কুয়াশায় দণ্ড দিচ্ছে এয়ারলাইনস ভুগছে যাত্রীরা

মাসুদ রুমী
মাসুদ রুমী
শেয়ার
কুয়াশায় দণ্ড দিচ্ছে এয়ারলাইনস ভুগছে যাত্রীরা
প্রতীকী ছবি

ঘন কুয়াশার কারণে মাঝেমধ্যেই উড়োজাহাজ নামতে পারছে না হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। প্রতিবছর শীত এলেই ফ্লাইট অবতরণ নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় এয়ারলাইনসগুলোকে। এ জন্য পাশের দেশগুলোতে অবতরণ করতে হয় দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসের কিছু ফ্লাইটকে। ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় অপ্রয়োজনে আকাশে উড়ে উড়ে জ্বালানি পুড়ছে।

বাড়তি ল্যান্ডিং-পার্কিং চার্জ বাবদ মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে এয়ারলাইনসগুলো। অন্যদিকে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা। অনাকাঙ্ক্ষিত শিডিউল বিপর্যয়ের শিকার হয়ে ফিরতি ফ্লাইটের যাত্রীরাও পড়ছে অনিশ্চয়তায়।
সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের আকাশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে।

সে সময় দৃষ্টিগোচরতা কম থাকায় রাতের বেলায় শাহজালালে উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যায় পড়তে হয় বৈমানিকদের। কুয়াশা বেড়ে গেলে কখনো কখনো রাত থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত উড়োজাহাজ অবতরণ বন্ধ রাখতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। এ সময়ে শিডিউলে থাকা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোও বিলম্বিত হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে শাহজালাল বিমানবন্দরে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) থাকলেও সেটি এখনো সনাতনি ক্যাটাগরি-১-এর।

তবে ২০২২ সালে আইএলএস-২ স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), যা এখনো শেষ হয়নি।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএলএস হলো একটি রেডিও নেভিগেশন সিস্টেম, যা পাইলটদের কম দৃশ্যমানতায়, রাতে বা খারাপ আবহাওয়ায় নিরাপদে অবতরণে সাহায্য করে। বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরেই আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ স্থাপন করা রয়েছে। কিন্তু ১৯৮০ সালের দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আইএলএস-১ স্থাপন করা হয়। তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া অন্য বিমানবন্দরগুলোতে আইএলএসের ব্যবস্থা নেই।

তাই এই দুর্ভোগ কমাতে সব বিমানবন্দরে দ্রুত উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রানওয়েতে সাধারণত দৃশ্যমানতা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। সাধারণত তা ৩০০ মিটার বা তার নিচে নামলেই আবহাওয়া অধিদপ্তর এভিয়েশন ওয়ার্নিং দেয়, সেটি ২০০ বা তার নিচে এলে তখন বিমান নামতেও পারে না। তখন পাইলটরা ইনস্টু্রমেন্ট ল্যান্ডিংয়ের সহায়তা নেন। কিন্তু শাহজালালে আইএলএস ক্যাটাগরি-১ হওয়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে নামা ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ অনেক দেশই বিমানবন্দরে আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ ব্যবহার করছে। সে ক্ষেত্রে কুয়াশা থাকলেও নামতে সমস্যা হয় না। এ কারণে ঢাকায় সমস্যা হলে কিছু ফ্লাইট কলকাতাসহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে নামছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অন্য দেশের বিমানবন্দরে অবতরণের (ফ্লাইট ডাইভার্ট) কারণে প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য ১০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসকে। শীত মৌসুমে ফ্লাইট ডাইভার্ট বেশি হলে একটি এয়ারলাইনসের পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত অপারেশনাল ব্যয় বেড়ে যায়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কুয়াশার কারণে আমাদের শিডিউল ঠিক রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে যেমন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি, তেমনি আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হলে এয়ারলাইনস এবং যাত্রী—উভয়েই এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেত।’

তিনি বলেন, এ বছর যদিও কুয়াশার প্রকোপ কম। কিন্তু বছরের পর বছর আমাদের এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

গত রবিবার মধ্যরাত আড়াইটা থেকে গত সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে পারেনি ছয়টি ফ্লাইট। এর তিনটি ফ্লাইট কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আর বাকি তিনটি নামে সিলেট বিমানবন্দরে।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, কুয়াশার কারণে মোট ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইট এবং ওমানের মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। পরে সকাল ৯টার পর ফ্লাইট তিনটি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের অপেক্ষায় থাকায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে কিছুটা চাপ তৈরি হয়।

বেবিচক সূত্র জানায়, এত দিন আইএলএস-১ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল, যা ঘন কুয়াশায় অল্প পরিসরে কাজ করে। এই সমস্যার সমাধানে শাহজালালে স্থাপন করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির আইএলএস-২। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইকাও) একটি বিদেশি ফ্লাইট শাহজালালে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন-অবতরণ করবে। এর পরই বেবিচককে আইএলএস-২ ক্যাটাগরির সনদ দেওয়া হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আইএলএস-২ আপগ্রেডেশনের সব কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু একটি বিদেশি অবজারভেশন ফ্লাইট লাগে। অবজারভেশন শেষ হলে আইএলএসের কাজ আমরা পুরোপুরি শুরু করতে পারব। এই প্রক্রিয়া আমরা শিগগিরই শেষ করতে পারব। আমরা আগামী দিনে আইএলএস-৩ স্থাপন করার ব্যাপারেও পরিকল্পনা করছি।’

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিবছরই বেবিচক শীত এলে বলে এবার আইএলএস আপগ্রেড হয়ে যাবে। এবারও বলেছিল, কিন্তু এখনো হয়নি। কুয়াশার কারণে এয়ারলাইনসগুলো ভোগান্তিতে পড়ছে। যারা কানেক্টিং ফ্লাইট ধরবে তারা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। আইএলএস আপগ্রেড হয়ে গেলেই সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হয়ে যাবে।’

এভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভিজিবিলিটি বা দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার থেকে একদম শূন্যের কোঠায় নেমে গেলে আইএলএস-২-এও উড়োজাহাজ অবতরণ করতে পারবে না। জিরো ভিজিবিলিটি হলে ল্যান্ড করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাইলটই নেবেন।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইএলএস-১ থেকে ক্যাটাগরি-২ চালু হলে ২৫০ মিটার পর্যন্ত ভিজিবিলিটিতেও ফ্লাইট নামানো যাবে। তবে এখন সবাই আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। আমাদের আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ করা উচিত ছিল।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গভবনে নানা শেণি পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বঙ্গভবনের লনে অনেকের সঙ্গে ঈদের নামাজে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। এর আগের ঈদগুলোতে নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহে যেতেন রাষ্ট্রপতি।

নামাজ শেষে সকাল ১০টায় সবার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

এসময় সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা।

ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেনসহ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল মো. নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছিলেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নরুল ইসলাম, পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টির মহাসচিব দিলীপ দাস ও জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা, যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামদানসহ বিভিন্ন মিশন প্রধান ও কূটনীতিকরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদুল ফিতরে ড. ইউনূসকে মোদির বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদুল ফিতরে ড. ইউনূসকে মোদির বার্তা
বাঁ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি : কোলাজ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বার্তা পাঠিয়েছেন।

এতে তিনি বলেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পরপরই ঈদুল ফিতরের আনন্দময় মুহূর্ত এসেছে। এ উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

পবিত্র রমজান মাসে ভারতের ২০ কোটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী সারা বিশ্বের মুসলমান ভাই-বোনদের সঙ্গে রোজা ও প্রার্থনায় ব্রত হন।

‘ঈদুল ফিতরের আনন্দময় উপলক্ষ উদযাপন, প্রতিফলন, কৃতজ্ঞতা এবং ঐক্যের প্রতীক। এটি আমাদের করুণা, উদারতা এবং সংহতির মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়; যা জাতি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে আমাদের একত্র করে।’

এই শুভ উপলক্ষে আমরা বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য এবং সুখ কামনা করি। আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় হোক।

মহোদয়, আমার সর্বোচ্চ অভ্যর্থনা গ্রহণ করুন।’

মন্তব্য
আরেক পাশে ছিলেন বিকল্প ইমাম

ইমামের অনুরোধেই ঈদ জামাতে সামনে আসেন আসিফ মাহমুদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইমামের অনুরোধেই ঈদ জামাতে সামনে আসেন আসিফ মাহমুদ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাতারে দাঁড়ানোর দৃশ্যের ছবি এবং একদিক থেকে করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তবে ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক রিউমর স্ক্যানার বলছে, ঈদের নামাজের ইমামের পেছনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ একাই দাঁড়াননি। ইমামের আরেক পাশে পেছনে দাঁড়ান ওই জামাতের বিকল্প ইমাম।

অনেকের প্রশ্ন, এটা ইসলামের তথা নামাজের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় কি না।

কেউ কেউ বলছেন, আগের কাতার পূরণ করেই পরের কাতারে দাঁড়ানোর নিয়ম।

আরো পড়ুন
খুলনার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

খুলনার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

 

প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইমামের ঠিক পেছনে আলাদা একটি কাতারে দাঁড়িয়েছেন আসিফ। প্রচারিত ভিডিওতে এই কাতারে আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলেই আলোচনার সূত্রপাত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এই জামাতে আজ ইমামতি করেন কারি গোলাম মোস্তফা এবং বিকল্প ইমাম হিসেবে সঙ্গে ছিলেন মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারি।

রিউমর স্ক্যানার এসংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও খুঁজে বের করে সেটি বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, আসিফ শুরুতে অন্য মুসল্লিদের সঙ্গে প্রথম কাতারেই দাঁড়িয়েছিলেন। নামাজ শুরুর আগে ইমাম সাহেব নামাজের জন্য সবাইকে দাঁড়াতে বলেন। বিকল্প ইমাম মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারি তখন ইমামের হাতের ডান পাশে একটু পেছনে দাঁড়ান।

মাইকে প্রথম কাতার থেকে যেকোনো একজনকে ইমামের বাঁ পাশে একটু পেছনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। কয়েকজনের পরামর্শে আসিফ সামনে এসে দাঁড়ান।

অর্থাৎ ভিডিও দেখে এটা নিশ্চিত যে আসিফ শুরুতেই নতুন কাতারটিতে এসে দাঁড়াননি। ইমামের আহ্বানে এবং পরবর্তীতে অন্যদের পরামর্শে এসে দাঁড়ান।

এমনটি কেন করা হলো সে বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানার কথা বলেছে বিকল্প ইমাম (যিনি উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে একই কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন) মুফতি জুবাইর আহমদ আল-আজহারির সঙ্গে।

তিনি জানান, ‘ইমাম সাহেবের সঙ্গে বিকল্প ইমাম সাহেব দাঁড়াবেন। এক পাশে দাঁড়ালে অন্য পাশে খালি থাকে। পেছনে জায়গা হচ্ছিল না বিধায় সামনে আরেকজন আসতে হয়। তখন প্রশাসক মহোদয় মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়কে সামনে আসার অনুরোধ করেন। উনি সামনে আসেন।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সিএমএইচসহ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সিএমএইচসহ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
ছবি : কালের কণ্ঠ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান সব সেনা সদস্যের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন এবং প্রীতি ভোজে অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া সেনাপ্রধান সম্প্রতি ভাসানটেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ