''নকল নেবেন, টাহা দেবেন; কাগজ নেবেন, টাহা দেবেন। টাহা দেবেন না কাগজ পাবেন না। আপনের লগে কোনো কথা নাই।' বরিশাল জজ কোর্টের সেরেস্তাদারের এমন বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
''নকল নেবেন, টাহা দেবেন; কাগজ নেবেন, টাহা দেবেন। টাহা দেবেন না কাগজ পাবেন না। আপনের লগে কোনো কথা নাই।' বরিশাল জজ কোর্টের সেরেস্তাদারের এমন বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন ব্যাক্তি নকল উঠাতে গিয়েছেন। সেখানে দায়িত্বরত নারী এক হাজার টাকা দাবি করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখে সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটীজেনরা। বলছেন, 'দেশটা কি এদের বাপ দাদার? সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? সরকার কি এদের বেতন দেয় না? ভিডিওটি শেয়ার করে এই পশুদের মুখোশ উন্মোচন করুন।
আরেকজন বলছেন, বরিশাল জজ কোর্টের সেরেস্তাদার রেখার ঘুষ বানিজ্যের দৃশ্য এই সব অসত কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলুন বিজয় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সেবা দেওয়ার নামে যারা জুলুম করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার আহবান জানাই।
সম্পর্কিত খবর
গত ১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি-২০২৩-এর ফল। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে পাসের হার।
এসএসসির ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্য একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিছু শিক্ষার্থী আত্মহত্যার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এদের সম্পর্ক বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর আটজন পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না।
সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে অনেক বাবা-মায়েরও দায় থাকে মন্তব্য করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।’
তিনি বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দিনি চেতনাসমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।
দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।
গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন।
আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি।
সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।
এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না।
খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব।
তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি।
হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন।
পবিত্র কাবাঘর প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করছেন এক ব্যক্তি। তার কাঁধে বসে আছেন একজন বৃদ্ধা। দুজনের মুখেই হাসি। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে।
টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর ক্যাপশেন লেখা হয়েছে, 'মুতামার তার মাকে কাঁধে নিয়ে কাবা প্রদক্ষিণ করেন ওমরাহ পালনের জন্য।' তবে ওই বৃদ্ধা ও তার ছেলে কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলের কাঁধে চড়ে ওমরাহ করা বৃদ্ধার চোখে-মুখে আনন্দের হাসি। কাঁধে বসেই ছেলের মুখ ধরে আদর করে দিচ্ছেন বৃদ্ধ মা।
কাবার পাশে মা-ছেলের এমন দৃশ্য দেখে ক্যামেরাবন্দি করছেন অনেকে। তাদের দেখে হাত নাড়েন। অপরদিকে তার মাও হাসিমুখে এদিক-ওদিকে তাকাতে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁধে চড়ে মাকে তাওয়াফ করানোর দৃশ্য দেখে ছেলেকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা।
অস্ট্রেলিয়ান ব্লগারকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক দোভাষী আব্দুল্লাহ কালুকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে এক দিনের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
তবে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
সোমবার কালুকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
সম্প্রতি হোটেল থেকে বের হয়ে রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় ব্লগ করছিলেন লুক ডামান্ট। সে সময় সাবলীল ইংরেজিতে তাকে স্বাগত জানান আব্দুল্লাহ কালু।