<p style="text-align:justify">৩৯তম (বিশেষ) বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল এ স্মারকলিপি দেন। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মতিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।</p> <p style="text-align:justify">স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৫ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের চিকিৎসক সংকট নিরসনে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরকৃত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারই প্রেক্ষিতে পিএসসি ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল।</p> <p style="text-align:justify">ফলাফলে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন এবং ২৫০ জন ডেন্টাল সার্জন সুপারিশপ্রাপ্ত হন। অবশিষ্ট ৮ হাজার ৩৬০ জনকে নন ক্যাডার হিসেবে অভিনন্দন জানিয়ে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। পদ স্বল্পতার কারণে তাদেরকে সুপারিশ দেওয়া হয়নি বলে পদ সৃষ্টি হলে নিয়োগ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের মধ্য থেকে ২ হাজার এমবিবিএস চিকিৎসককে সুপারিশ প্রদান করা হয়। ফলাফল প্রকাশের প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ও যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণ করে সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে। একই বছর মহামারির ভেতরে চিকিৎসক সংকট যখন প্রবল, তখন পূর্বের উর্ত্তীর্ণ  চিকিৎসকদের নিয়োগবঞ্চিত রেখে পুনরায় ৪২ বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চিকিৎসক সংকট নিরসনের উদ্দেশে ৩৯তম বিশেষ গ্রহণ করা হলেও উত্তীর্ণ চিকিৎসকদেরকে নিয়োগবঞ্চিত রাখা হয়।</p> <p style="text-align:justify">মহামারির ভেতর বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষা গ্রহণে পিএসসি বাধ্য হয়। ৪২তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা বলা হলেও রাষ্ট্রের ক্ষমতাবলে ৪ হাজার চিকিৎসককে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাদ রেখে সরকারের আজ্ঞা বহন করে।</p> <p style="text-align:justify">নিয়োগবঞ্চিতরা স্মারকলিপিতে বলেন, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রকাশিত প্রস্তাবনা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশে ৩২ হাজার ৪১৬টি পদের বিপরীতে ২৬ হাজার ৬৪৮ জন সরকারি চিকিৎসক কর্মরত আছেন। এখনো ৫ হাজার ৮৪৮টি পদ খালি। পরিচালক মহোদয় প্রস্তাব করেন স্ট্যান্ডার্ড চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আরো ৮ হাজার ৩০০টি পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। প্রতি ১০ হাজার জনগণের জন্য মাত্র দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। এত এত চিকিৎসক ঘাটতির পরেও যোগ্য ও মেধাবী চিকিৎসকদের বছরের পর বছর নিয়োগবঞ্চিত রাখা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে স্পষ্ট দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। মন্ত্রীদের বিশেষ প্যাডে স্বাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্ম কমিশন প্রার্থীদেরকে সুপারিশ প্রদান করে। বারবার আমরা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ পাওয়ার আশায় গিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।  এমতাবস্থায় আমরা আদালতে যায়। ২০২২ সালে আমরা আমাদের পক্ষে রায় আসে। </p> <p style="text-align:justify">স্মারকলিপিতে এই চিকিৎসকরা অতি দ্রুত নিয়োগের সুপারিশের ব্যবস্থা করার জন্য পিএসসির কাছে আহ্বান জানান।</p>