জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন, নেতৃত্বে যারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন, নেতৃত্বে যারা
ছবি : কালের কণ্ঠ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সংহতি ও প্রতিরোধের চেতনায় বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে। মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া, কমিটির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নব গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র  সামান্তা শারমিন।

৫৬ সদস্যের এ কমিটির অন্য সদস্যগণ হলেন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর- আল- মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল,  মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ও আকরাম হুসেইন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে ফ্যাসিবাদী রেজিমের বিরুদ্ধে একটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। সহস্রাধিক শহিদ ও আহত ছাত্র- জনতার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মুক্ত হয়েছি এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার সরকার গঠিত হয়েছে। এই অভ্যুত্থানের ঘোষিত লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনো দীর্ঘ রাজনৈতিক ও নীতি নির্ধারণের লড়াই দাবি করে।

বাংলাদেশের জনগণ ৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এবারকার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা বারবার ব্যক্ত করেছে। ১৯৯০ এর গণ-আন্দোলনও জনগণকে দীর্ঘমেয়াদে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান বা বন্দোবস্ত জাতির সামনে হাজির করতে পারেনি। কিন্তু পূর্বেকার লড়াইগুলোর অভিজ্ঞতা আমাদের বলে, যখনই মুক্তিকামী জনতা কোনো একজন ব্যক্তি বা সমষ্টিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে, তখন জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি দেখা যায়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সরকার গঠিত হলেও পূর্বেকার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এখনো জনগণের সাফল্যের প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে সক্রিয়।

নিপীড়ক রাষ্ট্রযন্ত্রের ধ্বংসাবশেষ প্রতি পদে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজপথে নেমে আসা জনতাকে সংগঠিত করা, ৮ আগস্টে গঠিত সরকারকে যুগপৎ সহযোগিতা করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করছি।

আমরা মনে করি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সংহতি ও প্রতিরোধের চেতনা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার শক্তি। এই নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে পূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হবে। গণহত্যাকারীদের যথাযথ বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন, জনস্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নীতি নির্ধারণ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পূর্বশর্ত।

জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমুল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাব।

আহ্বায়ক কমিটির প্রাথমিক কাজ :

এক. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা। 

দুই. ছাত্র-জনতার উপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা।

তিন. রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।

চার. বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে আলোচনা, মত বিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচীর মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।

পাঁচ. দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।

ছয়. জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।

সাত. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষপে গ্রহণ করা 

আট. গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

উল্লেখিত কাজের পরিধি ও পদ্ধতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে নিজ নিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। অচিরেই জেলা ও উপজেলা, এলাকাভিত্তিক আলোচনা ও মত বিনিময় সভা আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা রক্ষার চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদযাত্রা : অনলাইনে টিকিট মেলায় বাসেও স্বস্তির যাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদযাত্রা : অনলাইনে টিকিট মেলায় বাসেও স্বস্তির যাত্রা
ছবি : ফোকাস বাংলা

ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে প্রতিবারের মত তেমন কোনো চাপ নেই। টার্মিনালে নেই চিরচেনা সেই ভিড়। কারণ ট্রেনের মতো অগ্রিম টিকিট মিলছে বাসেও।

তাই স্বস্তি নিয়েই রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় থাকলেও ভোগান্তি নেই। পর্যাপ্ত গাড়ি থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।

অনেক যাত্রী অনলাইনে টিকিট কাটায় আগের চেয়ে কাউন্টারগুলোতে ভিড় কম। তবে সময় যত গড়াবে ততই যাত্রী চাপ বাড়বে আশা সংশ্লিষ্টদের।

এ সময় মানিয়া নামের এক যাত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। আমি গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ যাব।

আশঙ্কা ছিল, গাড়িতে অনেক চাপ থাকবে। কিন্তু গাবতলী এসে দেখলাম যাত্রী চাপ স্বাভাবিক। এ ছাড়া ভাড়া আগের মতই রাখা হচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকায় বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারছে না। এ ছাড়া অনেকেই ই-টিকিট করে বাড়িতে ফিরছেন।
তাই সময়ের সঙ্গে বাসযাত্রাও স্বস্তির হচ্ছে।’

তবে বাসে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। কারণ হিসেবে মালিকরা বলছেন, রাতে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো ঢাকায় পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। এছাড়াও যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাস টার্মিনালগুলোতে তৎপরতা দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।

বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় কম হওয়ার প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, মানুষ এখন অগ্রিম টিকিট নিয়ে নিচ্ছে এবং অনলাইনে টিকিট কেটে ফেলছে। ফলে বাস টার্মিনাল বা কাউন্টারে ভিড় হচ্ছে না। 

শ্যামলী পরিবহনের সিনিয়র ম্যানেজার প্রভাত রয় বলেন, ‘এখন সবাই অনলাইনে টিকিট কেটে নেয়। যাদের অনলাইনের অ্যাকসেস নেই, তারাও কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট নিয়ে নেন। গাড়ি ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ে তারা আসেন। এজন্য গাবতলীতে আগের মতো এখন আর ভিড় হয় না।’

গাবতলী বাস টার্মিনালে বিআরটিএর কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোবাইল টিম সর্বক্ষণ টার্মিনালে পরিদর্শন করছে। কোনোরকম অনিয়ম পেলে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এখন গাবতলী এলাকায় কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। আমরা নিজেরাও পরিদর্শন করে দেখছি।’

মন্তব্য

ডিসিদের প্রতি ১২ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডিসিদের প্রতি ১২ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি

হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) পাঠানো চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশনা ডিসিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জমির নামজারি বা রেজিস্ট্রেশন জনগণের সব সেবাই হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করতে হবে।

মন দিতে হবে ঠিকঠাক দায়িত্বপালনে, পরিহার করতে হবে সরকারের সবধরণের স্তুতি বাক্য।

পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখাসহ জমি রেজিস্ট্রেশন, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা দেওয়া হয় দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আইন পুরোপুরি মেনে চলার। যেখানে সব রকমের ভয়ভীতি, তদবির ও স্তুতিবাক্য পরিহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ডিসিদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরকারের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

টেলিটক গ্রাহকদের জন্য সুখবর দিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
টেলিটক গ্রাহকদের জন্য সুখবর দিল সরকার

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ডাটা প্যাকেজের দাম ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিন কার্যকর করা হবে। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি জানান, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কম্পানি লিমিটেড তাদের ব্যান্ডউইথ ভাড়া ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

এই ভাড়া কমানোর সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য টেলিটক তার বর্তমান অধিকাংশ ডাটা প্যাকেজের দাম ১০ শতাংশ কমিয়েছে। যা ঈদের দিন হতে কার্যকর করা হবে এবং তা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চলমান থাকবে। 

টেলিটকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছানোর জন্য হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলে টেলিটক নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। দেশে ৪জি প্রযুক্তির বিস্তার এবং ৫জি প্রযুক্তি চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 

এছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স খাতে টেলিটকের অবদান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
 

মন্তব্য

শূন্য বর্জ্য দিবসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসায় তুরস্কের ফার্স্ট লেডি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শূন্য বর্জ্য দিবসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসায় তুরস্কের ফার্স্ট লেডি

 

তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অসামান্য অবদান এবং শূন্য অপচয়ের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সমর্থনের জন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বৃপস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবসের’ উচ্চ পর্যায়ের স্মরণসভায় তার মূল বক্তব্যে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এই প্রশংসা করেছেন।

ফ্যাশন ও টেক্সটাইল বর্জ্যের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এমিন এরদোয়ান বর্তমান রৈখিক উৎপাদন মডেলের ধ্বংসাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।

তিনি বিশ্বব্যাপী ভোগের ধরণে জরুরি পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্রহের ভবিষ্যত রক্ষার জন্য বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং ইউএনইপি এবং ইউএন-হ্যাবিট্যাটের নির্বাহী পরিচালকরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

টেক্সটাইল বর্জ্যের কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের নেতা এবং কর্মীদের একটি গতিশীল প্যানেল তাদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী টেকসই টেক্সটাইল খাতের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার তুলে ধরেন।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ