ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ট্রেকিং, হাইকিং ও ক্যাম্পিংয়ে সাপের কামড় থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রেকিং, হাইকিং ও ক্যাম্পিংয়ে সাপের কামড় থেকে দূরে থাকবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণে ট্রেকিং, হাইকিং ও ক্যাম্পিংয়ের মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চান অনেকেই। সে জন্য পাহাড়ের খাদ, ঝিরিপথ ও জঙ্গলঘেরা আদিবাসীদের গ্রামগুলো বিচরণের জন্য বেছে নেন ভ্রমণপিয়াসীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা জরুরি। সবচেয়ে বেশি যে ঝুঁকি থাকে, তা হচ্ছে বিষাক্ত সাপের উৎপাত।

বিশেষ করে পাহাড়ি সাপের দংশনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে।

ভ্রমণের আনন্দকে শতভাগ আরামদায়ক ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে হলে সর্বাত্মকভাবে এ ধরনের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা আবশ্যক। তাই চলুন, ভ্রমণের সময় সাপের কামড় থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো জেনে নিই।

গন্তব্যে সাপের আনাগোনা সম্বন্ধে জেনে নেওয়া

ভ্রমণে যাওয়ার আগে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা দরকার।

গন্তব্য ঠিক করার মুহূর্তে ভ্রমণের যানবাহন, সেখানকার আবাসন, খাওয়াদাওয়াসহ যাবতীয় বিষয়ে বিশদ ধারণা নিতে হবে। এগুলোর সঙ্গে সাপ থেকে নিরাপত্তার দিকটাও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যে অঞ্চলে যাওয়া হচ্ছে, সেখানকার স্থানীয় সাপের প্রজাতির ব্যাপারে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। যেমন রাসেলস ভাইপার ও মনোক্লেড কোবরা সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি থাকে।

আরো পড়ুন
পাখির অভয়ারণ্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা, কিভাবে যাবেন

পাখির অভয়ারণ্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা, কিভাবে যাবেন

 

পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা যায় সবুজ পিট ভাইপারের মতো প্রজাতি। এই সাপগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাতে সক্রিয় থাকে এবং ধানের ক্ষেত বা জলাবদ্ধ এলাকায় বসবাস করে। এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বন বিভাগ, স্থানীয় বন্য প্রাণী সংস্থাসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকার ওয়েবসাইটগুলোতে।

সাপের কামড় প্রতিরোধে কী পরবেন

লম্বা প্যান্ট, মোটা মোজা ও উঁচু বুটের মতো পরিধেয়গুলো সাপের কামড়ের ঝুঁকি কমাতে পারে। দুর্গম অঞ্চল পেরিয়ে ঝর্ণা দেখার সময় বা ম্যানগ্রোভ বন ভ্রমণকালে সুরক্ষামূলক গিয়ার পরিধান করা অপরিহার্য।

এ ছাড়া এখন স্নেক গেটারের মতো নানা ধরনের অত্যাধুনিক সেফটি গিয়ার পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ ও সাপের আক্রমণের বিরুদ্ধে মজবুত ঢালের কাজ করে।

পাশাপাশি পরনে হালকা রঙের পোশাক পরলে তা সাপ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। কেননা বৈশিষ্ট্যগতভাবে সাপ উজ্জ্বল রঙিন বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়। ট্রাভেল ট্রেকিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বিভিন্ন দোকানে ট্রাভেল সরঞ্জামের পাশাপাশি বেশ কিছু স্নেক-সেফটি গিয়ারও পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন
প্রথম আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

প্রথম আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

 

প্রাথমিক চিকিৎসা প্রস্তুতি

সাপের কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে কামড়ের লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে হয় এবং অবিলম্বে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য করণীয়গুলো জানা থাকা জরুরি। দংশনের পর শরীরজুড়ে বিষের বিস্তার কমানোর চেষ্টা করতে হবে এবং আক্রান্ত অঙ্গটিকে যথাসম্ভব স্থির রাখতে হবে। ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক এবং সম্ভব হলে সাকশন ডিভাইস ধারণকারী স্নেক বাইট কিট সঙ্গে রাখা উত্তম। রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলের মতো এলাকায় পেশাদার চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা যথেষ্ট সাহায্যে আসতে পারে।

নিরাপদ ট্রেইল অনুসরণ করা

জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে যেখানে অধিক লোক সমাগম হয় সেখানে ভ্রমণের সুবিধার্তে ঝুঁকিমুক্ত পথের নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এই পথগুলো সাধারণত নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরকম নির্দেশনা উল্লেখ করা সাইনবোর্ডগুলো একই সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দান করে। কোথাও হয়তো ঝোপ-ঝাড় এতটা ঘন হয়ে গেছে যে তা বিচরণের অযোগ্য।

আরো পড়ুন
টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

 

কোথাও বা খাড়া পিচ্ছিল ঢাল কিংবা স্বাভাবিক রাস্তা হলেও পথের প্রান্তে হয়ত রাস্তা শেষ বা অন্য কোনো রাস্তার সঙ্গে যোগসাজশ নেই। এ ধরনের রাস্তাগুলোতে প্রায়ই সাবধানতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে। অতিরিক্ত রোমাঞ্চের আশায় এগুলো উপেক্ষা করা মানেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ানো। এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাপগুলো অধিক সক্রিয় থাকে এবং এদেরকে শনাক্ত করাও বেশ কঠিন হতে পারে।

সূত্র : ইউএনবি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মেঘের রাজ্য চিম্বুক পাহাড়ে এক দিনের ভ্রমণ, যেভাবে যাবেন

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
মেঘের রাজ্য চিম্বুক পাহাড়ে এক দিনের ভ্রমণ, যেভাবে যাবেন
সংগৃহীত ছবি

বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত চিম্বুক পাহাড়—এক অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নাম। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে ওঠার সময় দুই পাশে চোখে পড়বে সবুজে মোড়ানো পাহাড় আর বয়ে চলা সাঙ্গু নদীর মনকাড়া দৃশ্য।

পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছেই মনে হবে, যেন মেঘের রাজ্যে পা রেখেছেন। বর্ষাকালে চিম্বুক পাহাড়ে গেলে মেঘ ছুঁয়ে দেখার বিরল অভিজ্ঞতাও হতে পারে।

সাজেকের মতো এখানেও উপভোগ করতে পারবেন মেঘ আর পাহাড়ের চমৎকার খেলা।

চিম্বুক যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে বান্দরবান : শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম বা ডলফিন পরিবহন ব্যবহার করে জনপ্রতি ৮০০-১৮০০ টাকা ভাড়ায় রাতে রওনা দিয়ে ভোরে বান্দরবান পৌঁছানো যায়।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান : বদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০-২৫০ টাকা ভাড়ায় সরাসরি বান্দরবান যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।

বান্দরবান থেকে চিম্বুক : স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে জিপ, চাঁদের গাড়ি বা সিএনজিতে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন চিম্বুকে।

চিম্বুক যাওয়ার পথে যেসব জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন

মিলনছড়ি : ঠাণ্ডা হাওয়া ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের দারুণ জায়গা।
শৈলপ্রপাত : পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ঠাণ্ডা ঝর্ণা, প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রিয় স্থান।
নীলগিরি : চিম্বুক থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে, যেখানে মেঘ হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়।

থাকার ব্যবস্থা
চিম্বুকে সাধারণ হোটেল না থাকলেও জেলা প্রশাসনের রেস্ট হাউস আছে।

একটু বিলাসবহুল থাকার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে সাইরু রিসোর্ট বা নীলগিরি রিসোর্ট আপনার জন্য উপযুক্ত। বান্দরবান শহরে রয়েছে ৮০০-৩০০০ টাকার মধ্যে নানা রকম হোটেল ও রিসোর্ট।

খাবার ব্যবস্থা
চিম্বুক পাহাড়ে সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে নাশতা ও দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। এ ছাড়া আশপাশে কিছু স্থানীয় খাবারের দোকান আছে, যেখানে অগ্রিম জানালে তারা খাবার প্রস্তুত রাখে।

সূত্র : ভ্রমণ প্রিয়

মন্তব্য

ঘুরে আসতে পারেন রানি ময়নামতির প্রাসাদ

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
ঘুরে আসতে পারেন রানি ময়নামতির প্রাসাদ
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকায় অবস্থিত রানি ময়নামতির প্রাসাদ। এটি লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের সর্বউত্তরের একটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। স্থানীয়ভাবে এটি রানি ময়নামতি প্রাসাদ নামেই পরিচিত। দশম শতাব্দীতে চন্দ্র বংশীয় রাজা মানিকচন্দ্র, তাঁর স্ত্রী ময়নামতির জন্য প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।

১৯৮৮ সালে শুরু হওয়া খননকাজে এখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন মূল্যবান প্রত্নসম্পদ আবিষ্কৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে—হাতিয়ার, জীবাশ্ম কাঠ, কালি রাখার দোয়াত, পোড়ামাটির ফলক ও অলংকৃত ইট। প্রায় ১০ একর আয়তনের এই প্রত্নস্থলটি লালমাই-ময়নামতি এলাকার অন্যান্য পুরাকীর্তির তুলনায় ভিন্নধর্মী। এখানে খনন করে ৫১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০০ ফুট প্রস্থের একটি বেষ্টনী প্রাচীর, বৌদ্ধ ধর্মীয় ক্রুশাকার মন্দির ও চারটি ভিন্ন নির্মাণ যুগের স্থাপত্য নিদর্শন পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাসাদটি ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর কোনো সময় নির্মিত হয়েছিল। 

লোকমুখে শোনা যায়, প্রথমে এখানে একটি বড় ক্রুশাকার মন্দির ছিল। পরে এটি সংস্কার করে ছোট আকারে পুনর্নির্মাণ করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ৭ বৈশাখ থেকে মাসব্যাপী একটি বড় বৈশাখী মেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ স্থানটি দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু পর্যটক ও দর্শনার্থী এখানে আসেন।

যেভাবে যাবেন
রানি ময়নামতির প্রাসাদে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে কুমিল্লা আসতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে কুমিল্লা যেতে পারবেন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে চট্টগ্রামগামী ট্রেনে কুমিল্লা যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে শ্রেণিভেদে জনপ্রতি ভাড়া হতে পারে ২৮৫-১১৮০ টাকা।


রাজধানীর সায়েদাবাদ বা কমলাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে রয়্যাল কোচ, এশিয়া এয়ারকন, এশিয়া লাইন বা তৃষার মতো এসি বা নন এসি বাসগুলো কুমিল্লা নিয়মিত যাতায়াত করে। বাসে জনপ্রতি ভাড়া হতে পারে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বা ফেনীগামী বাসে কুমিল্লা যাওয়া যায়।
বাসে করে কুমিল্লা গেলে কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড বা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট গেট নামবেন। এরপরে অটোরিকশা দিয়ে ময়নামতি সাহেব বাজার এলাকার কাছে অবস্থিত রানি ময়নামতির প্রাসাদে যেতে পারবেন। ট্রেনে করে কুমিল্লা আসলে কুমিল্লা শহর থেকে আপনাকে প্রথমে কোটবাড়ি বিশ্বরোড বা ক্যান্টনমেন্টে আসতে হবে। কুমিল্লা শহর থেকে এখানে আসার জন্য অটোরিকশা বা সিএনজি পাবেন।  এ ছাড়া ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে রিকশায় মাত্র ১৫ টাকা ভাড়ায় সরাসরি পৌঁছানো যায় রানী ময়নামতির প্রাসাদে।

সূত্র : মাই ট্যুর বিডি

মন্তব্য

রাজধানীর কাছেই কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানীর কাছেই কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনে
কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি। ছবি : সংগৃহীত

আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে ১৮০০ শতকে তৈরি হয় কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের কলাকোপায় ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক জমিদারবাড়ি। জমিদার ব্রজেন রায় এই বাড়িটি তৈরি করেন। ব্রজেন রায় নামের পাশাপাশি তিনি সুদর্শন রায় হিসেবেও সমান পরিচিত ছিলেন।

নান্দনিক বাগানে ঘেরা ইট, সুরকি ও রডের ব্যবহারে নির্মিত অপরূপ নির্মাণশৈলীর জমিদারবাড়িটিকে ‘ব্রজ নিকেতন’ নাম দেওয়া হয়। কালক্রমে কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ির মালিকানা প্রথমে একজন তেল ব্যবসায়ী ও পরবর্তীতে একজন জজের কাছে চলে যায়। ফলে জমিদারবাড়ির ইতিহাসের সঙ্গে ‘তেলিবাড়ি’ ও ‘জজবাড়ি’ নাম দুটিও যুক্ত হয়।

কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ির ৫০০ গজের মধ্যে আছে বৌদ্ধ মন্দির, শ্রীলোকনাথ সাহাবাড়ি, কলাকোপা আনসার ক্যাম্প, উকিলবাড়ি, দাসবাড়ি, আদনান প্যালেস ও ইছামতি নদী।

আবার অনেকের মতে, এসব স্থাপনা কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়িরই অংশ।

আরো পড়ুন
ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

 

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ির দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ অথবা শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু) দিয়ে দোহার এসে নবাবগঞ্জের কলাকোপা যেতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার গুলিস্তান থেকে বান্দুরাগামী বাসে সরাসরি কলাকোপায় অবস্থিত জমিদারবাড়ির কাছে নামতে পারবেন।

কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ির স্থানটি বর্তমানে আনসার একাডেমি/ক্যাম্প হিসেবে অধিক পরিচিত। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক জমিদারবাড়িটি শিক্ষক আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরো পড়ুন
ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্রসৈকত

ঘুরে আসুন চট্টগ্রামের পারকি সমুদ্রসৈকত

 
মন্তব্য

ঢাকার কাছে ১ দিনের ভ্রমণ, চিনে নিন ৫ দারুণ জায়গা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকার কাছে ১ দিনের ভ্রমণ, চিনে নিন ৫ দারুণ জায়গা
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, ছবি সংগৃহীত

ঢাকার আশেপাশে অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে, যেখানে আপনি একদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারবেন। ঢাকার বাইরে যেতে সাধারণত অনেক সময় ও খরচ লাগে। কিন্তু এই জায়গাগুলোতে আপনি কম সময়েই প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন এবং মনকে সজীব করতে পারবেন। চলুন, জেনে নিই জায়গাগুলো সম্পর্কে।

গোলাপ গ্রাম
ঢাকার খুব কাছেই একটি বিশেষ জায়গা গোলাপ গ্রাম। যেখানে রাস্তার দুইপাশ গোলাপের বাগানে পরিপূর্ণ। এখানে গিয়ে মনে হবে আপনি একটি বিশাল গোলাপ বাগানের মধ্য দিয়ে হাঁটছেন।
ঢাকার মিরপুর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত বোট ৩০ মিনিট পর পর চলে।

এতে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগবে।

পানাম ও মেঘনার পার
পানাম সিটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মাঝে একটি। এখানে গেলে বাংলার ইতিহাসের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। পানাম থেকে মেঘনা নদী খুব কাছেই, যেখানে রয়েছে কাশফুলে ঘেরা বিস্তৃত মাঠ।


পানাম সিটি যাওয়ার জন্য গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁ যাওয়ার বাসে আগে পানামনগর যেতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশায় ১০-১৫ মিনিটে পৌঁছানো যাবে পানাম সিটি।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
ঢাকার অদূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের বৃহত্তম জমিদারবাড়িগুলোর মধ্যে একটি।
গাবতলী থেকে বাসে মানিকগঞ্জ অথবা সরাসরি সাটুরিয়া যেতে পারবেন। সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিতে করে জমিদার বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন।

মহেরা জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ি একটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। এখানে অসাধারণ কারুকার্য করা তিনটি স্থাপনা রয়েছে। মহেরা জমিদার বাড়ি যাওয়ার জন্য মহাখালি থেকে বাসে টাঙ্গাইল যেতে হবে। তারপর নাটিয়া পাড়া বাস স্ট্যান্ডে নেমে অটোরিকশা করে জমিদার বাড়ি পৌঁছানো যাবে।

পদ্মা রিসোর্ট
ঢাকার ৪০ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ে পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত পদ্মা রিসোর্ট। বর্ষা মৌসুমে এখানে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
পদ্মা রিসোর্টে যাওয়ার জন্য আপনাকে গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে মাওয়া আসতে হবে। এরপরে ফেরি পার হয়ে রিসোর্টে পৌঁছানো যাবে। রিসোর্টের নিজস্ব স্পীডবোট রয়েছে যা দিয়ে আপনি পদ্মা নদীতে ঘুরতে পারবেন।

সূত্র : সাজগোজ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ