ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এক দফা দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। একটা অর্জন হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে যেকোনো ষড়যন্ত্র, প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ 

সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলের সামনে খোলা মাঠে আয়োজিত ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে একটি বিশেষ দলের অপচেষ্টা ছিল।

যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আজকেও একটা অপচেষ্টা দেখছি আমরা। বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতে, একটা পর্যায়ে এসে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে এসে এ দেশের ছাত্র-জনতা যে অবদান রেখেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমরা স্মরণ করি।
এই অর্জন সারা দেশের মানুষের। এই অর্জন সারা দেশের ছাত্র, জনতা, শ্রমিক সবার।’

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি গণতন্ত্রের জন্য। যে দেশে ভোটাধিকার নেই, সে দেশে গণতন্ত্র আছে, তা বলা যায় না। আমাদের মূল লড়াই ছিল ভোটাধিকারের লড়াই।

আমরা ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি। এখন আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। আমাদের আন্দোলনের ফসল আপনারা (সরকার)। যদি আপনারা মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার হরণ করতে চান, বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। স্বাধীনতার পরের সরকারকে এ দেশের মানুষ সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়েছিল, কিন্তু আবার ইন্না লিল্লাহিও পড়েনি। সেই শিক্ষাটা আপনারা গ্রহণ করবেন।’

আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ ড্যাবের নেতা ও সারা দেশ থেকে আসা সংগঠনের সদস্যরা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গত ১৬ বছরের ছাত্ররাজনীতি সমাজকে কলুষিত করেছে: এ্যানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গত ১৬ বছরের ছাত্ররাজনীতি সমাজকে কলুষিত করেছে: এ্যানি
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, গত ১৬ বছর দেশের বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা ক্যাম্পাস ভিত্তিক যে ছাত্ররাজনীতি হয়েছে সেটা কোনোভাবেই ছাত্ররাজনীতি হতে পারে না। এই ছাত্ররাজনীতি আমাদের সমাজকে কলুষিত করেছে, ছাত্ররাজনীতি  ধ্বংস করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত কোরআন তিলওয়াত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ্যানি বলেন, বিগত বছরগুলোতে ক্যাম্পাস ভিত্তিক দুঃশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে ছাত্রদল নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের তুলে ধরার সুযোগ পায়নি।

৫ আগস্টের পর জাতীয় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র রাজনীতিতেও গুণগত পরিবর্তন এসেছে। আমার বিশ্বাস ছাত্রদল সে সুযোগটি গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও তারা ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে সেই ভাবমূর্তি ধরে রাখবে।
  

দলের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতির পুরোনো সেই ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদলকে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই পরামর্শ থেকেই আজকের এই কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন। ছাত্রদল শিক্ষার্থী বান্ধব কাজের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাস ভিত্তিক একটি সুষ্ঠু ছাত্ররাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। 

তিনি আরও বলেন, এই প্রজন্মের যারা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তাদের সামনে ছাত্র রাজনীতির কোন ভালো চিত্র ছিলোনা।

তারা ছাত্র রাজনীতির কোনো ভালো দিক দেখেনি। তারা ধরেই নিয়েছে ছাত্রলীগের অপরাজনীতিই বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি। প্রকৃতপক্ষে, বিগত ষোল বছরে ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাসভিত্তিক যে অপরাজনীতি হয়েছে তা এদেশের ছাত্র রাজনীতি হতে পারে না।

এ্যানি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচি এনে দিতে পারে একটি সুন্দর, সুশাসন ব্যবস্থা। তার জন্য দেশে একটি জনগণের সরকার প্রয়োজন।

জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ঐক্য প্রয়োজন।’

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, খোলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী সোহেল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নির্বাচনমুখী হলে জনগণ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে : মোশাররফ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচনমুখী হলে জনগণ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে : মোশাররফ হোসেন
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি। নানাভাবে নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।

আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করেন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র এ দেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
’ 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

আরো পড়ুন
১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি

১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়, আরো তদন্ত হবে : ঢাবি

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি।

আর টালবাহানা নয়, অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তাহলে আপনারা সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ১৬ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, তার চূড়ান্ত ফসল ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগের পতন। ঐ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র-জনতা দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।

তিনি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তিনি চারবারের চিফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। আমরা অনেক ক্লোজলি কাজ করেছি। আমরা কিন্তু বিষয়টা নিয়ে ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন উনি উল্টো আমাদেরকে বুঝিয়েছেন, রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। রাজনীতি কোনো পদ পদবির জন্য করি না। এই শিক্ষা উনি আমাদের দিয়ে গেছেন।’

আরো পড়ুন
জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি ডা. তাহেরের

জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি ডা. তাহেরের

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তান ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না : মুরাদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেছেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার টালবাহানা জনগণ মেনে নেবে না। সংস্কারের নামে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ কোনো অবস্থায় কাম্য নয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ধামরাইয়ের স্থানীয় মহিসাষী পূর্বপাড়া ইসলামীয়া মাদরাসা মাঠে সানোড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। 

ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ৬ মাসে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।

ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুরাদ বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

স্থানীয় নেতা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন, এম এ জলিল, খন্দকার আবু তাহের মুকুট, খলিলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, যুবদল নেতা এবাদুল হক জাহিদ, মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সুমন, ইসতিয়াক আহমেদ ফারুক প্রমুখ।

মন্তব্য

গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রশিবির
সংগৃহীত ছবি

গাজায় নতুন করে হামলা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৬ হয়েছে। গাজায় নতুন করে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় অন্তত ৩৫৬ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছে। এই ভয়াবহ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিল, আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরাইল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

আমরা দখলদার ইসরায়েলের এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ১৬ মাসের হত্যাযজ্ঞে ইসরায়েল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে শহীদ করেছে এবং ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে। এই গণহত্যা মানব ইতিহাসের সব নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।

তারা আরো বলেন, ‘নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষক দাবি করা আমেরিকা শুরু থেকেই এই হত্যাযজ্ঞের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আসছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে হামলার অনুমোদন দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে যে, তাদের কাছে মানবাধিকার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দেশের জন্য বরাদ্দ; সর্বজনীন মানবতার প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। গাজায় নতুন করে চালানো হামলা ট্রাম্পের ১০ ফেব্রুয়ারির গাজাকে জাহান্নামে পরিণত করার’ হুমকিরই বাস্তবায়ন। আমরা তার এই উন্মাদনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

যৌথ বিবৃত্তিতে নেতারা আরো বলেন, মার্কিনিদের মদদে পরিচালিত এই গণহত্যা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়? দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ