মধ্যপ্রাচ্যে রমজানের ৬ ঐতিহ্য

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মধ্যপ্রাচ্যে রমজানের ৬ ঐতিহ্য

বিশ্বজুড়ে নানা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় পবিত্র রমজান মাস, যা রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের পয়গাম নিয়ে আসে প্রতিবছর। এ মাসে মুসলমানদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। তবে নানা সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত কারণে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের মধ্যে রমজানের আমেজটা একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়। মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে আরববিশ্বের কয়েকটি ব্যতিক্রমী রামাদানি ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরা হলো :

নাফার : নাফার মানে সাহরিতে সুরেলা ডাক।

রমজানে সাহরির সময় রোজাদারদের জাগানোর জন্য আরব দেশগুলোতে প্রচলিত রয়েছে নাফার। এই প্রথায় কিছু লোক দলবদ্ধভাবে ঘুরে ঘুরে গান, কবিতা ও ইসলামী সংগীত আবৃত্তি করে মানুষকে সাহরির জন্য জাগায়। এটি শুধু ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিকভাবে একটি আনন্দঘন আয়োজন হিসেবেও বিবেচিত হয়।

মুসাহারাতি : মুসাহারাতি মানে ঢোল পিটিয়ে জাগানো।

মুসাহারাতি বলা হয় এমন এক ব্যক্তিকে, যিনি রমজানে সাহরির সময় আবাসিক এলাকাগুলোতে হেঁটে হেঁটে ঢোল পেটান এবং মানুষকে সাহরির জন্য জাগিয়ে তোলেন। সৌদি আরব, ইরাক ও সিরিয়ায় এই সংস্কৃতি রয়েছে।

কামানের গর্জন : কামানের গোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে ইফতারের ঘোষণা দেওয়ার রীতি একসময় আরববিশ্বে বেশ প্রচলিত ছিল। এখনো রমজান মাসে ইফতারের সময় ঘোষণা দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে কামান দাগার রীতি রয়েছে।

মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও লেবাননের মতো দেশগুলোতে বহু বছর ধরে এই ঐতিহ্য পালিত হয়ে আসছে।

ফানুস : ফানুসের আলোয় রমজানের আনন্দ উদযাপন মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিশেষ রীতি। বিশেষ করে মিসরে রমজানে এক বিশেষ ঐতিহ্য হলো রঙিন ফানুস ও লণ্ঠন জ্বালানো। শহরের রাস্তা, বাজার, শপিং মল ও বাড়িঘর রঙিন আলোয় আলোকিত করা হয়, যা রমজানের আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করে। নানা রকম ইসলামিক প্যাটার্নের এসব বাতি রমজানে আলাদা আমেজ তৈরি করে।

মাহিবেস : মাহিবেস হচ্ছ ইফতারের পর একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। অথবা বলা যেতে পারে ইরাকে রমজানের আরেকটি মজার ঐতিহ্য হলো মাহিবেস নামের খেলা। এই খেলায় দুটি দল অংশ নেয়, যেখানে একটি আংটি লুকিয়ে রেখে অন্য দলকে তা খুঁজে বের করতে হয়। ইফতারের পর সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে এটি বেশ জনপ্রিয়।

মোকাবিলা : মোকাবিলা হচ্ছে কোরআন তিলাওয়াতের অনন্য পদ্ধতি। অথবা রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের বিশেষ এক রীতি হলো মোকাবিলা। এটি হলো একাধিক ব্যক্তি একে অন্যকে কোরআন তিলাওয়াত শোনানোর একটি পদ্ধতি। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে প্রথম মোকাবিলা সম্পন্ন হয়েছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর মধ্যে। এই ঐতিহ্য এখনো এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন মসজিদে পালিত হয়। সূত্র : অ্যারাব নিউজ

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বেলুচিস্তানে ট্রেনে হামলা নিয়ে বিরোধে জড়াল পাকিস্তান-ভারত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বেলুচিস্তানে ট্রেনে হামলা নিয়ে বিরোধে জড়াল পাকিস্তান-ভারত

বেলুচিস্তান অঞ্চলে চার শরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা এবং যাত্রীদের জিম্মি করার ঘটনায় ভারতের দিকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। তবে ভারত এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। ট্রেন হামলার ঘটনা ঘিরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতকে বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক  বলে অভিহিত করেন।

জাফর এক্সপ্রেসে সর্বশেষ হামলা ভারতের একই নীতির ধারাবাহিকতা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আইএসপিআরের ডিজি বলেন, বেলুচিস্তানে সর্বশেষ হামলা এবং অতীতে সংঘটিত অন্যান্য সন্ত্রাসী ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, এই হামলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলো আপনার পূর্ব প্রতিবেশী। সংবাদ সম্মেলনে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতিও উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে বেলুচিস্তানে ট্রেনে হামলা নিয়ে ইসলামাবাদের  অভিযোগ খারিজ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সূত্র : জিও নিউজ, বিবিসি

 

মন্তব্য

মণিপুর যাচ্ছেন না অমিত শাহ

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মণিপুর যাচ্ছেন না অমিত শাহ

প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুর। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির না-যাওয়া নিয়ে প্রায়ই কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্ধ করে চলেছেন বিরোধীরা। সেই আবহে তিন দিনের সফরে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও তাঁর সফরসূচিতে নেই মণিপুর।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই অমিত শাহর যে সফরসূচি প্রকাশ করেছে, তাতে মণিপুরের কোনো উল্লেখ নেই। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতেই আসামের যোরহাটে পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন গোলাঘাট জেলার দেড়গাঁওয়ে। জায়গাটি যোরহাটের ঠিক পাশেই।
দেড়গাঁওয়ের লাচিত বারফুকান পুলিশ ব্যারাকে রাত যাপন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লাচিত বারফুকান পুলিশ ব্যারাকের প্রথম দফার সংস্কারের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সেটিরই উদ্বোধন করার কথা অমিত শাহর। দেড়গাঁওয়ের কর্মসূচি শেষ করে তিনি রওনা দেবেন মিজোরামের উদ্দেশে।
আজ সন্ধ্যায় তাঁর ফিরে আসার কথা গুয়াহাটিতে। রাত যাপন করার কথা সেখানেই। এরপর আগামীকাল রবিবার সকালে তাঁর যাওয়ার কথা আসামের কোকরাঝাড়ের দটমায়। সেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মারও।
এরপর বিকেলে গুয়াহাটি ফিরে উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অমিত শাহর। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের পাশে চীন-রাশিয়া

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
পারমাণবিক আলোচনায় ইরানের পাশে চীন-রাশিয়া

চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার বৈঠক হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা আলোচনা নতুন করে শুরু করা যাবে। ২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এ চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর ধরে তেহরান ওই চুক্তি মেনে চলেছিল। পরে তারাও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে।
চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা তখন থেকে ভেস্তে যায়। বেইজিং বলেছে, তারা আশা করে কম সময়ের মধ্যে ওই আলোচনা নতুন করে শুরু করতে যে তৎপরতার প্রয়োজন, তা আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে দৃঢ় হবে। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে জুমার নামাজ

শেয়ার
জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে জুমার নামাজ

রমজানে জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে গতকাল জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।     ছবি : এএফপি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ