<p>কোনো কিছুই আলোর চেয়ে দ্রুত চলতে পারে না। আইনস্টাইনের তত্ত্বে এটাই বাস্তবতা। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্ব আমাদের দেখা বাস্তবতার উর্ধ্বে।</p> <p>১৯৯০ সাল। সুপারলুমিনাল এক্সপেরিমেন্ট বা অতি-আলোক পরীক্ষায় একটা পাগলাটে ঘটনা দেখা যায়। ফোটন কণা আলোর আগেই পৌঁছে যাচ্ছে কোথাও। কয়েকজন বিজ্ঞানী টানেলিং করে ফোটনকে একটি দেয়ালের ওপাশে পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছে প্রাচীনতম গ্যালাক্সি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/03/1730634519-a996693c41aea0e1da22bb400f0ef0d6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেছে প্রাচীনতম গ্যালাক্সি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/03/1442285" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ধরে নিই, দেয়ালটির পুরুত্ব ছিল ১ একক। ফোটনটি দেয়াল থেকে আরও ১ একক দূর থেকে ছোঁড়া হলো। টানেলিংয়ের পর ফোটনটি দেয়ালের ওপারে ১ একক দূরে গিয়েই থামলো। সব মিলিয়ে ৩ একক দূরত্ব পাড়ি দিল ফোটনটি। মজার বিষয়—এই ৩ একক দূরত্ব পাড়ি দিতে আলোর ১.৫ গুণ বেশি সময় লাগে।</p> <p>প্রশ্ন আসে, এমনটা কীভাবে হয়! আসলে টানেলিংয়ে একটা দেয়াল বা বাধা থাকে। ফোটন সেটা এমনভাবে টপকে যায়, যেন সেখানে কোনো দেয়াল ছিলই না। কার্যত ফোটনটি ২ একক দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে, ৩ একক নয়। এজন্য টানেলিংকে ‘সময়-শূন্য’ টানেলিংও বলে।</p> <p>পরীক্ষাটি সারা ফেলে বিজ্ঞান মহলে। তাহলে এভাবে কি আলোর থেকে দ্রুত গতিতে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সময়ের উল্টো পথে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/03/1730619200-10102baa6b3e4c7ac114d2591183499e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সময়ের উল্টো পথে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/03/1442216" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিসিস্ট রেমন্ড শাও বলেন, সম্ভব নয়। কারণ, টানেলিং নিয়মিত ঘটনা নয়। হাজারও ফোটনের মাঝে কেবল দুই-একটাই টানেলিংয়ে অংশ নেয়। কিন্তু ১৯৯৫ সালে এই কাণ্ডটিও ঘটিয়ে ফেলেন জার্মান পদার্থবিদ গুনটার নিমজ।</p> <p>তিনি বিশেষ পদ্ধতিতে টানেলিং করে আলোর চার গুণ গতিতে একটা সংগীতের রেকর্ডিং পাঠাতে সক্ষম হন। রেকর্ডিংটি ছিল জনপ্রিয় ‘মজার্টস সিম্ফনি নম্বর ফোর্টি’। তাক লাগানো কাণ্ড হলেও পরীক্ষাটি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশই এটাকে ভুল পর্যবেক্ষণ বলে দাবি করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কেন নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিলেন ডিরাক?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/02/1730543699-be619936bb23b2d749e7349b704b7417.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কেন নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিলেন ডিরাক?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/02/1441878" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br /> <br /> টানেলিংয়ের সময় ফোটন এমনভাবে দেয়াল বা শক্তির বাধা টপকে চলে যায়, যেনো সেখানে কোনো কিছু ছিলই না। কিন্তু আলোক তরঙ্গের ক্ষেত্রে সেই দূরত্বটিও অতিক্রম করতে হয়। তাই আপাতভাবে মনে হয় ফোটন আলোর চেয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে গেছে।</p> <p>গুনটার নিমজ প্রায়সই নিউটনের সেই প্রিজম পরীক্ষার কথা স্মৃতিচারণ করতেন। প্রিজমের ভেতর দিয়ে আলো বেরিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা বেঁকে যায়। দ্বিতীয় আরেকটি প্রিজম প্রথম প্রিজমের সাথে স্পর্শ করে রাখলে দ্বিতীয় প্রিজমে ঢোকার সময় আলো আর নতুন করে বাঁক নেয় না। কারণ দুটো প্রিজম তখন একটা প্রিজমের মতোই কাজ করে। কিন্তু প্রিজম দুটোকে খুব সামান্য দূরত্বে রাখলেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহাকাশে অসুখ হলে কী করেন নভোচারী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/02/1730541709-93d7e0e31ee5e1e82499ee5a363c0411.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহাকাশে অসুখ হলে কী করেন নভোচারী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/02/1441872" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রশ্ন হলো, তখন দুটো প্রিজমের মধ্যে আছে বায়ু। তারপরেও আলো বেঁকে যাচ্ছে না কেন? কারণ বায়ুর এতটুকু দূরত্ব ফোটন টানেলিংয়ে পার করেছে। প্রতিসরিত হয়ে নয়। দুঃখের বিষয়, নিউটন কারণটা জেনে যেতে পারলেন না।</p> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ<br /> কোয়ান্টাম টানেলিং<br /> জোসেফসন জাংশান</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>আইজ্যাক নিউটন</strong><br /> ১৬৪২-১৭২৭<br /> বিখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিদ, মহাকর্ষ ও গতিসূত্রের মুখপাত্র, অবদান রেখেছেন আলোকবিজ্ঞানেও।</p> <p><strong>গুনটার নিমজ</strong><br /> ১৯৩৬—বর্তমান<br /> জার্মান পদার্থবিদ, মানবদেহে তড়িৎচুম্বক বিকিরণের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, কোয়ান্টাম অতি-আলোক পরীক্ষায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।</p> <p><strong>রেমন্ড শাও</strong><br /> ১৯৪০—বর্তমান<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, কোয়ান্টাম অপটিকসে বিশেষজ্ঞ।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ব্রায়ান ক্লেগ<br />  </p>