দেশে ফিরে রোমাঞ্চিত হামজা বললেন, আমরা ভারতকে হারাতে পারব

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
দেশে ফিরে রোমাঞ্চিত হামজা বললেন, আমরা ভারতকে হারাতে পারব

বেলা পৌনে ১২টায় বিমানবন্দরে অবতরণ করে হামজা চৌধুরীকে বহনকারী বিমান। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর হামজাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাফুফের কর্মকর্তারা। 

বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন তারকা হামজা চৌধুরীকে বরণ করতে বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকেরা ভিড় জমান। তার আসাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।

বিমান থেকে নামার প্রায় ১ঘন্টা পর গণমাধ্যমের সামনে আসেন হামজা। তাকে দেখার জন্য ভিআইপি গেইটের সামনে  সমর্থকেরা ভিড় জমান। তাকে দেখা মাত্র  স্লোগানে-স্লোগানে মাতিয়ে তুলে সমর্থকেরা। তবে গণমাধ্যমের সামনে বেশিক্ষণ থাকেননি হামজা।

ভিড়ের মধ্যে শুধু বলেছেন, ‘দেশে ফিরে ভালো লাগছে, আমি খুব রোমাঞ্চিত। কোচ কাবরেরার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছি। সে মাফিক খেলতে পারলে আশা করি আমরা ভারতকে হারাতে পারব।

সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। তার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী জানিয়েছেন,  হামজা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে দেখা করবেন, কথা বলবেন। আজ সেখানে ইফতার বিতরণ করা হবে গরিবদের মধ্যে। হামজা নিজে একটি এতিমখানা চালান। সেখানে ইফতারি বিতরণ করে হামজা নিজের বাসায় আসবেন।

সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকায় যাবেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের। এই ম্যাচে ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ এমন আশা নিয়ে সমর্থকেরা বুক বেঁধেছেন। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিউজিল্যান্ডের কাছে ফের হারল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
নিউজিল্যান্ডের কাছে ফের হারল পাকিস্তান
সংগৃহীত ছবি

বৃষ্টি দিয়েছিল বাগড়া। নির্ধারিত সময়ে হয়নি টস। খেলার পরিধিও আসে কমে। কুড়ি কুড়ির লড়াই ১৫ ওভারে নামলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি পাকিস্তানের।

ব্যাটে লড়েছিল সফরকারীরা। তবে তারুণ্যে ঠাসা নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি। তাতেই এসেছে আরেকটি হার।

ডানেডিনে টস জিতে সফরকারী পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নিউজিল্যান্ড।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা এলোমেলো ছিল ম্যান ইন গ্রিনদের ইনিংস। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন হাসান নওয়াজ। ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসও। ১০ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন।
 

আরো পড়ুন
ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি

ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি

 

সতীর্থদের নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে আসার মিছিলে একপ্রান্তে আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক সালমান আঘা। ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন পাকিস্তানের নতুন এই অধিনায়ক। ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি চার ও তিন ছক্কা হাঁকানো সালমানকে আউট করেন বেন সিয়ার্স। 

শাদাব খান করেছেন ১৪ বলে ২৬ রান।

শেষ দিকে শাহীন শাহ আফ্রিদির ১৪ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে ৯ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। রান তাড়ায় শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর তান্ডব চালান দুই কিউই ওপেনার টিম সেইফার্ট ও ফিন অ্যালেন। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক কিউইরা। 

মন্তব্য

ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি
ফাহমিদুল ইসলাম

হাভিয়ের কাবরেরাই খুঁজে বের করেছিলেন তাকে। দল ঘোষণার দিন ফাহমিদুল ইসলামকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। কিন্তু সৌদি আরবের ক্যাম্প শেষ করে দলের সঙ্গে ঢাকায় আসেননি ফাহমিদ। ফিরে গেছেন ইতালিতে।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সেই দলের সঙ্গে নেই ফাহমিদ। তার না থাকা নিয়ে ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘সে ইতালি ফিরে গেছে। আপাতত আর দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না।

এতেই বোঝা যাচ্ছে, কোচের মন জয় করতে পারেননি ১৮ বছরের এই তরুণ। তার কোনো রকম চোট সমস্যা নেই, ইনজুরিতেও পড়েনি। সবশেষে অনুশীলনেও ছিলেন। তারপরও তিনি দলের সঙ্গে আসেননি।

গত ১০ মার্চ সৌদির ক্যাম্পে যোগ দেন ফাহমিদ। দলের অনুশীলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে। ফাহমিদের বেড়ে ওঠা ইতালিতে। এখন তিনি খেলছেন ইতালির চতুর্থ স্তরের দল ওলবিয়া কালসিওতে।

মন্তব্য

এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি

রানা শেখ, হবিগঞ্জ থেকে
রানা শেখ, হবিগঞ্জ থেকে
শেয়ার
এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি
বাংলাদেশের পতাকা হাতে হামজা। ছবি : সংগৃহীত

ওসমানী বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে কালো রঙের প্রাডো গাড়িটা ছুটতেই একটু দম ফেলার ফুরসত মিলল হামজা চৌধুরীর। এর আগে সিলেটে নামার পর থেকে পুরো সময়টাই তো মানুষের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠ দাপানোর অপেক্ষায় থাকা এই ফুটবলার।

হামজা এবং তাঁর পরিবারের গন্তব্য হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামের নিজ বাসভবনের পথে ছুটতে থাকা গাড়ি অবশ্য বিমানবন্দর ছেড়ে আসার ৪০ মিনিট পর আচমকা এক যাত্রাবিরতিও নিল। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে থেমে গেল হামজাকে অনুসরণ করা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি গাড়িও।

একই সমান্তরালে অন্য একটি গাড়িতে থাকা কালের কণ্ঠের প্রতিবেদকেরও না থেমে উপায় কী! নেমে জানা গেল, হামজা এবং তাঁর পরিবারের জন্য খাবারদাবার তোলা হয়েছিল বাফুফের গাড়িতে। সন্তানের ক্ষুধা লেগে যাওয়ায়ই ক্ষণিকের যাত্রাবিরতি নেওয়ায় হামজাকে এই সুযোগে পাওয়া গেল একান্তে। ক্রীড়া সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সিলেটি টানের বাংলায় হামজার জিজ্ঞাসা, ‘ভালো আছেন?’ কুশল বিনিময় থেকেই এগোতে শুরু করে আলাপ। আলাপে আলাপে বাংলাদেশের হয়ে ক্যারিয়ার শুরুর লগ্নে তাঁর ভাবনাই শুধু নয়, জানা হয় হবিগঞ্জের দূর গ্রামে হামজার ‘চ্যারিটি’র গল্পও।

কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য সেই আলাপের বিস্তারিত  

প্রশ্ন : এর আগেও আপনি বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু এবার এলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। কেমন লাগছে?

হামজা চৌধুরী : এখানে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। এখানে আমি বারবার আসতে চাই।

এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ আরো অনেকবার আসব।

প্রশ্ন : বিমানবন্দরে এত এত ভালোবাসা পেলেন। কথাই বলতে পারলেন না...।

হামজা চৌধুরী : সত্যি, অনেক ভালো লাগা কাজ করছে।

আমি রোমাঞ্চিত। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে। এই অনুভূতি অন্য রকম। আমি বাংলাদেশের মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।

প্রশ্ন: প্রতিদান কিভাবে দিতে চান?

হামজা চৌধুরী : আমার লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে নিয়ে যাওয়া। এরপর এই দেশের ফুটবলের শক্ত ভিত গড়ে দিতে চাই। সবার মধ্যে ভালো করার মানসিকতা ঢুকিয়ে দিতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। আশা করি, আমি সাহায্য করতে পারব।

প্রশ্ন : ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ। জেতার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?

হামজা চৌধুরী : ইনশাআল্লাহ আমরা জিতব। কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যদি ঠিকঠাক খেলতে পারি তাহলে জিতে ফিরব। সেই বিশ্বাস আমার আছে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের ফুটবলাররা আপনার সঙ্গে খেলার জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এটা কি আপনি জানেন?

হামজা চৌধুরী : হ্যাঁ, শুনেছি। তাঁদের সঙ্গে খেলতে আমি নিজেও উত্সুক হয়ে আছি। আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফলই এনে দিতে পারব।

প্রশ্ন : পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন বলে তারা কতটা রোমাঞ্চিত?

হামজা চৌধুরী : অনেক রোমাঞ্চিত। আগে তো শুধু আমি একা এসে গ্রামে ঘুরে যেতাম। এবার আমার স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। ওরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে চেয়েছে। যদিও আমরা খুব কম সময় নিয়ে এসেছি।

প্রশ্ন : শুনেছি, আপনার অর্থায়নে গ্রামে একটি মাদরাসা চলে। কোন ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ?

হামজা চৌধুরী : আল্লাহ খুশি হবেন বলে। আমার খুব ভালো লাগে। বাচ্চাদের আমি খুব ভালোবাসি।

প্রশ্ন : এখন তো রোজার মাস চলছে। কিভাবে ফিটনেস ধরে রাখার কাজ করেন?

হামজা চৌধুরী : বিশেষ কিছু করা হয় না। সাধারণত যা যা করি, এখনো তা-ই করি। ঘুম, নামাজ, অনুশীলন ও ম্যাচ; খেলেই নিজেকে ফিট রাখি।

প্রশ্ন : আপনার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে ওঠার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে। কতটা আশাবাদী আপনি?

হামজা চৌধুরী : এই দলে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। খুব ভালো কাটছে আমার সময়। ইনশাআল্লাহ, আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না হামজা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না হামজা
বাবার সঙ্গে বসে হামজা। ছবি : ভিডিও থেকে

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে আসার আগে গত কয়েক দিন একটা আলোচনা সামাজিক মাধ্যমে তুঙ্গে উঠেছিল। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় তারকা কে? সাকিব আল হাসান, নাকি হামজা? এই আলোচনায় দুই ভাগ হন ভক্ত-সমর্থকরা।

আজ বাংলাদেশে আসায় হামজার কাছে সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল। নিজেকে এই তুলনার বাইরেই রেখেছেন বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

এমনকি সাকিবকে মেগাস্টার বলে সম্বোধনও করেছেন তিনি। হামজা বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান মেগাস্টার। তিনি অনেক বছর ধরে বিশ্বসেরা। তার সঙ্গে তুলনা ঠিক হবে না।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের অবদান কত সেটা মাথায় রেখেই হামজা এমনটা যে বলেছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তিনি এখনো বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচই খেলেননি। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি। 

বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বপ্ন দেখেছিলেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তজার্তিক ক্যারিয়ার রাঙানোর।

সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও বিশ্বের জনপ্রিয় লিগ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন তিনি। লেস্টার সিটির হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার গড়ার আগে একাডেমিতেই নিজেকে শানিত করেছেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। বর্তমানে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলছেন তিনি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ