ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে অন্তত ১৬ মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সুকমা জেলায় গোলাগুলির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশের বস্তার রেঞ্জের আইজিপি সুন্দারাজ পি বলেছেন, চলতি বছর কেবল ছত্তিশগড়েই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩২ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছে। কেরলপাল থানার অন্তর্গত জঙ্গলে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের বিপুল অস্ত্র জব্দ করেছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেরলপাল এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতি খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযানে নামে ডিআরজি ও সেন্ট্রাল পুলিশ রিজার্ভ ফোর্স (সিপিআরএফ)। এর আগে গত ১৯ মার্চ বীজাপুরের গঙ্গালুর থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৬ সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়।
সেখান থেকেও বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ওই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। গত মঙ্গলবার দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমানায় সংঘর্ষে নিহত হয় আরো তিন মাওবাদী।
আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদীমুক্ত’ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
২০২৩ সালে ছত্তিশগড়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদী দমন অভিযানে যৌথ বাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়, এরপর থেকেই পুরোদমে শুরু হয় দমন অভিযান।
কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬ : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার বনাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে চার পুলিশ সদস্য ও দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘রাইজিং স্টার কর্পস’ জানায়, জম্মুর দক্ষিণাঞ্চলের বনাঞ্চলে ‘নিরবচ্ছিন্ন অভিযান’ চালিয়ে ‘দুই সন্ত্রাসীকে নির্মূল’ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা তিনজন পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং আরো এক পুলিশ সদস্য ও দুই বিদ্রোহীর মরদেহ বনাঞ্চলে পড়ে থাকতে দেখেছি।’ সূত্র : এনডিটিভি, রয়টার্স