<p>ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বুধবার সন্দেহভাজন এক অনলাইন প্রতারণা সংস্থায় পরিচালিত ‘বৃহৎ আকারের’ অভিযানে প্রায় ৪০০ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় অভিবাসন সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>কর্তৃপক্ষ একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে কর্মীদের অনলাইনে প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়ায় অনুরূপ প্রতারণা সংস্থাগুলোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব সংস্থায় মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের জোরপূর্বক ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন প্রতারণায় লিপ্ত করা হয়।</p> <p>এদিনের অভিযানের বিষয়ে অভিবাসন ব্যুরোর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ফরচুনাটো মানাহান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের কার্যক্রম অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেছে এবং জনগণের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।’</p> <p>ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস চলতি বছরের জুলাই মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের শেষে দেশটির অনলাইন গেমিং অপারেটর (পোগো) কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। কারণ এগুলো মানবপাচার, অর্থপাচার, অনলাইন প্রতারণা, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধের আড়াল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিযান চালানো কম্পানির ‘পোগোসদৃশ কার্যক্রম’ দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল বলে ব্যুরোর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>গ্রেপ্তারকৃত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই চীনের নাগরিক বলে জানিয়েছেন অভিবাসন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা সানডোভাল। তাদের সাময়িকভাবে আটক রাখা হবে এবং পরে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।</p> <p>এদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, অনলাইন প্রতারকরা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে টার্গেট করে এবং প্রতিবছর প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে।</p> <p>প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই শিল্পে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী কাজ করেন, যাদের মধ্যে ১৫ হাজার ফিলিপাইনে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিয়োগ দিয়ে পরে জোরপূর্বক প্রতারণায় বাধ্য করা হয়। কোটা পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের নির্যাতনের মুখোমুখিও হতে হয়।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>