টঙ্গীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিয়াম (২০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা গ্রামের মো. মুজাহিদের ছেলে তিনি।
টঙ্গীতে ট্রেনের ধাক্কায় সিয়াম (২০) নামের এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা গ্রামের মো. মুজাহিদের ছেলে তিনি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সিয়াম উত্তরায় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বউ বাজার এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মারা যান তিনি।
মসজিদ থেকে টেনেহিঁচড়ে ৩ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা : চিকিৎসাধীন আরো একজনের মৃত্যু
নিহতের প্রতিবেশী আরিফ জানান, সিয়াম উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি পল ওয়েল মার্কেটের নীচ তলায় নিজেদের চশমার দোকানে বসতেন।
টঙ্গী রেলওয়ে ফাড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় এক যুবক মারা গেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সম্পর্কিত খবর
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুড়িগ্রাম ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বজলার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বজলার রহমান বলেন, ‘সাদ্দামকে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রামে আনা হয়েছে।
রাউজানের নোয়াজিষপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার সমর্থিতদের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে দুই দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা, সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ এবং ৭টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে গোলাম আকবর গ্রুপের একজন গুলিবিদ্ধ এবং গিয়াস কাদের গ্রুপের একজনকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহতসহ উভয়পক্ষের ১৩-১৪ জন আহত হয়েছে।
গোলাম আকবর গ্রুপের ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। পণ্ড হয়েছে সেই ইফতার মাহফিল।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা একটি বাড়িতে আটকে পড়েন। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নোয়াজিষপুর ইউনিয়নে এবং গহিরায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে পড়েছে নোয়াজিষপুর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার পক্ষের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দীন চৌধুরী অভিযোগ করেন ‘নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্কন সংগঠনের পূর্ব নির্ধারিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছিল নোয়াজিষপুর স্থানীয় চৌধুরী ঘাটা ঈদগাহ মাঠে।
গুলিবিদ্ধসহ আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সেলিম উদ্দীন, ফোরকানসহ বেশ কয়েজনের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়। আরেকটি সূত্র জানায়, ঘটনার সময় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। দ্বিতীয় দফা ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাউজান নোয়াজিষপুর ইউসুফে দীঘির পাড়ে। গিয়াস কাদের গ্রুপের উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান ও উত্তরজেলা যুবদল নেতা সেলিম উদ্দীন, উপজেলা যুবদল নেতা দিদারুল আলম অভিযোগ করেন ‘আমাদের নেতাকর্মীরা পার্শ্ববর্তী চিকদাইর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ইফতার মাহফিলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ফেরার পথে ইউসুফের দীঘি এলাকায় গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ফোরকান সিকদার, রুবেল, শ্যামল, হুমায়ুন, ফয়সাল আরফাতের নেতৃত্ব ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র ও রামদা কিরিচ নিয়ে হামলা করে। হামলায় যুবদল কর্মী মোরশেদ, সেকান্দর, ফোরকান, জেলা যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, জালালসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে মোরশেদকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকেসহ আহত বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেক সূত্র জানায় দ্বিতীয় দফায়ও উভয় গ্রুপে মারামারি হয়।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘ইফতারের আগে বিকেল ৪টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া বিএনপির দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করি। পুলিশ ইফতারের জন্য থানায় ফিরে আসলে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আবারও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৭টি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার পর গোলাম আকবর গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী একটি বাড়িতে আটকা পড়েন বলে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক ছাত্রদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঢাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (৩৫) চাঁদপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে।
এনায়েতপুর থানার সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বলেন, আহত কবির হোসেন ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, কবির হোসেনের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌঁছার পর বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনায়েতপুরে বিএনপির একাংশের ২/৩ শতাধিক নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের গ্রুপের সমর্থক সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী মেম্বরের নেতৃত্বে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সমর্থক থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার নেতৃত্বে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেন। ওই সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হন। নিহত কবির হোসেন সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের গ্রুপের সমর্থক।
এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি রাত ১০টার দিকে বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত কবির হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছার পর তারাবির নামাজের সময় বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করে থানার সামনে মানববন্ধন করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল মিয়াকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন আরাফি তাজওয়ার আমিনের নেতৃত্বে আজমেরিগঞ্জ উপজেলার জলসুকা ভূমি অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাশেল উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলীর ছেলে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শায়েস্তাগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে সেনাবাহিনীর একটি অভিযানিক টিম তাক আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন।