ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

বেনিনে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, নিহত ১০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেনিনে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, নিহত ১০
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেনিনের উত্তরাঞ্চলে জিহাদি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফাইল ছবি : এএফপি

গত এক সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশটির দক্ষিণে অর্থনৈতিক রাজধানী কোতোনু আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করলেও দরিদ্র উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এমন হামলা হয়ে আসছে। সরকার এগুলোকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজার থেকে জিহাদিদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বলে বিবেচনা করে।

সামরিক সদর দপ্তরের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র শনিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেনাবাহিনী ‘একটি আক্রমণাত্মক অভিযান’ চালায়, যেখানে ৯ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়। এ ছাড়া স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এই অভিযান কারিমামা এলাকায় চালানো হয়। এর আগে কান্টোরো অঞ্চলে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এক সেনা সদস্য নিহত ও দুজন আহত হন।

দুটি এলাকাই নাইজারের সীমান্তবর্তী, যদিও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত অঞ্চলই প্রধান সংঘর্ষস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়।

তবে সম্প্রতি নাইজার সীমান্তের কাছেও হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, স্থল অভিযানের সহায়তায় চালানো বিমান হামলায় ‘সন্ত্রাসীদের’ একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে।

সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
এদিকে বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলো সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে এবং রাষ্ট্রের দুর্বল উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।

অন্যদিকে বেনিনের উত্তরাঞ্চলে হামলার বৃদ্ধি দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের হামলায় ছয় বেনিনীয় সেনা নিহত হন। জবাবে সেনাবাহিনী ১৭ জন হামলাকারীকে হত্যা করে। এর এক মাস আগে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গ্রুপ টু সাপোর্ট ইসলাম অ্যান্ড মুসলিমসের দায় স্বীকার করা এক হামলায় ২৮ সেনা নিহত হন।

একজন কূটনৈতিক সূত্র জানান, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২১ জন বেনিনীয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে বেনিন সীমান্ত নিরাপত্তায় প্রায় তিন হাজার সেনা মোতায়েন করে অপারেশন মিরাদর কর্মসূচির আওতায়। এরপর দেশটির সরকার উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা আরো জোরদারে পাঁচ হাজার অতিরিক্ত সেনা নিয়োগ দেয়।  এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও বেনিনের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বেনিন সশস্ত্র বাহিনী ও মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরো দৃঢ় করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।

তবে কিছু গবেষকের মতে, এ অঞ্চলে সামরিক নির্ভর প্রতিক্রিয়াগুলো মূল রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে। জিহাদি গোষ্ঠীগুলো স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে রুশ গোয়েন্দাপ্রধানের হুমকি

আলজাজিরা
আলজাজিরা
শেয়ার
পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে রুশ গোয়েন্দাপ্রধানের হুমকি
রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন। ফাইল ছবি : এএফপি

রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হুমকি দিয়েছেন, সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন (ন্যাটো) ‘আগ্রাসন’ চালালে পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো প্রথমে হামলার শিকার হবে।

সের্গেই নারিশকিন মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ন্যাটো যদি রাশিয়া বা বেলারুশের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তবে মস্কো পুরো সামরিক জোটটির ‘ক্ষতি’ করবে। তবে প্রথমে ভুক্তভোগী হবে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের লক্ষ্য পূরণ হলে মস্কো যে ইউরোপের সাবেক পূর্ব ব্লকের সদস্যদের দিকে নজর ফেরাবে—রুশ কর্মকর্তার এই মন্তব্য এমন আশঙ্কাকে আরো জোরালো করবে।

নারিশকিন ন্যাটোর সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধিকে ইউরোপীয় মহাদেশে ‘বর্তমান বড়, অত্যন্ত বিপজ্জনক সংকটের’ জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো বিশেষভাবে আগ্রাসী, অন্তত কথার ক্ষেত্রে, তারা ক্রমাগত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের এটা বোঝা উচিত, যদিও তারা এখনো তা না বোঝে যে উত্তর আটলান্টিক জোট যদি ইউনিয়ন স্টেটের (রাশিয়া ও বেলারুশের জোট) বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তবে অবশ্যই পুরো ন্যাটো জোট ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে সেই রাজনৈতিক মহলগুলোর সদস্যরা, যারা পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে এ ধরনের ভাবনার ধারক।

এ ছাড়া পোল্যান্ড সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে নারিশকিন বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

গত মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ফ্রান্স ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য তার পারমাণবিক ছাতা সম্প্রসারিত করতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, এই পদক্ষেপ ‘পোল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য লাভজনক’ হবে।

রুশ গোয়েন্দাপ্রধান আরো দাবি করেন, পোল্যান্ড বেলারুশ ও কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলের সীমান্ত বরাবর প্রায় ২০ লাখ ট্যাংকবিধ্বংসী মাইন বসানোর পরিকল্পনা করছে।

এদিকে গত মাসে পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো ঘোষণা দেয়, রাশিয়ার আক্রমণাত্মক অবস্থানের আশঙ্কায় তারা অটোয়া কনভেনশন থেকে সরে আসছে। আন্তর্জাতিক এই চুক্তি স্থল মাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এ ছাড়া নারিশকিন শান্তি আলোচনা নিয়ে রাশিয়ার কৌশলগত লক্ষ্য পুনরায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্রেমলিন চায় না ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক এবং তারা ‘নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিবাদমুক্তকরণ’ চায়।

অন্যদিকে সমালোচকদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাতে চায়, তবে মস্কো এতে ভূখণ্ড ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত ছাড় পেতে পারে।

তাদের মতে, এ ধরনের ছাড় রাশিয়ার সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরো উৎসাহিত করবে এবং তাদের নতুন করে সজ্জিত হয়ে ইউরোপের আরো গভীরে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

সুদান যুদ্ধের ২ বছর, এখনো অন্ধকারে শান্তির পথ

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সুদান যুদ্ধের ২ বছর, এখনো অন্ধকারে শান্তির পথ
১৩ এপ্রিল যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে পালিয়ে যাওয়া মানুষ একটি খোলা মাঠে রান্নার জন্য জড়ো হয়েছে। ছবি : এএফপি

দুই বছর পেরিয়ে গেল সুদানে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার। কিন্তু এখনো কোনো শান্তিচুক্তি বা বিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এই সময়ে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের, বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি, আর বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে এই যুদ্ধ।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হয় এই সংঘর্ষ।

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, অন্যদিকে আরএসএফের নেতৃত্বে তার এক সময়ের ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলো।

সংঘাতের শুরুতেই রাজধানী খার্তুম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে মৃতদেহ, লাখো মানুষ শহর ছেড়ে পালায়, আর যারা রয়ে যায় তাদের নামতে হয় প্রতিদিন টিকে থাকার লড়াইয়ে।

৫২ বছর বয়সী আব্দেল রাফি হুসেইন, যিনি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন খার্তুমেই ছিলেন, বলেন, ‘আমি শরীরের অর্ধেক ওজন হারিয়ে ফেলেছি।

’ 

সেনাবাহিনী সম্প্রতি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিলেও রাফি জানান, ‘আমরা এখন নিরাপদে আছি, কিন্তু এখনো পানি ও বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে, হাসপাতালগুলোর অধিকাংশই অচল।’

খার্তুম পুনর্দখল সেনাবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হলেও যুদ্ধ থেমে নেই। আরএসএফ এখন পশ্চিমাঞ্চলের দুর্ভিক্ষপীড়িত দারফুর এলাকায় আরো গভীরে প্রবেশ করছে এবং আল-ফাশের দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি দারফুর অঞ্চলে এখনো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ প্রাদেশিক রাজধানী।

‘বিপর্যয় ডেকে আনছে অব্যাহত যুদ্ধ’
লন্ডনে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘দুঃখজনক বাস্তবতা থেকে উত্তরণের একটি পথ নির্ধারণের লক্ষ্যেই আমাদের এই সম্মেলন।’ তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুদ্ধে কোনো পক্ষই এই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘সুদানি জনগণ একই সঙ্গে যুদ্ধ, নির্যাতন, অনাহার ও অসম্মানের শিকার। বিশ্ব নীরব থাকলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত টম পেরিয়েলোর দেওয়া তথ্য মতে, যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধরত উভয় পক্ষকেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা, বাড়িঘরে গোলাবর্ষণ ও ত্রাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ক্ষুধা, অনাহার ও শিশু হত্যা
জাতিসংঘের হিসেবে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে প্রায় দুই হাজার ৭৭৬ শিশুর মৃত্যু বা পঙ্গুত্ব ঘটেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জানান, এই যুদ্ধ লাখ লাখ শিশুর জীবন একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।

দারফুরের জমজম শরণার্থীশিবিরে ১০ লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে গত সপ্তাহে আরএসএফের হামলায় কমপক্ষে ৪০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২৩ সাল থেকেই অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষে রয়েছে।

আরএসএফ এখন দারফুরে আধিপত্য নিশ্চিত করতে এল-ফাশের দখলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চল দখল হলে দারফুরে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরো পাকাপোক্ত হবে।

বাহ্যিক সহায়তা ও অস্ত্র প্রবাহ
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেছেন, ‘এই সংঘাতে বাইরের সহায়তা ও অস্ত্রের প্রবাহ বন্ধ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যাদের এই পক্ষগুলোর ওপর প্রভাব রয়েছে, তাদের উচিত এই প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবহার করা, এই বিপর্যয় টিকিয়ে রাখার জন্য নয়।’

সুদানের সেনা সমর্থিত সরকার ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। যদিও উভয় পক্ষই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মন্তব্য

ইউরোপীয় শহরগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে তীব্র গরম ও বন্যার

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
ইউরোপীয় শহরগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে তীব্র গরম ও বন্যার
স্পেনের সেভিলে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় মানুষ ঝর্ণার পানিতে শীতল হচ্ছে। ফাইল ছবি : এএফপি

২০২৪ সালে ইউরোপে রেকর্ড মাত্রায় গরম পড়েছিল, যা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রতিবেদনে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বাড়ছে।

ইইউর কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, এ ধরনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশটির লাখ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইউরোপে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

যেমন গত অক্টোবর ও নভেম্বরে স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় বন্যায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তার ঠিক এক মাস আগে বোরিস ঝড়ে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের আটটি দেশের বিভিন্ন শহরে বন্যা হয়। এতে চার লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একদিকে পূর্ব ইউরোপে তীব্র তাপদাহ এবং দক্ষিণ ইউরোপে শীতকালে দীর্ঘস্থায়ী খরা ছিল।

এ ছাড়া বলা হচ্ছে, শহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে শুষ্ক ও শক্ত মাটি বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অথচ এগুলো দ্রুত বৃষ্টির পানি শোষণ করতে পারে না। প্যারিস, মিলান ও গ্লাসগোর মতো শহরগুলো সবুজ এলাকা ও পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখার সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে খাপ খাইয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান সেলেস্ট সাওলো বলেন, ‘অভিযোজন অপরিহার্য। অতি অল্প তাপমাত্রা বৃদ্ধিও আমাদের জীবন, অর্থনীতি ও পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’

এত সব ঝুঁকির মধ্যেও একটি ইতিবাচক দিক হলো, ২০২৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইউরোপের ৪৫ শতাংশ শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সৌর, বায়ু ও বায়োমাসের মতো শক্তি উৎসগুলোর ওপর নির্ভরতা বাড়ায় ভবিষ্যতে জলবায়ু ঝুঁকি কমবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি শহর চরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

মন্তব্য

শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা শুরু
সংগৃহীত ছবি

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। আলোচনার প্রাথমিক পর্ব ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এএনআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ব্যক্তিগত বৈঠকের কথা রয়েছে।

যা মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে ভারতীয় বাণিজ্য প্রতিনিধিদলও থাকবে।

আরো পড়ুন
নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

 

এদিকে বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্তওয়াল বলেছেন, বর্তমান শুল্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য উদ্বেগ এবং সুযোগ উভয়ই রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারত একটি উপায় খুঁজে নিয়েছে।

সেটা হচ্ছে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুক্ত বাণিজ্যের দিকে এগোতে চাচ্ছে। এ বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। উভয় দেশ বর্তমানে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে কাজ করছে, যা এর মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে।

মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে দুই দেশ বহু ক্ষেত্রীয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির (BTA) প্রথম পর্যায়ে আলোচনা শেষ করেছে।

বিটিএর সফল সমাপ্তির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বৈঠকের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ