<p>অস্ট্রেলিয়ার সংসদ ভবনে ভাষণ শেষ করার পর পরই একজন স্বাধীন সিনেটর প্রিন্স চার্লসকে চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘আপনি আমার রাজা নন।’ লিডিয়া থর্প নামে ওই নারী সিনেটর অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার এই অনুষ্ঠানে প্রায় এক মিনিট ধরে চিৎকার করতে থাকনে। এরপর নিরাপত্তার কর্মীরা তাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।</p> <p>ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস অস্ট্রেলিয়ায় তার নির্ধারিত সফর শুরু করেছেন। নিয়ম অনুসারে, অস্ট্রেলিয়াসহ সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বা কমনওয়েলথভুক্ত আরো ১৪টি দেশের রাজা চার্লস। অস্ট্রেলিয়া ও সামোয়ায় চার্লসের সফরের মেয়াদ ৯ দিন। গত বছরের মে মাসে রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুট পরার পর এটি চার্লসের প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর।</p> <p>সফরের প্রথম দিন গত শনিবার ক্যান্সারে আক্রান্ত চালর্স বিশ্রামে থেকেছেন। ব্যস্ততার দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক দিনে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় এ ঘটনার মুখোমুখি হন তিনি। ভাষণ শেষে প্রিন্স চার্লস সবেমাত্র মঞ্চে বসা রানী ক্যামিলার দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন। ঠিক ওই মুহূর্তে থর্প সমাবেশের পিছনের দিক থেকে এগিয়ে যেতে যেতে চিৎকার শুরু করেন। তাদের লোকেদের গণহত্যার দাবি করার পরে থর্প চিৎকার করে বলেন, ‘এটি আপনার দেশ নয়, আপনি আমার রাজা নন।’</p> <p>অনুষ্ঠানটি তখন কোনো কারণ ঘোষণা করা ছাড়াই সমাপ্ত করা হয় এবং রাজকীয় দম্পতি তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ভবনের বাইরে অপেক্ষা করা জনসাধারণের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান। এদিন সকাল থেকেই ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসের বাইরে ছোট ছোট অস্ট্রেলিয়ার পতাকা নেড়ে মানুষ রাজা-রানীকে শুভেচ্ছা জানাতে জড় হয়েছিল। সংসদ ভবনের সামনের লনে স্বল্প সংখ্যক ভিন্নমতাবলম্বীও জড়ো হয়েছিল।</p> <p>অস্ট্রেলিয়া একটি কমনওয়েলথ দেশ যেখানে রাজা রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। থর্প ভিক্টোরিয়ার একজন স্বাধীন সিনেটর এবং একজন আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান নারী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং এর আদিবাসীদের মধ্যে একটি চুক্তির পক্ষে কথা বলেছেন। অনেক আদিবাসী ও টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীরা জোর দিয়ে বলেন, তারা তাদের সার্বভৌমত্ব বা জমি রাজার হাতে তুলে দেয়নি।</p> <p>সূত্র :বিবিসি</p>