে কি কলঙ্ক মোছে?
অনলাইন ডেস্ক

দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে দেশে। এই নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন, তো আরেক নেতা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়ছেন। সকালে যুবলীগ ছাড়ছেন আরেকজন। কিন্তু দুধ দিয়ে গোসল কেন? বিশেষ দুধ দিয়ে গোসল করে আলোচনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী।
দুধ দিয়ে গোসল করলে কী হয়?
বিগত কয়েক বছরে এমন অনেক নেতা দুধ দিয়ে গোসল করে হয় রাজনীতি ছেড়েছেন, নয়তো দল পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু এই খবরগুলোর আকর্ষণের জায়গা ছিলো দুধ দিয়ে গোসল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, রাজনীতির কলঙ্ক মুছতেই তারা গোসলে দুধের ব্যবহার করে পাক-পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আসলেই কি দুধ কলঙ্ক মোছে?
ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ দিয়ে গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হওয়ার ধারণা প্রাচীনকাল থেকে চলে এলেও আধুনিক বিজ্ঞানে যা ভিত্তিহীন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে দুধ দিয়ে গোসলে কয়েকটি উপকারিতা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা আনা, একজিমা দূর করা, চুলকানি দূর হওয়াসহ নানা উপকারের উল্লেখ রয়েছে।