চীনা শহর উহান থেকে কভিড-১৯ মহামারি শুরু হয়েছিল।শহরটিতে করোনা টেস্টের বিশাল ক্যাম্পেইন চলছে। সেখানে গণটেস্টের কর্মসূচি চলছে, যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে উহানবাসীদের মনে।
শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্রে (টেস্ট সেন্টার) ভীড় করে অনেক মানুষ।
চীনা শহর উহান থেকে কভিড-১৯ মহামারি শুরু হয়েছিল।শহরটিতে করোনা টেস্টের বিশাল ক্যাম্পেইন চলছে। সেখানে গণটেস্টের কর্মসূচি চলছে, যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে উহানবাসীদের মনে।
শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্রে (টেস্ট সেন্টার) ভীড় করে অনেক মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে উহানের ১১ কোটি বাসিন্দার সুরক্ষার বিষয়টি এখন মুখ্য আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
উহানের লোকেরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, ক্লিনিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলি 'ওপেন-এয়ার টেস্ট' সাইটে রূপান্তর হয়েছে।
তবে অনেকে জানান যে, তারা স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পেইন সমর্থন করেন।
গত ২৩ এপ্রিল ভার্চুয়াল লকডাউন থেকে মুক্ত হওয়ার পরে চীনা শহরটির নতুন সংক্রমণের প্রথম 'ক্লাস্টার' নিশ্চিত হয়। এরপরে উহানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আবার পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সকলেরই এই রোগের কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি।এ কারণে উহান কর্তৃপক্ষকে ভাইরাস সংক্রামিত বাহকগুলির জন্য শহরজুড়ে অনুসন্ধান চালাতে উত্সাহিত করেছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উহানের এক বাসিন্দা বলেছেন,
সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপগুলিতে এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে কিছু লোক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই লোকদের 'ক্লাস্টার' করা এবং কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে কি না দেখা প্রয়োজন।
তিনি জানান, তবে অন্যরা এই উদ্বেগের বিষয়টি নাকচ করে বলেছিল যে এই জাতীয় মন্তব্য সরকারের পক্ষে যায় না।
কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানান, পরীক্ষার অভূতপূর্ব মাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগের বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
অন্যরা জানান, এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল অনুশীলন। এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।
মধ্য উহানের জিয়াংহান জেলার একটি টেস্টিং সেন্টার কিয়স্ক। সেখানে দেখা গেছে , একজন স্বেচ্ছাসেবক দীর্ঘ লাইনে টহল দিচ্ছিলেন এবং জীবাণুনাশক স্প্রে করছিলেন।
সেখানে অনেক লোক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন, যেমন ১ মিটার দূরে সারিবদ্ধ দাঁড়ানো।
তাদের বিষয়টি মেনে চলার লক্ষণ রয়েছে। তবে অনেকেই তেমনটা করেননি। কিছু ক্ষেত্রে, স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা এ বিষয়টি মেনে চলার জন্য জোর দিচ্ছিলেন না।
অপর একটি ওপেন-এয়ার টেস্টিং সেন্টারে দেখা গেছে ,সেখানে হলুদ এবং কালো স্টিকার মানুষকে একত্রে দাঁড়াতে বাধা দেয়।
তবে দীর্ঘ সারির পেছনে প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা বা স্বেচ্ছাসেবীরা কোনও নির্দেশনা না দিয়ে জড়ো হয়েছিলেন।
উহানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরীক্ষার ফল কখন পাবে তা তাদেরকে জানায়নি কর্তৃপক্ষ ।
সূত্র : রয়টার্স
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএনআই) প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। ভারত সফরে গিয়ে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ রুখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিপীড়ন, হত্যা এবং নির্যাতন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানান তুলসি গ্যাবার্ড।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্রই শুরু হয়েছে। তবে সেখানকার পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগের।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিশ্বব্যাপী যে প্রচেষ্টা তা একই আদর্শ এবং উদ্দেশ্যের দিকে পরিচালিত হয়; সেটি হলো ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের মতাদর্শ ও উগ্র ইসলামপন্থাকে ঠেকাতে তৎপর। ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে পরিচালিত করে এমন আদর্শ চিহ্নিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি এই আদর্শ ও সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান।
লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার পর্যন্ত চলা এই সহিংসতা শুরু হয় সপ্তাহান্তের কয়েকটি সংঘর্ষের পর, যেখানে তিনজন সিরীয় সেনা নিহত হন। দামেস্ক এই সংঘর্ষের জন্য লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সিরীয় সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় জড়ো হওয়া হিজবুল্লাহ সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে, যাদের গুলিতেই সিরীয় সেনারা নিহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী সোমবারের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে’ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংঘর্ষে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া গেছে, যদিও এটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লেবাননের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে।
অভিযোগ
সংঘর্ষে ঠিক কোন লেবানিজ গোষ্ঠী জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সিরীয় সেনাবাহিনী ও দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার ভেতরে আসাদপন্থী সেনা ও আলাউইত সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতায় বহু প্রাণহানি ঘটে। ওই সংঘর্ষের সঙ্গেও লেবাননের কিছু গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল বলে লেবাননের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে লেবানন ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে তারা পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে।
সোমবার পর্যন্ত নতুন কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতভর সংঘর্ষ ও গোলাবর্ষণের কারণে সীমান্ত এলাকার বেসামরিক লোকজন পালিয়ে সিরিয়ার হেরমেল অঞ্চলের দিকে আশ্রয় নিচ্ছে। লেবানন-সিরিয়া সীমান্ত ৩৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে অনেক জায়গায় কোনো সুস্পষ্ট সীমারেখা নেই এবং ভূ-প্রকৃতি বেশ দুর্গম।
হিজবুল্লাহ সিরীয় সেনাদের অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লেবাননের জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ আইন প্রণেতা হুসেইন হাজ হাসান দেশটির আল-জাদিদ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, সিরীয় দিক থেকে আসা যোদ্ধারা লেবাননের ভেতরে প্রবেশ করে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে লেবানন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়ে আসছে, যাতে তার সামরিক বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে সিরিয়ার সঙ্গে উত্তরের ও পূর্বের সীমান্ত এবং দক্ষিণে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে কার্যকরভাবে মোতায়েন করা যায়। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দুই যোদ্ধাকে টার্গেট করেছে।
তেহরান সোমবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন, যেখানে তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিন তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকাই বলেন, ‘চিঠির বিষয়বস্তু ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্যের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয় এবং এটি একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষ হলে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে এর উত্তর প্রদান করব।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশে লেখা হয়েছিল এবং এটি গত বুধবার তেহরানে পৌঁছে দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না।
সূত্র : এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে আগুন লেগে যায় এবং প্রায় ২০ মিনিট পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়। স্থানীয় সময় আজ সোমবার একটি বিমানঘাঁটিতে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ড্রোনটি ছিল ইসরায়েলি তৈরি একটি হেরন। এটি একটি বৃহৎ মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যখন সংঘর্ষ হয় তখন হেলিকপ্টারটি বিমানবন্দরে পার্ক করা ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিউলের উত্তরে ইয়াংজুতে দুর্ঘটনার সময় উত্তর কোরিয়া জিপিএস সিগন্যাল আটকানোর কোনো চেষ্টা করেনি। ইয়োনহাপ জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে একই ধরনের মনুষ্যবিহীন বিমান একই এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স