শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন ছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের। ব্যাটিংয়ে তখন ৯২ রানে অপরাজিত সেট ব্যাটার আব্দুল মাজিদ। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শেষ ওভারের দায়িত্ব তৌফিক আহমেদের কাঁধে।
শুরুটা দারুণও করেন তৌফিক।
প্রথম ৫ বলে এক ওয়াইডসহ রান দিলেন ৭। তবে শেষ বলে ৩ রানের সমীকরণে মজিদের কাছে হার মানলেন এই পেসার। তার বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিলেন রূপগঞ্জের ওপেনার। সঙ্গে তুলে নিলেন সেঞ্চুরিও।
শেষ বলে জয়সূচক চার মেরে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান করেন মজিদ। ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পাওয়া ৪ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ফিফটি করে অবদান রেখেছেন আসাদুল্লা আল গালিব। তবে শেষ দিকে আরিফুল হক ৩৪ রানের ছোট্ট এক ইনিংস না খেললে জয় পাওয়া হয়তো হতো না রূপগঞ্জের।
এর আগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ (৫৪) ও রুবেল মিয়ার (৫২) জোড়া ফিফটিতে ২২৩ রান করে পারটেক্স। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে ৩ টি করে উইকেট নেন মাহমুদুল হাসান ও আল আমিন জুনিয়র।
বৃথা গেছে রাফসানের সেঞ্চুরি
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক সেঞ্চুরিয়ান মজিদ হলেও রায়হান রাফসানের সেঞ্চুরি বৃথাই গেছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেও পরাজিত দলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৪৬ রানে হেরেছে রাফসানের দল।
২৯৫ রান তাড়া করতে নেমে ২৪৮ রানে থেমেছে শাইনপুকুর। ৫ উইকেট হাতে থাকলে রাফসানরা দ্রুত গতিতে রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার সেঞ্চুরির বিপরীতে ৫১ রান করেছেন মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির।
অগ্রণী ব্যাংকের বড় সংগ্রহে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তার মতো ফিফটি পেয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলামও (৫৩)। দুজনের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ পায় অগ্রণী ব্যাংক।
লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের বীরত্বে জিতেছে গুলশান
লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের জন্য। ২৯১ রানের লক্ষ্যটা বড় হলেও লোয়ার অর্ডার ব্যাটার বীরত্বে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। ৯ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয়ে ৬ ও ৭ নম্বরে নেমে ফিফটি করেছেন নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ ইলিয়াস।
দলীয় ১০০ রানে অর্ধেক উইকেট হারানো গুলশানকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন নাঈম-ইলিয়াস। দুজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৯৯ রানের জয়ের ভিত গড়া জুটি। ব্যক্তিগত ৫০ রানে নাঈম ফিরে গেলে ফরহাদ রেজা হাল ধরেন। ৪৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার আগে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ইলিয়াস। শেষ দিকে ১৮ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রোমাঞ্চকর জয়ে অবদান রাখেন পেসার মেহেদী হাসান। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ৪ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।
এর আগে তিন ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৯০ রানের স্কোর দাঁড় করায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফিফটি করা তিন ব্যাটার হচ্ছেন- বিশাল চৌধুরী (৮৩), মিজানুর রহমান (৫০) ও আইচ মোল্লা (৬৫)। প্রতিপক্ষের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নিহাদুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান পায়েল।