মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। সবাই যখন পরিবার এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসব আনন্দে মেতে ওঠেন, তখনও সমাজের বিভিন্ন কর্মরত মানুষ দায়িত্ব পালন করেন। তাদের কখনো স্বেচ্ছায় কখনো-বা বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। তাই ঈদ আনন্দ থেকে অনেক সময় তাদের বঞ্চিত থাকতে হয়।
মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। সবাই যখন পরিবার এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে উৎসব আনন্দে মেতে ওঠেন, তখনও সমাজের বিভিন্ন কর্মরত মানুষ দায়িত্ব পালন করেন। তাদের কখনো স্বেচ্ছায় কখনো-বা বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। তাই ঈদ আনন্দ থেকে অনেক সময় তাদের বঞ্চিত থাকতে হয়।
এই বিষয়টি চিন্তা করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করে বসুন্ধরা শুভসংঘ গণবিশ্ববিদ্যালয় শাখা। গতকাল শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের হাতে এই ঈদ উপহারসামগ্রী তুলে দেন শুভসংঘের বন্ধুরা। উপহারের প্রতিটি প্যাকেটে ছিল চাল, তেল, সেমাই, চিনি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গণবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ফয়সাল আহমেদ, সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসাইন আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ ইসলাম ফাহিম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, ও দপ্তর সম্পাদক নাঈম হাসান সহ বিভিন্ন বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী।
বসুন্ধরা শুভসংঘ গণবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ফয়সাল আহমেদ জানান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ বাস্তবায়ন করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে এই ছোট্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ গণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমামুল হোসাইন আকন্দ বলেন, “ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই নৈশ প্রহরীদের মাঝে আমাদের সামান্য কিন্তু অফুরন্ত ভালোবাসাময় এ উপহার। আশা করি এই উপহার সামগ্রী দায়িত্বশীল ওই মানুষগুলোকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সহায়তা করবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিই সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ গণবিশ্ববিদ্যালয় শাখার এ ধরণের ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। উপহার পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন নৈশ প্রহরীরা। তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ গাজীপুর জেলা শাখা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠ সংলগ্ন স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেন শুভসংঘের বন্ধুরা।
জেলা শাখার সভাপতি মো: ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন শুভার্থীরা। তারা শহীদদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন।
এ সময় সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র নীলনকশা বাস্তবায়ন করে। বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। সেদিনের আত্মত্যাগেই অর্জিত হয়েছে লাল-সবুজের পতাকা।
সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আন্তর্জাতিক গণহত্যার সংজ্ঞা অনুযায়ী সেটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এখনও যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা সতর্ক হবে।’
‘অপারেশন সার্চলাইট’ অভিযানের নামে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী পরিচালিত এই নারকীয় গণহত্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে অতি দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান গাজীপুর জেলা শাখার বন্ধুরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গাজীপুর জেলা শাখার শুভার্থী হারুন অর রশীদ, জেরিন, শ্যামল, মুসাফির আরিফ, জুয়েল, জোহা, জয়, বিপ্লব হাসান, সুমাইয়া, ইমা, খাইরুল, মিজান, আকাশ প্রমুখ।
তীব্র গরমে দাঁড়িয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন বোয়ালখালীর ট্রাফিক এটিএসআই সাইফুল ইসলাম। সুশৃঙ্খলভাবে গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে গরমের তাপে শরীর যেন নুয়ে পড়ছে তার। এমন দৃশ্য বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যদের নজরে আসে।
তাই ছাতা হাতে এই গরমে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে সাইফুল ইসলামকে একটি ছাতা উপহার দেওয়া হয়। তিনি ছাতা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘তীব্র গরমে ডিউটি করছি। কেউ এগিয়ে আসেনি মাথায় ছায়া দিতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোশরাফুল হক, মো. বেলাল হোসেন, শাহাদাত হোসেন নয়ন, পারভেজ, কামাল উদ্দীন,মিজান, আজম,সালেহ আহমদসহ আরো অনেকেই।
মোশরাফুল হক বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ ছোট থেকে বড় সবাইকে নজরে রাখে।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে ইফতার সম্পন্ন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ, দিনাজপুর সদর উপজেলা শাখা।
গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) দিনাজপুর সদর উপজেলার ফুরকানিয়া ও রহমানিয়া তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আসতারুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল করিম, কালের কণ্ঠের দিনাজপুর প্রতিনিধি এমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সভাপতি মো. রাসেল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি স্বপন আলী, সহ সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, দপ্তর সম্পাদক মিলন আহম্মেদ, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান ফুয়াদ, কার্যকরী সদস্য আশরাফুল ইসলাম, মারুফ ইসলাম প্রমুখ।
সদর শাখার সভাপতি আসতারুল আলম উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তাআলার দয়ায় আজকে আমরা এখানে একত্রিত হতে পেরেছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সদর শাখা আরো বেশি বেশি শুভ কাজে সম্পৃক্ত হতে পারে। সামাজিক সচেতনতা ও সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের কল্যাণই হোক পবিত্র মাহে রমজানের মূল শিক্ষা।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ভ্যানচালকদের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজিবপুর সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে উপজেলা ভ্যানস্ট্যান্ডে শতাধিক ভ্যান চালকদের মাঝে এই ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ইফতার বিতরণ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজিবপুর সরকারি কলেজ বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা চাল-ডাল মাংস নিয়ে খিচুড়ি রান্না শুরু করেন। রান্না শেষ হলে নিজ হাতে প্যাকেজিং করে উৎসবমুখর পরিবেশে ভ্যানচালকদের মাঝে তা বিতরণ করেন।
উপজেলা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজিবপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি আশিক মাহমুদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম ও সবুজবাগ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মতিউর রহমান (বিএসসি)।
রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যানচালকরা জীবিকার তাগিদে রমজান মাসেও রাস্তায় বের হন। যাত্রী আনা-নেওয়া করার সময় রাস্তায় অনেক সময় আজান হয়ে যায়। তাই অনেক সময় তাদের রাস্তাতেই ইফতার করতে হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজিবপুর সরকারি কলেজ বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ, শুভসংঘের বন্ধু শাহাদাৎ হোসেন, মারুফ হোসেন, রাশিদুল,শাকিল, হৃদয়, রবিউল, রনি, রাজু,সিয়াম, শান্ত, বাবু নওশাদ আলি ও শামিম প্রমুখ।