ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

আম মিলছে বছরজুড়ে

লিমন বাসার, বগুড়া
লিমন বাসার, বগুড়া
শেয়ার
আম মিলছে বছরজুড়ে

এক গাছেই মুকুল, গুটি আর পাকা আম। বিষয়টি শুনতে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এটাই সত্যি! বগুড়ার শেরপুরের তিন বন্ধুর ওই আমবাগানে গেলে যে কারোরই চোখ আটকে যাবে। মামুন, সোহেল ও শহিদুল—যেন এক বৃন্তে তিন ফুল। ছেলেবেলা থেকেই তাঁদের সেই রকম দোস্তি।

মেধাবী এই তিন তরুণের কৃষির প্রতি দুর্নিবার টান। তাই পড়ালেখা শেষে গড়ে তোলেন মিশ্র ফলের বাগান। নাম দিয়েছেন ‘ফুল অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’। বারোমাসি আম চাষে বেশ সফলতাও পেয়েছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে বাগানের উৎপাদিত রকমারি ফল বাজারজাত শুরু হয়েছে।

তিন বন্ধুর বারোমাসি এই ফলের বাগান ছাড়াও বরেন্দ্র জনপদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নাচোল, রহনপুর; নওগাঁর সাপাহার, পোরশাসহ বিভিন্ন স্থানে এখন বারোমাসি আমের দেখা মিলছে।

বছরে তিনবার ফল দেওয়া বারি-১১ এবং থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের আম চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।

তিন বন্ধুর স্বপ্ন : বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়াতাইর গ্রাম।

ওই গ্রামের প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই মিশ্র ফলের বাগান। এর মধ্যে ১৮ বিঘা জমিতে চাষ হয়েছে বারোমাসি আম। সেখানে রয়েছে ৯ হাজার আমের গাছ। একই গাছের এক ডালে ধরেছে মুকুল, পাশাপাশি অন্য ডালে একই সঙ্গে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম।

উদ্যোক্তা তিন তরুণ জানান, ২০০৫ সালে ছোট পরিসরে নিজেদের পাঁচ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয় বাগানটি।

পরে আরো ৩৫ বিঘা জমি ২০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে বাগানের পরিসর বাড়ানো হয়। তাঁদের বাগানে প্রায় ১৫ হাজার রকমারি ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বারোমাসি আম কাটিমন ও বারি-১১, মাল্টা, পেয়ারা ও বরই রয়েছে। বাগানের ফল খুবই সুস্বাদু ও গুণগত মানেও সেরা। অন্যান্য ফলের উৎপাদন ভালো হলেও বর্তমানে বারোমাসি আম বিক্রিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা। অ সময় পাওয়া এই ফলের চাহিদাও বাজারে অনেক বেশি।

তাঁরা জানান, আগে পাকা আম পাইকারি ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করলেও এখন ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এরই মধ্যে দুই লাখ টাকার আমও বিক্রি করেছেন। আরো এক লাখ টাকার আম বাগানে রয়েছে। এই সাফল্য দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই জাতের আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। তাই অনেকেই বারোমাসি আমের চারা কিনতে আসছেন। যেভাবে সাড়া দেখা যাচ্ছে তাতে এ বছর ১০ লাখ টাকার ওপর এই ফলের চারা বিক্রি হতে পারে। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই মিশ্র ফলের বাগান থেকে এক কোটি টাকার আম, বরই ও পেয়ারা বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা তাঁদের।

উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ ও সোহেল রেজা জানান, তাঁরা কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার সঙ্গে ছুটে যেতেন ক্ষেতে। এর আগেও বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করে এলাকার সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এমনকি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশসেরা কৃষক হিসেবে নির্বাচিত করে মামুনকে থাইল্যান্ডে ফুড প্রডাকশন ও ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। তিনি সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরেন। এরই মধ্যে সোহেল রেজা বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) থেকে বারোমাসি আম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নেন।

আরেক উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় গেলেও ২০০১ সালে দেশে ফেরেন। ওই সময় স্কুলজীবনের বন্ধু মামুন ও সোহেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফল বাগানের স্বপ্ন বোনেন। তিন বন্ধু বগুড়ার মহাস্থান, হর্টিকালচার সেন্টারসহ স্থানীয় মহিপুর এলাকার বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজেদের পাঁচ বিঘা জমিতে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এরপর আরো জমি লিজ নিয়ে সেখানে লাগান বারোমাসি আম, পেয়ারা, মাল্টা ও বরই চারা। সময়ের ব্যবধানে বাগানটিতে লাগানো হয় রকমারি ফলের আরো ১৫ হাজার গাছ।

উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ জানান, সারা বছর আম পাওয়া যাবে তা কখনো কেউ ভাবতেও পারেনি। বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে হলেও এটাই বাস্তব হয়েছে। বছরে তিনবার এসব গাছে মুকুল ধরে। সেই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে একই গাছের বড় বড় আমগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়। আমগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে ব্যাগে ঝুলিয়ে গাছেই রাখা হয়। সেটা গাছে পাকার পর বিক্রি করা হয়।

শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এ উপজেলায় মিশ্র ফলের বাগান বাড়ছে। আমরা পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি। মাগুড়াতাইর গ্রামে গড়ে ওঠা ফুল অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড নামের মিশ্র ফলের বাগানের উদ্যোক্তাদেরও সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিন বন্ধুর এই মিশ্র ফলের বাগানটি সবার জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।

বগুড়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আব্দুর রহিম জানান, বারোমাসি আম চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। যার উত্কৃষ্ট উদাহরণ শিক্ষিত এই তিন তরুণ উদ্যোক্তা। বারোমাসি আমের বাগান করে তাঁরা বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। সেই সঙ্গে সবার আদর্শ হয়েছেন। তিনি আশা করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে বারোমাসি আম চাষ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬০৪ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬০৪ প্রাণ

বিদায়ি মাস মার্চে ৫৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন। শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮৯ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৯৭ জন। এ সময় ২৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় ২৩৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। 

আরো পড়ুন
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৮২টি দুর্ঘটনায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৪টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে বগুড়া জেলায় ২৭টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম নেত্রকোনা জেলায়। এই জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।
আর রাজধানী ঢাকায় ২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ও তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোয় ঘটছে এসব দুর্ঘটনা। এ ছাড়া দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণেও।

আরো পড়ুন
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

 

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশও করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক এবং যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন করল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন করল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ কর্তৃক নির্মিত দানবীয় ফ্যাসিস্টের প্রতীকী মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা তদন্তের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল এবং সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী। সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল প্রাং কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পুড়ে যায়। শুধু দুটি মোটিফে আগুন লাগার ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি করছে ফায়ার সার্ভিস।


 

মন্তব্য

নববর্ষের মূল মোটিফে আগুন, যা দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নববর্ষের মূল মোটিফে আগুন, যা দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা মূল মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। 

নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বানানো মোটিফে এক ব্যক্তিকে আগুন দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রক্টর বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজে একজন ব্যক্তিকে মোটিফে আগুন দিতে দেখা গেছে।

তিনি প্রথমে পর্দার আড়ালে প্রবেশ করেছেন। তারপর মোটিফে লিকুইড দিয়েছেন। তারপর আড়ালে এসে লাইটার জ্বালিয়ে ফায়ার টেস্ট করেছেন। পরে মোটিফে আগুন দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।
যে গেট দিয়ে ঢুকেছিলেন, সে গেট দিয়েই বেরিয়ে গেছেন।'

মন্তব্য

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের সাহসিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত সম্মাননা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। উমামার সাহসী ভূমিকার জন্য তাকে এবার বিশেষ সম্মাননা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রমজান। 

গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে উমামাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় উমামা ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আনিকা তাহসিনা ও আয়শা সিদ্দিকা।

 

অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সব সময় এমন পদক্ষেপ মনে রাখব। তা আমাদের শক্তি দেয় এবং শুধু ফিলিস্তিনিদের কাছেই নয়, বরং বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠায়। আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি এবং কষ্ট পাচ্ছি। তবে আমরা একা নই।

উমামা ফাতেমা বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণ যা সহ্য করছে তা অকল্পনীয়। তার তুলনায় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার কাজ কিছুই নয়। একজন মানুষ হিসেবে আমি শুধু নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। বাংলাদেশের ছাত্র হিসেবে আমরা প্রতিরোধ উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি এবং আমাদের সেই উত্তরাধিকার মেনে চলতে হবে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ