নানার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার ৭ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর লাশ মিলেছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে। কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল মীম (১৪) জাফরগঞ্জ গঙ্গানগর এলাকায় বসবাসকারী ডিস লাইন কর্মচারী সবুজ মিয়ার বড় মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মাজেদা আহসান মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
তার বাবা সবুজ মিয়া জাফরগঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের ভাই হেলালের ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের কর্মচারী।
আরো পড়ুন
ঋণের কারণে স্বামীকে হারানো তাসলিমার ঘরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মীমকে পাশের ছয়গুরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শাহেদ (১৬) নামে এক কিশোর প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় জান্নাতুল মীম গঙ্গানগর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা বলে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ছয়গুরা গ্রামে শাহেদের বাড়িতে চলে যায়।
শাহেদকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে। শাহেদ এতে রাজি না হওয়ায় মীম আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মীম তার সাথে রাখা ঘুমের ৩০টি সেবন করে ফেলে। মীম অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহেদ তার বন্ধুদের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৫টায় মারা যায় মীম।
আরো পড়ুন
আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মীমের বাবা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। দুপুরে শাহেদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংই তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মেয়েটি প্রেমের টানে তার প্রেমিকের বাড়িতে যেয়ে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল, রাজি না হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে।
বয়সে দুইজনই কিশোর-কিশোরী। পরে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। নিহতের বাবার দাবি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে বিষ ঠেলে দিয়েছে।
আরো পড়ুন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি আরো বলেন, কোতয়ালী থানা পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। লাশ ময়নাতদন্তেনর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই সঠিকটা বলা যাবে।