ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

হাবল স্পেস টেলিস্কপে ধরা পড়ল রহস্যময় নীহারিকা ও সুপারবাবল!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাবল স্পেস টেলিস্কপে ধরা পড়ল রহস্যময় নীহারিকা ও সুপারবাবল!

নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে সম্প্রতি এন৪৪ নীহারিকার সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির একটির ছবি ধরা পড়েছে। এই বৈশিষ্ট্যটি অন্ধকার, তারার ফাঁক ছাড়া আর কিছুই নয়। একে এন৪৪ নীহারিকাতে সুপারবাবল বলা হয়। এন৪৪ হল একটি নির্গমন নীহারিকা।

এটি উজ্জ্বল হাইড্রোজেন গ্যাস, ধুলোর অন্ধকার গলি, বিশাল নক্ষত্র এবং বিভিন্ন বয়সের নক্ষত্রের সমারেহ নিয়ে গঠিত।

বৃহৎ ম্যাগেলানিক ক্লাউডে অবস্থিত নীহারিকাটি একটি বাবল গঠন রয়েছে যাকে এন৪৪এফ বলা হয়। নীহারিকাটি প্রায় একহাজার আলোকবর্ষজুড়ে বিস্তৃত এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ১লাখ ৭০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

হাবল যে ব্যবধানে ছবিটি তুলেছে তা প্রায় ২৫০ আলোকবর্ষ প্রশস্ত।

তবে এর অস্তিত্ব অধরাই থেকে যায়। কারণ, বুদবুদ বা বাবলের অভ্যন্তরে বিশাল নক্ষত্রথেকে নির্গত নাক্ষত্রিক বায়ু গ্যাসের প্রভাবে দূরে সরে যেতে পারে। তবে এটি বুদবুদের পরিমাপিত বাতাসের বেগের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরেকটি সম্ভাবনা, যেহেতু নীহারিকা বিশাল নক্ষত্রে পূর্ণ থাকে যা টাইটানিক বিস্ফোরণে শেষ হয়ে যাবে।

সুপারবাবলের আশেপাশে একটি সুপারনোভার অবশিষ্টাংশও পাওয়া গেছে। এছাড়াও, সুপারবাবলের রিম ও তারের মধ্যে প্রায় ৫ মিলিয়ন বছর বয়সের পার্থক্য রয়েছে। এটি সুপার বাবলের মধ্যে একাধিক চেইন-প্রতিক্রিয়া তারা-গঠনের ঘটনাকে নির্দেশ করে। চিত্রটিতে প্রদর্শিত গভীর নীল অঞ্চলটি নীহারিকাটির অন্যতম উষ্ণ অঞ্চল এবং সবচেয়ে তীব্র গতিতে নক্ষত্র গঠনের এলাকা।

সূত্র: টেক এক্সপ্লোরিস্ট।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

২৮ লাখ জার্মান কখনো ইন্টারনেটই ব্যবহার করেনি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
২৮ লাখ জার্মান কখনো ইন্টারনেটই ব্যবহার করেনি
প্রতীকী ছবি : এএফপি

অনেক মানুষের কাছেই ইন্টারনেট ব্যবহার এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবার মতো। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে দৈনন্দিন জীবনে ইটারনেট ব্যবহার না করে চলাফেরা করাও মুশকিল। প্রযুক্তির এই যুগে ঠিকানা খুঁজে পাওয়া, কারো বিষয়ে সন্ধান করা, কোনো বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া, বিমানের টিকিট কেনা কিংবা দৈনন্দিন কেনাকাটা, অর্থাৎ দিনের প্রয়োজনীয় সব কিছুতেই দরকার ইন্টারনেট। কিন্তু ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে চার ভাগ মানুষ জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি—এমন তথ্য সামনে আসলে ভ্রু কুঁচকাতে হয় বৈকি।

 

সবশেষ এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই তথ্য। জার্মানির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের ২০২৪ সালের হিসাবে দেখা গেছে, দেশটির ২৮ লাখ মানুষ জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি। এই সংখ্যা জার্মানির মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ। সরকারের হিসাবে অনুযায়ী, জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে আট কোটি।

ইউরোপজুড়ে পরিচালিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সরকারি দপ্তরের তথ্যমতে, ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সীরা এই তালিকায় রয়েছে। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না তাদের অফলাইনার বলে অভিহিত করেছে সরকার।

পরিসংখ্যান আরো বলছে, ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার না করার প্রবণতা বেশি।

দেখা গেছে, বয়স যত কম, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা তত বেশি।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপের শতকরা পাঁচ ভাগ লোক জীবনে কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি। নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশ দুটিতে অফলাইনারদের সংখ্যা এক শতাংশের কম।

ইন্টারনেট ব্যবহরা না করার দিক থেকে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ক্রোয়েশিয়।

দ্বিতীয় অবস্থানে গ্রিস। ক্রোয়েশিয়াতে এই সংখ্যা শতকরা ১৪ ভাগ এবং গ্রিসে শতকরা ১১ ভাগ।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন বলছে, ২০২৪ সালে বিশজুড়ে ৩২ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি।

মন্তব্য

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মাণ করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু নির্মাণ করল চীন
সংগৃহীত ছবি

ভ্রমণের সময় এক ঘণ্টা থেকে মাত্র এক মিনিটে কমিয়ে আনবে এমনই এক সেতু নির্মাণ করে তাক লাগিয়েছে চীন। দেশটির গুইঝো-তে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নামে এই সেতুটি উদ্বোধন হবে জুন মাসে। ২১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ২০০ মিটারেরও বেশি উঁচু। গুইঝোর বিশাল গিরিখাতজুড়ে দুই মাইল বিস্তৃত রেকর্ড গড়া এই সেতুটি নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা।

 

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, সেতুটির স্টিলের ট্রাসগুলোর ওজন প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন, যা তিনটি আইফেল টাওয়ারের সমতুল্য। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে। 

সেতুটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধান প্রকৌশলী লি ঝাও। তিনি বলেন, ‘আমার কাজটিকে বাস্তবে রূপ নিতে দেখা, সেতুটির দিন দিন বিস্তৃত হওয়া এবং অবশেষে গিরিখাতের ওপরে দৃশ্যমান হওয়া।

এটি আমাকে গর্বিত করে।’

চীনের অন্য গ্রামীণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগ তৈরির পাশাপাশি নতুন সেতুটি একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিনের মতে, অসাধারণ এই প্রকল্পটি চীনের প্রকৌশলগত সক্ষমতা প্রদর্শন করবে এবং গুইঝোর বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যকে আরো জোরদার করবে। 

পর্যটকদের  আকর্ষণ করতে পরিকল্পনাকারীরা এরইমধ্যে সেতুটিতে বসবাসের জায়গা, কাচের হাঁটার পথ এবং বিশ্বের ‘সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্প’-এর পরিকল্পনাও উন্মোচন করেছেন।

চীনের যে অঞ্চলে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে, সেখানে বিশ্বের ১০০টি উঁচু সেতুর প্রায় অর্ধেকই রয়েছে যা গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।  

এর আগে ২০১৬ সালে চীনের সর্বোচ্চ সেতুটি বেইপানজিয়াংয়ে নির্মিত হয়েছিল, যার উচ্চতা ছিল ১,৮৫৪ ফুট।

মন্তব্য

পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। আজ শনিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব, খাইবারপাখতুনখোয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

পাকিস্তানের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূমি থেকে ১২ মিটার গভীরে, যা পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। 

ভূমিকম্পের সময়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বড় ধরনের ভবনধস কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও জানা যায়নি।

এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।

সূত্র : জিও নিউজ

মন্তব্য
আইভিএফ বিভ্রাট

অন্য দম্পতির সন্তান জন্ম দিলেন অস্ট্রেলীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অন্য দম্পতির সন্তান জন্ম দিলেন অস্ট্রেলীয় নারী
প্রতীকী ছবি : এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে এক নারী ভুলবশত অন্য এক দম্পতির সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আইভিএফ চিকিৎসায় ঘটেছে এই মারাত্মক বিভ্রাট। 

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি ধরা পড়ে, যখন মনাশ আইভিএফ ক্লিনিকে চিকিৎসার সময় ভুলভাবে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। শিশুটির জন্মের পর জন্মদাতা দম্পতি বাকি ভ্রূণ অন্য একটি ক্লিনিকে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন।

তখনই প্রথম সন্দেহ দেখা দেয় এবং বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান অস্ট্রেলীয় আইন অনুযায়ী শিশুটির জন্মদাতা মা ও তার সঙ্গীকেই আইনি অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফলে জৈবিক (জেনেটিক) মা-বাবারা আইনি অভিভাবকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

পরিবার গঠনবিষয়ক আইনজীবী আইনজীবী সারা জেফোর্ড এবিসিকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় একটি ধারণা প্রচলিত যে যিনি শিশুটিকে জন্ম দেন তিনিই আইনি মা হন।

তবে জেনেটিক মা-বাবারা যদি সামনে এসে আলোচনা শুরু করতে চান, তাহলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে কী ঘটে তা দেখার জন্য।’

‘মানুষ ভুল করেই’
আইভিএফ চিকিৎসার পথিকৃৎ ও মনাশ আইভিএফের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক গ্যাব কোভাকস এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, ‘এটা খুবই ভয়ানক ও দুঃখজনক ঘটনা এবং সম্ভবত এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় এমন কিছু হয়নি। যদিও এটা সংশ্লিষ্ট দম্পতিদের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে, পরবর্তী যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন, তিনি হলেন যিনি এই ভুলটি করেছেন—ল্যাবের সেই বিজ্ঞানী।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানি না অস্ট্রেলিয়ার আইন এ বিষয়ে কী রায় দেবে; সম্ভবত এমন কিছু আগে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি।

আমার মনে হয় না এখানে আর কিছু করার আছে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে মানুষ ভুল করেই।’

এদিকে এই ঘটনায় আইভিএফ শিল্পের ওপর আরো কঠোর নজরদারির দাবি উঠেছে এবং সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তিতে উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উঠে এসেছে।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ