<p>গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।</p> <p>এ ছাড়া সৌদি থেকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০ হাজার ৩১৯ জন প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খবর গালফ নিউজের।</p> <p>শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ ২ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত যৌথ মাঠ নিরাপত্তা অভিযানে ১৯ হাজার ৪১৮ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১১ হাজার ৭৮৭ জন আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী, ৪ হাজার ৩৮০ জন সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ২৫১ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন।</p> <p>আটককৃতদের মধ্যে ১ হাজার ২২১ জন ব্যক্তি অবৈধভাবে সৌদি আরবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছেন, যার মধ্যে ৪২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৫৬ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং ২ শতাংশ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এ ছাড়া ১৩৬ জন অনুমতি ছাড়াই রাজ্য ত্যাগ করার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ে।</p> <p>সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০ হাজার ২৬১ জন পুরুষ এবং তিন হাজার ৩১৫ জন নারীসহ মোট ৩৩ হাজার ৫৭৬ জন প্রবাসী বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে রয়েছেন।</p> <p>মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯৯১ জনকে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহের জন্য নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার ৮৬৯ জনকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ৩১৯ জনকে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।</p> <p>তারা আরো জানিয়েছে, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন সুবিধা ও আশ্রয় দেয়, তাহলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।</p> <p><em>সূত্র : গালফ নিউজ</em></p>