লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কখনোই ৫ উইকেট পাওয়া হয়নি শরীফুল ইসলামের। আজ সেই অপেক্ষা ফুরাল। বাঁহাতি পেসারের অপেক্ষা শেষের দিন হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মিরপুরে শরীফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বৃষ্টি আইনে ১০ রানের জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল হাসান জয়ের জোড়া ফিফটিতে ২৭৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় রূপগঞ্জ। বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্যর সর্বোচ্চ ৮০ রানের বিপরীতে ৫৯ রান করেন জয়।
পরে বৃষ্টি আসলে ৪৮.৪ ওভারে ব্রাদার্স লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭১ রান। প্রতিপক্ষ রান তাড়া করতে নামলে শুরুতেই ধাক্কা দেন শরীফুল।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে টানা দুই বলে বিশাল চৌধুরী (০) ও মিজানুর রহমানকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও পরে ৬ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক তিনিই হন।
কেননা ৯ রানে ২ উইকেট হারানো ব্রাদার্স পরে দারুণভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে মাঝে আবারও একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে রূপগঞ্জকে জয় এনে দেন শরীফুল।
অন্যথা মাফুজুল ইসলাম রবিন (৭৬) আর দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা আইচ মোল্লা (৪৭) ও মাইশুকুর রহমানের (৪৬) ব্যাটে জয়ই দেখছিল ব্রাদার্স। ৪০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন শরীফুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি পেসারের আগের সেরা বোলিং ছিল ১৪ রানে ৪ উইকেট।
বিজয়ের ব্যাটে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) দুর্দান্ত ছন্দে আছেন এনামুল হক বিজয়। ১০ ইনিংসের ছয়টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
যার মধ্যে আছে দুটি সেঞ্চুরিও। তার এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্সে পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও হাসছে।
আজ অবশ্য এক ম্যাচ পর ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে জয়ে ফিরেছে গাজী গ্রুপ। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বিশাল ব্যবধানের জয়টি পেয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। ৩০৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি পারটেক্স। এর মধ্যে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন আদিল। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শামিম মিয়া-ওয়াসি সিদ্দিকী-তোফায়েল আহমেদ।
ম্যাচসেরা শামীম বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাট হাতেও ফিফটি করেছেন (৫৩)। তার মতো ফিফটি করেছেন সাব্বির হোসেন ও বিজয়। সাব্বিরের অপরাজিত ৬৪ রানের বিপরীতে দলের সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন বিজয়। তিনজনের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ। সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলার পথে এবারের ডিপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৬০০ রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক বিজয়। বর্তমানে তার রান ৬১৮।
সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ
বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে না চাইলে এবারের ডিপিএলে তৃতীয় সেঞ্চুরিটা সহজেই পেতে পারতেন নুরুল হাসান সোহান। কেননা ব্যক্তিগত ৯৭ রানে যখন আউট হলেন তখন দলের জয় পেতে ২৩ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নুহেল সানদিদের বলে উচ্চাভিলাষী পুল শট হাঁকাতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন।
এতে তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সোহানকে। অধিনায়কের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও টানা ৪ হারের পর জয়ে ফিরেছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। ৫ উইকেটের জয়টি এসেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। সোহানের দুর্দান্ত ইনিংসের আগে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন টপ অর্ডার ব্যাটার। দুই ওপেনার আজমির আহমেদ (৪০) ও হাবিবুর রহমান (৩৩) প্রথম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। তিনে নেমে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বিও।
আর শেষ দিকে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ধানমন্ডিকে জয়ে ফেরান ইয়াসির আলি রাব্বি। এর আগে নাসির হোসেন (৭৭) ও আসাদুল্লা আল গালিবের (৬৫) জোড়া ফিফটিতে ২৮১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স। তিন শ ছুঁই ছুঁই লক্ষ্য দিয়েও সোহানদের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি রূপগঞ্জ টাইগার্সের।