<p>শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন তিনি মারা যান। ১৯৯২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও  যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হলে তিনি এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে সে সময় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় গণ-আদালত।</p> <p>একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে ভূমিকা রেখেছেন জাহানারা ইমাম। ছেলে শাফী ইমাম রুমী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। পাকিস্তানিদের নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামী শরীফ ইমামও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মারা যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্যাগ, সক্রিয়তা ও দেশপ্রেমের কারণে শহীদ রুমীর মা পরিণত হন শহীদ জননীতে।</p> <p>মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, একজন মায়ের ত্যাগ ও সংগ্রাম এবং সন্তান ও স্বামী বিয়োগের বেদনাবিধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি লেখেন ‘একাত্তরের দিনগুলি’, যা মুক্তিযুদ্ধকালের এক অনন্য দলিল হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে আছে বাংলা সাহিত্যে।</p> <p>মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’ ও ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এর আগে সকাল ৮টায় মিরপুরে শহীদ জননীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন নির্মূল কমিটির নেতারা।</p> <p>জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে।</p> <p>সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন এই মহীয়সী</p>