নিখোঁজের ৪০ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতি‌নি‌ধি
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতি‌নি‌ধি
শেয়ার
নিখোঁজের ৪০ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

৪০ দিন আগে নিখোঁজ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই নিখোঁজ ব্যক্তির নাম উত্তম হালদার (২৫)। তিনি নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইলের গোবিন্দপুর এলাকার সুরেশ হালদারের ছেলে। শুক্রবার (২৮ মার্চ ) দুপুরে বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

তবে লাশের চেহারার কোনো আকৃতি নেই। পচে গলে গেছে। শুধু কংকাল ও হাড়গোড় পড়ে আছে।  

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তম নিখোঁজ হয়।

স্বজনরা তাঁকে বিভিন্ন স্থানে খুজাখুজি করে। একপর্যায়ে না পেয়ে মঙ্গলবার (২৬মার্চ) নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে নিখোঁজ উত্তমের ভাই অসীম হালদার। 

নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসীর দাবি, শুক্রবার দুপুরে এলাকার লোকজন পাশের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় পচা দুর্গন্ধ পায়। আগ্রহ নিয়ে কয়েকজন ঝো‌পের কাছে গেলে এ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

এরপর পুলিশকে খবর দিলে তাঁরা লাশটি উদ্ধার করলে নিখোঁজ উত্তমের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে। পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 

নিহতের ভাই অসীম হালদার বলেন, তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে দোষীদের খুঁজে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। 

নিহতের চাচা পরেশ হালদার বলেন, এলাকার কিছু মাদক সেবীদের সাথে ওর উঠা বসা ছিলো।

ধারণা করা হচ্ছে এ চক্রের সাথে কোনো ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। 

নবাবগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আজগর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তাকে বেশ কিছু‌ দিন আগেই হত্যা করা হয়েছে। তাঁর চেহারার আকৃতি বোঝা যাচ্ছে না। শুধু কংকাল পড়ে আছে। পচা লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কারণে লাশের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

হিলি প্রতিনিধি
হিলি প্রতিনিধি
শেয়ার
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা
হিলি শূন্যরেখায় দর্শনার্থীদের মিলনমেলা

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে অনেক মানুষ ভিড় করছেন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে অনেকেই এসেছেন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে। আবার কেউবা আসছেন ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।

তবে বিজিবির বাধার কারণে সীমান্তের শূন্যরেখায় মিলিত হতে না পেরে মন খারাপ করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে অনেককে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের নামাজের পর পর হিলি সীমান্ত ও রেলস্টেশন এলাকায় মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা যত বাড়তে থাকে তত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান রিকশা, কার, মাইক্রোবাস ও বাস নিয়ে দর্শনার্থীরা আসেন হিলি সীমান্ত দেখতে।

সীমান্ত ঘুরে দেখার পাশাপাশি দুদেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া রেললাইনও ঘুরে দেখছেন তারা।এ সময় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে দাঁড়িয়ে দূর থেকে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে আকার-ইঙ্গিতে কথা ও মনের ভাব প্রকাশ করছেন তারা।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের তুলনায় কমেছে। আগে ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার করলেও এখন তা কমে এসেছে।

গতকাল ১০৪ জন যাত্রী পারাপার করেছে। আজ এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মতো যাতায়াত করেছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদ ঘিরে সীমান্তে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই সীমান্ত এলাকা দেখার জন্য আসছেন, আবার অনেকে ভারতে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসছেন। সীমান্তের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে হাত নেড়ে মনের ভাব প্রকাশ করে চলে যাচ্ছেন।

ঈদের দিন থেকেই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘আমাদের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে’
ঈদের দিন বিকেলে শহীদ রাকিবের কবর জিয়ারত করেন মা-বাবা ও তার ভাই। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার বুকের ধন কবরে শুয়ে আছে। রাকিবকে হারিয়ে আমাদের জীবনের সব আনন্দ চিরতরে শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কোনো ঈদ নেই, কোনো আনন্দ নেই। আজ রাকিব বেঁচে থাকলে একসঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতাম।

কথাগুলো বলেছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ রাকিব বেপারীর মা রাশিদা বেগম।
গত বছরের ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন রাকিব বেপারী।

গতকাল ঈদের বিকেল রাবিকের কবরের পাশেই দিনের অধিকাংশ সময় কেটেছে মা-বাবার।

গত ঈদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে করেছিলেন রাকিব।

'ফতুল্লা বাজার জামে মসজিদ'-এ বাবা ও ভাইকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন। এবার রাকিবকে ছাড়া সেই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যান বাবা মোশারেফ হোসেন। নামাজ শেষে ছেলের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায় রাকিবের কবর জিয়ারত করতে চলে আসেন মোশারেফ।

ছেলের কবর জিয়ারত শেষে বাবা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘বাবার কাঁধে সন্তানের লাশের চেয়ে পৃথিবীতে ভারী আর কিছু নেই। কিছুতেই এই শোক সইতে পারছি না। সবার কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ যেন ওকে জান্নাতবাসী করেন।’

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বছরের ২১ জুলাই সকালে রাকিব ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকায় বাজার করতে বের হন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন পোশাক শ্রমিক রাকিব বেপারী। ওই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খানপুর হাসপাতালে গিয়ে রাকিবের লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোশারেফ হোসেন।

শহীদ হওয়ার চার মাস আগে প্রেমিকা জান্নাতকে বিয়ে করেছিলেন রাকিব। বিয়ের চার মাসের মাথায় স্বামীর মৃত্যুতে শোকে ভেঙেন পড়েন স্ত্রীও। ভেঙে যায় স্বপ্নের ‘সুখের ঘর’। এতিম জান্নাত ফিরে যান নানির কাছে।

মন্তব্য

হবিগঞ্জে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হবিগঞ্জে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০
সংগৃহীত ছবি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১লা এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব তেঘরিয়া দর্জিহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উভয় পক্ষের লোকজন ব্যবসার কারণে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন।

কয়েক দিন আগে সেখানে বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটিতে দুই পক্ষ গ্রামের বাড়িতে আসায় সেখানে বিষয়টি নিয়ে সালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও বি‌ভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উভয়পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী বলেন, ‘সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

’ 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চুরির অপবাদে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
চুরির অপবাদে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
সংগৃহীত ছবি

লক্ষ্মীপুরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মো. রাজু (৩৫) নামের এক শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

মঙ্গলবার বিকেলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৪ যুবক নিহত

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের সবুজের গোজা এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, লিটন হোসেন ও রেখা বেগম। এজাহারে উল্লেখিত অন্য ৫ জনের নাম জানায়নি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের সবুজের গোঁজা এলাকায় কাজল কম্পানির ইটভাটার সামনে রাজু গণপিটুনির শিকার হন।

স্থানীয় কবিরের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পিটুনি দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। 

নিহত রাজু চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক ও সবুজের গোজা এলাকার সফিক উল্যা সবুজের ছেলে। 

নিহতের ভাই ওহিদ হোসেন ও বোন জেসমিন বেগম জানান, রাজুর মোবাইলে চার্জ ছিল না।

এতে সে ভাতিজা কবিরের ঘরে ঢুকে মোবাইল চার্জ দেয়। এর পরপরই কবির লোকজন ডেকে এনে রাজুকে পিটিয়ে হত্যা করে। তার শরীরে টেঁটা ও ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। তার চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ