মানবিক সংকট মোকাবেলায় নিযুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় তারা মানবিক কর্মসূচিকে কার্যকর করতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে স্থানীয় সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজ শনিবার কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম এবং বিডিসিএসও সমন্বয় প্রক্রিয়া যৌথভাবে ওই সভা সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
সভায় বক্তৃতা করেন সিসিএনএফের কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী, ইপসার নির্বাহী পরিচালক আরিফুল ইসলাম, অগ্রযাত্রার প্রধান নির্বাহী নীলিমা জাহান, এনজিও প্ল্যাটফরমের আমির হোসেন, উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদ, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা (টিইউএস) ফাউন্ডেশনের খন্দকার ফারুক আহমেদ, সুশীলনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক ও মো. ইকবাল উদ্দিন।
সভায় উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, মানবিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত স্থানীয় কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তাদের জন্য ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা, জীবন বীমা, গ্রান্ড বার্গেইনে প্রতিশ্রুত দাতাদের ২৫ শতাংশ তহবিল স্থানীয় সংগঠনগুলোকে প্রদানের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সাড়াদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংগঠন ও নেতৃত্বের বিকাশ এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।
সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে নারী কর্মীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করার ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তারা বলেন, মানবিক কর্মসূচিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু দাতা সংস্থা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলো পরিচালন ব্যয়ের নামে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তহবিল নিয়ে যায়। ফলে মাঠ পর্যায়ে তহবিলের সংকট দেখা দেয়। তাই খরচ কমাতে ও স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশের স্বার্থে দাতাদের কাছ থেকে স্থানীয় সংস্থাগুলোতে সরাসরি অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় ও আইএনজিওদের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।