ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬
বসুন্ধরা সিটির ১৮ বছরে পা

কেনাকাটা ঘিরে লাখো মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাস

  • অংশীজনদের সহযোগিতায় টেকসই স্বপ্নপূরণ : আহমেদ আকবর সোবহান
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কেনাকাটা ঘিরে লাখো মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাস
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল কেক কাটা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

উৎসব কিংবা কোনো বিশেষ দিন নয়, সাধারণ দিনেও যে শপিং মলে দেশের লাখো মানুষের প্রাণের মেলা বসে সেটা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। রাজধানীর পান্থপথে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই বহুতল ভবনটি আধুনিক স্থাপত্য নকশায় তৈরি। শিশু-কিশোর, তরুণ-বৃদ্ধ—সবার প্রাণের এই মিলনকেন্দ্রটির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গতকাল সোমবার। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শপিং মলে দিনটি উদযাপন করা হয়।

কাটা হয় কেক, অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বমানের শপিং মলের ঘাটতি পূরণের স্বপ্নদ্রষ্টা ও দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের শুভেচ্ছাবার্তা পড়ে শোনান বসুন্ধরা সিটির এক কর্মকর্তা। শুভেচ্ছাবার্তায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি বিশ্বমানের শপিং মল স্থাপনের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম অনেক আগে। এরই মধ্যে ১৭ বছর পার হয়ে গেছে।

এই দীর্ঘ পথচলায় অংশীজনদের আন্তরিক সহযোগিতায় এই স্বপ্নপূরণ টেকসই হয়েছে। ফলে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স আজ আদর্শ, সুস্থ-সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ বাণিজ্যিক পরিবেশের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।’ এ চলার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে। প্রত্যাশার বিপরীতে অনেক অপ্রাপ্তি ছিল।
সেই অপ্রাপ্তি শক্তি হিসেবে কাজ করেছে সামনে এগিয়ে যেতে। সামনের দিনগুলোতে এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশের গৌরব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক।’

রাজধানীর শেরেবাংলানগরের সাফিনা আহমেদ মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ধরে এখানে শপিং করি।

এই শপিং মলের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িত। শপিং মলের ফুড কোর্টে মেয়ের জামাই দেখা, নাতনির জন্মদিন পালন, মন রাখাপ হলে প্রাণভরে স্বস্তি নিতে সময়ে-অসময়ে ছুটে আসা হয় এখানে। এ ছাড়া সাশ্রয়ী দাম, গুণগতমানের সব ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্যের এক অনন্য সমাহার এই শপিং মল।’

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রাণের মাকের্ট বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। গ্রুপের চেয়ারম্যান তাঁর আবেগ দিয়ে দেশে একটি বিশ্বমানের মার্কেট করেছেন। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের চাহিদা পূরণে সক্ষম এই মার্কেট। এমন সুযোগ বাংলাদেশের আর কোনো মার্কেটে নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘অন্য মার্কেটের চেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করে বলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।’

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের স্বপ্ন নগরায়ণের ফলে তরুণসমাজের সুস্থ মানসিক বিকাশে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সেই চাহিদা পূরণে শপিংয়ের পাশাপাশি খেলাধুলা এবং বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে এই শপিং মলকে। সেই লক্ষ্যে রাইডস, গেমস ও স্পোর্টস জোন করা হয়েছে। এখানে আছে টগি অ্যান্ড ফান ওয়ার্ল্ড। শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং জোন ও কর্মীদের জন্য রয়েছে ডে কেয়ারের ব্যবস্থা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে মেডিক্যাল সেন্টার। বয়স্কদের জন্য বসার স্থান ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে।

বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় চৌকস ফায়ার ফাইটার দল কাজ করে এই মার্কেটে। বহুতল ভবনের সব ধরনের নিরাপত্তায় অনুসরণ করা হয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। মেয়েদের ইভ টিজিং প্রতিরোধে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নিরাপত্তা কমিটি।

বসুন্ধরা সিটির কর্মকর্তারা বলেন, গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। ভোক্তার চাহিদা ও হয়রানি কমাতে রয়েছে ওয়ানস্টপ সার্ভিস। মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনায় কাজ করছে বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ। পণ্য বহুমুখীকরণ, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ছাড়াও শপিং মলের আসবে আমূল পরিবর্তন। পরিকল্পনায় আছে ব্র্যান্ডিংয়ের। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কাজ। বসুন্ধরা সিটির ব্র্যান্ডিং, কমার্শিয়াল ব্র্যান্ডিং এবং পণ্যের লোকেশন যেন ভোক্তা সহজে জানতে পারে এ ধরনের একটি ইনফরমেশন বোর্ড থাকবে এই মার্কেটে। যেখানে সব ধরনের তথ্য থাকবে। অনলাইনে পণ্য সুযোগ থাকবে। 

দোকান মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ২১ তলার এই শপিং মলে দুই হাজার ৫০০ দোকান রয়েছে। খাবারের দোকানের জন্য রয়েছে একটি নির্দিষ্ট তলা। আছে মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল, শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র, শরীরচর্চা কেন্দ্র।  এখানে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ লোকের সমাগম হয়। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে শপিং মলটি।

মন্তব্য

ভূমিকম্প-পরবর্তী মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম চলমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভূমিকম্প-পরবর্তী মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম চলমান
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারে সাম্প্রতিক শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রেরিত এই বিশেষ দল উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে অংশগ্রহণ করছে।

গতকাল মায়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দলকে মায়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এবং আজ মায়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধসে পড়া ভবনে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চিকিৎসা সহায়তা দল আজ নেপিদো শহরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট যবুথিরি টাউনশিপ হাসপাতাল, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। আজ মোট ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং তিনটি জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে আহত রোগীদের মধ্যে ১৫টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ সর্বমোট ৪৫৭ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম আগামীকালও চলমান থাকবে। 

গত ২৮ মার্চ মায়ানমারে সংঘটিত ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ১ এপ্রিল সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মায়ানমারের নেপিদো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্তব্য

স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় নয় : রাষ্ট্রদূত মুশফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় নয় : রাষ্ট্রদূত মুশফিক
সংগৃহীত ছবি

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তা নিজেরা স্বেচ্ছায় স্বৈরাচার তোষণের অংশ হিসেবে পেশাগত ভূমিকার বাইরে গিয়ে রেডলাইন অতিক্রম করেছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘আমার ফরেন প্রেস সেন্টারের ক্রিডেন্সিয়াল বাতিল করার জন্য দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট অফিসে লাগাতার তদবির করেছিলেন। আমি জানি এই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কত আন্তরিকভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন এবং আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছেন। আমি আপনাদের নিকট চিরঋণী।’

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশি কূটনীতিকরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন-ভাতা পান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ না পেলে আমি জানতেই পারতাম না যে বাংলাদেশ মিশনগুলো বিদেশে কত অল্প পরিমাণ রিসোর্স দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

পতিত স্বৈরাচার কূটনীতিকদের দিয়ে বিশ্বব্যাপী ভুয়া উন্নয়নের প্রচার করালেও ২০১২ সালের পর থেকে কূটনীতিকদের বেতন-ভাতা আর বৃদ্ধি পায়নি।’

সাম্প্রতিক ট্রাম্প ট্যারিফের বিষয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি ডেলিগেশন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। আমি ওয়াশিংটন দূতাবাসকে জানিয়েছি যে এ বিষয়ে যদি আমার কোনো সহযোগিতা লাগে, তবে যে কোনো সময় ভূমিকা রাখতে আমি সবসময় প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা।

এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লূর রহমান জিল্লু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, গিয়াস আহমেদ, কামাল পাশা বাবুল, মোশাররফ হোসেন  জসিম ভূঁইয়া, আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, মাকসুদুল এইচ চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, নাসিম আহমেদ, বাচ্চু মিয়া,  হাবিবুর রহমান হাবিব, আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, মূলধারার রাজনীতিক এটর্নি মঈন চৌধুরী, জাস্টিস সোমা সাঈদ, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, বদিউল আলম, সেলিম রেজা, মাযহারুল ইসলাম মিরন, তরিকুল ইসলাম মিঠু, আহমেদ সোহেল, সাইফুর রহমান খান হারুন, মৃধা মোহাম্মদ জসিম, মনির হোসেন, অনিক রাজ প্রমুখ।

মন্তব্য

ঢাকায় জার্মানির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকায় জার্মানির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল

ঢাকায় পাঁচ দিনের সফরে এসেছে জার্মানির ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফর করবে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকায় জার্মানির দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

দূতাবাস জানায়, প্রতিনিধিদলে জার্মানির ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তর, ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয় ও জলবায়ু কর্ম মন্ত্রণালয়, জার্মানির বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংস্থা, জার্মানির রপ্তানি ঋণ সংস্থা (ইউলার হার্মিস), গিজ এবং কম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

এই মিশন জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (ওএভি) দ্বারা সমন্বিত, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক, যা এশিয়াজুড়ে জার্মানির ব্যাবসায়িক স্বার্থ প্রচার করে। এই অঞ্চলে প্রবেশ বা সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী জার্মান কম্পানিগুলোর জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জার্মানি থেকে প্রথমবারের মতো এমন ধরনের মিশনকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্ভাবনা এবং সুযোগগুলো প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি সংস্কারের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করার জন্য ওএভি সঠিক সময়ে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আনার উদ্যোগকে আমরা প্রশংসা করি।’

প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় জার্মান দূতাবাস আয়োজিত একটি ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাদের সফর শুরু করে।

তারা ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অংশীদারিতে এই সম্মেলন আয়োজন করবে।

জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। ২০২৪ সালে দেশটির সঙ্গে মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই সফর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি জার্মানির পারস্পরিক দৃঢ় বিশ্বাস এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

মন্তব্য

বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০ দেশের বিনিয়োগকারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০ দেশের বিনিয়োগকারী
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে আগামীকাল সোমবার থেকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৬ শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রথম দিন দুটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠানটি হবে।

প্রথম ট্র্যাকে ৬০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে একটি স্পেশাল ফ্লাইট চট্টগ্রাম যাবে। সেখান থেকে কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে রাতে ফিরে আসবেন তারা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা যাচ্ছেন তারা হলেন সেসব উদ্যোক্তা, যারা মনে করছেন তাদের সেখানে একটি কারখানা স্থাপন করতে হবে। তাদের জায়গাজমি লাগবে।

তাদের জন্য আমরা কী ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি, তা তারা সরেজমিন দেখবেন। অন্যদিকে সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টার্টআপ কানেক্ট নামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি রয়েছে। সেখানে যেসব আরলি স্টেজ স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারী আসছেন তাদের মধ্যে ম্যাচ মেকিং ইভেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও প্যানেল হবে।’ 

সারা দিন স্টার্টআপ ইভেন্টকে ফোকাস করা হবে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের দিকে বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যেখানে জাপানি ইকোনমিক জোন রয়েছে সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। তারা সেখানের কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কী ধরনের কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা বুঝে তাদের বিনিয়োগের জন্য কতটুকু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা দেখবেন। দ্বিতীয় ধাপে বিশ্বব্যাংক ও আইএলওর সঙ্গে কিছু অ্যাংগেজমেন্ট রয়েছে। তাদের এফডিআই সম্পর্কিত কিছু ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ৯ এপ্রিল বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়া সারা দিনই একাধিক (৩-৪টা) প্যারালাল অনুষ্ঠান চলবে ‘

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু বিনিয়োগকারীকে পুরস্কৃত করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে কিছুসংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগকারী বক্তব্য দেবেন। সেখান থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করব আর কী করলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য বেটার ডেস্টিনেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। পরবর্তীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ মেলার আয়োজন থাকবে। উপদেষ্টা সেখানে আরলি স্টেজ কম্পানির সঙ্গে কথা বলবেন। দ্বিতীয় ধাপে রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে কথা হবে। বেশ কয়েকটি কম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ