নানা বাড়ি যাওয়ার কথা মীমের, ৭ ঘণ্টা পর লাশ মিলল হাসপাতালে

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নানা বাড়ি যাওয়ার কথা মীমের, ৭ ঘণ্টা পর লাশ মিলল হাসপাতালে
সংগৃহীত ছবি

নানার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার ৭ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর লাশ মিলেছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে। কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল মীম (১৪) জাফরগঞ্জ গঙ্গানগর এলাকায় বসবাসকারী ডিস লাইন কর্মচারী সবুজ মিয়ার বড় মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মাজেদা আহসান মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

তার বাবা সবুজ মিয়া জাফরগঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের ভাই হেলালের ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের কর্মচারী।

আরো পড়ুন
ঋণের কারণে স্বামীকে হারানো তাসলিমার ঘরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

ঋণের কারণে স্বামীকে হারানো তাসলিমার ঘরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মীমকে পাশের ছয়গুরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শাহেদ (১৬) নামে এক কিশোর প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় জান্নাতুল মীম গঙ্গানগর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা বলে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ছয়গুরা গ্রামে শাহেদের বাড়িতে চলে যায়।

শাহেদকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে। শাহেদ এতে রাজি না হওয়ায় মীম আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মীম তার সাথে রাখা ঘুমের ৩০টি সেবন করে ফেলে। মীম অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহেদ তার বন্ধুদের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৫টায় মারা যায় মীম।

আরো পড়ুন
আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

 

মীমের বাবা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। দুপুরে শাহেদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংই তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে।

এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মেয়েটি প্রেমের টানে তার প্রেমিকের বাড়িতে যেয়ে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল, রাজি না হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে।

বয়সে দুইজনই কিশোর-কিশোরী। পরে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। নিহতের বাবার দাবি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে বিষ ঠেলে দিয়েছে।

আরো পড়ুন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

তিনি আরো বলেন, কোতয়ালী থানা পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। লাশ ময়নাতদন্তেনর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই সঠিকটা বলা যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে : রাশেদ খাঁন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে : রাশেদ খাঁন
ছবি: কালের কণ্ঠ

বত্রিশের আগুন যমুনায় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘ধানমিন্ড বত্রিশ নাম্বার এবং সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে যে তাণ্ডব শুরু হয়েছিল তা বন্ধ করতে বলেছিলাম। অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও এ ধরনের অরাজকতা চললে সরকার স্থিতিশীল হতে পারবে না।'

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঝিনাইদহ শহরতলীর মুরারিদহ এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস না : মির্জা ফখরুল

সংস্কার ও নির্বাচন আলাদা জিনিস না : মির্জা ফখরুল

তিনি বলেন, ‘একটা মব শুরু হয়েছিল।

ওই মবটা যখন যমুনা পর্যন্ত চলে গেল তখন ডিএমপির পক্ষ থেকে শাহবাগ, যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। এসব বিষয় নিয়ে অনেকে কথা বলতে চান না। অনেকে মনে করেন, এই মুহুর্তে তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। কথা বললে সাইবার অ্যাটাক হতে পারে, সাইবার বুলিং হতে পারে।
তবে আমার মনে হয়, যেটা সত্য সেটা বলতে হবে।’

রাশেদ খাঁন আরো বলেন, ‘আজকে হয়তো মানুষ মনে করছে যে আমি ভুল বলছি। আগামীকাল, পরশুদিন বা ছয় মাস পর গিয়ে আমার এই বক্তব্য যে সঠিক ছিল সেটা বলবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা আছে। আগে থেকেই আমি ও আমাদের সভাপতি নুরুল হক নুর এসব বিষয়ে কথা বলেছি।

পরে গিয়ে অনেক বিষয় সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।’

আরো পড়ুন
‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

মন্তব্য

হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

হিলি প্রতিনিধি
হিলি প্রতিনিধি
শেয়ার
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে অনেক মানুষ ভিড় করছেন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে। আবার কেউবা আসছেন ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।

তবে বিজিবির বাধার কারণে সীমান্তের শূন্যরেখায় মিলিত হতে না পেরে মন খারাপ করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে অনেককে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের নামাজের পর পর হিলি সীমান্ত ও রেলস্টেশন এলাকায় মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা যত বাড়তে থাকে তত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান রিকশা, কার, মাইক্রোবাস ও বাস নিয়ে দর্শনার্থীরা আসেন হিলি সীমান্ত দেখতে।

সীমান্ত ঘুরে দেখার পাশাপাশি দুদেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনও ঘুরে দেখছেন তারা।এ সময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে দূর থেকে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে আকার-ইঙ্গিতে কথা ও মনের ভাব প্রকাশ করছেন তারা।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের তুলনায় কমেছে। আগে ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার করলেও এখন তা কমে এসেছে।

গতকাল ১০৪ জন যাত্রী পারাপার করেছে। আজ এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মতো যাতায়াত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদ ঘিরে সীমান্তে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই সীমান্ত এলাকা দেখার জন্য আসছেন, আবার অনেকে ভারতে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসছেন। সীমান্তের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে হাত নেড়ে মনের ভাব প্রকাশ করে চলে যাচ্ছেন।

ঈদের দিন থেকেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’
ঈদের দিন বিকেলে শহীদ রাকিবের কবর জিয়ারত করেন মা-বাবা ও তার ভাই। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার বুকের ধন কবরে শুয়ে আছে। রাকিবকে হারিয়ে আমাদের জীবনের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কোনো ঈদ নেই, কোনো আনন্দ নেই। আজ রাকিব বেঁচে থাকলে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতাম।

কথাগুলো বলেছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ রাকিব বেপারীর মা রাশিদা বেগম।
গত বছরের ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন রাকিব বেপারী।

গতকাল ঈদের বিকেল রাবিকের কবরের পাশেই দিনের অধিকাংশ সময় কেটেছে মা-বাবার।

গত ঈদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে করেছিলেন রাকিব।

'ফতুল্লা বাজার জামে মসজিদ'-এ বাবা ও ভাইকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন। এবার রাকিবকে ছাড়া সেই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যান বাবা মোশারেফ হোসেন। নামাজ শেষে ছেলের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায় রাকিবের কবর জিয়ারত করতে চলে আসেন মোশারেফ।

ছেলের কবর জিয়ারত শেষে বাবা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘বাবার কাঁধে সন্তানের লাশের চেয়ে পৃথিবীতে ভারী আর কিছু নেই। কিছুতেই এই শোক সইতে পারছি না। সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ যেন ওকে জান্নাতবাসী করেন।’

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বছরের ২১ জুলাই সকালে রাকিব ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকায় বাজার করতে বের হন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন পোশাক শ্রমিক রাকিব বেপারী। ওই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খানপুর হাসপাতালে গিয়ে রাকিবের লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোশারেফ হোসেন।

শহীদ হওয়ার চার মাস আগে প্রেমিকা জান্নাতকে বিয়ে করেছিলেন রাকিব। বিয়ের চার মাসের মাথায় স্বামীর মৃত্যুতে শোকে ভেঙেন পড়েন স্ত্রীও। ভেঙে যায় স্বপ্নের ‘সুখের ঘর’। এতিম জান্নাত ফিরে যান নানির কাছে।

মন্তব্য

হবিগঞ্জে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হবিগঞ্জে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০
সংগৃহীত ছবি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১লা এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব তেঘরিয়া দর্জিহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উভয় পক্ষের লোকজন ব্যবসার কারণে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন।

কয়েক দিন আগে সেখানে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটিতে দুই পক্ষ গ্রামের বাড়িতে আসায় সেখানে বিষয়টি নিয়ে সালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও বি‌ভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উভয়পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী বলেন, ‘সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

’ 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ