অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে সোমবার জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, স্কুল বন্ধ ছিল এবং গণপরিবহন সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়ে।
সরকারি অফিস, ব্যাংক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল, গণ-বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব।
ফিলিস্তিনের পাশাপাশি তুরস্ক, লেবানন, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলেও সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ফ্যাকশনস কোঅর্ডিনেশনস কমিটির সদস্য ইসাম বকর দ্য নিউ আরবের সহযোগী সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদীদকে বলেছেন, ধর্মঘট বিশ্বব্যাপী একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে ডাকা সাধারণ ধর্মঘট ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি ধিক্কার।
’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি ঘরে বসে থাকার নয়, বরং পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। পশ্চিম তীর, আরব বিশ্ব এবং বিশ্বব্যাপী শহরগুলোর কেন্দ্রে অনুষ্ঠান এবং বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। যা স্পষ্ট বার্তা দেবে যে বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ইসরায়েলের নাজারেথে কয়েক ডজন বাসিন্দা এবং রাজনৈতিক কর্মী একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।
যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে এবং ব্যানার ধরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। দিনের শেষের দিকে রামাল্লাহ এবং অন্যান্য শহরে আরো বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ধর্মঘট ফিলিস্তিনের বাইরেও বিস্তৃত হয়েছিল। জর্ডান, মিশর, লেবানন, তুরস্ক এবং বাংলাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ হয়েছে।
লেবাননে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের (এইউবি) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে এবং ব্যানার ধরে কর্মসূচি করেছে তারা।
তুরস্কের কোনিয়ায় দোকান মালিকরা গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে পোস্টার ঝুলিয়ে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন।