<p>থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা সোমবার একটি বিতর্কিত বিল পাস করেছে, যা নির্দিষ্ট ‘বিনোদন কমপ্লেক্সে’ জুয়া বৈধ করার উদ্যোগ হিসেবে অনুমোদিত হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো পর্যটন বাড়ানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।</p> <p>প্রস্তাবিত এই আইন অনুসারে, ক্যাসিনোকে এমন পর্যটন কমপ্লেক্সের অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে থিম পার্ক, ওয়াটার পার্ক, হোটেল ও শপিং মলও থাকবে।</p> <p>বর্তমানে থাইল্যান্ডে জুয়া কেবল কিছু নির্দিষ্ট রাষ্ট্র পরিচালিত ঘোড়দৌড় ও সরকারি লটারিতে বৈধ, যদিও অবৈধ বাজি ধরার ঘটনা ব্যাপক। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য হলো রাজস্ব বৃদ্ধি করা, থাইল্যান্ডে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং অবৈধ জুয়া সমস্যার সমাধান করা।’</p> <p>বিলটি এখন খসড়া প্রণয়নের জন্য কাউন্সিল অব স্টেটে পাঠানো হবে, যা পরে সংসদে আইন প্রণেতাদের আলোচনা ও ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>কভিড-১৯ মহামারি থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনশিল্পে মারাত্মক প্রভাব ফেলায় দেশটি আরো বেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। এর মধ্যে চীন ও ভারতের ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসার শর্তাবলী সহজ করার মতো উদ্যোগও রয়েছে। উপঅর্থমন্ত্রী জুলাপুন আমর্নভিভাত জানান, সরকার আশা করছে, এই বিনোদন কমপ্লেক্সগুলো পর্যটকের সংখ্যা ৫-১০ শতাংশ বাড়াবে এবং প্রায় ১৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তবে প্রস্তাবিত কমপ্লেক্সের অবস্থান ও নির্মাণের সময়সূচি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।</p> <p>এদিকে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাইল্যান্ডে রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে জুয়া বৈধকরণের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে, যদিও প্রতিবেশী কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে অবৈধ ক্যাসিনো কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ অফিস (ইউএনওডিসি) গত বছর এক প্রতিবেদনে সতর্ক করেছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্যাসিনোগুলো ‘সংগঠিত অপরাধের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ অর্থ পাচারের জন্য ব্যাংকিং কাঠামোর মূলভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে’।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>