<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পবিত্র রমজান মাস আসন্ন। দুই মাসের কম সময় বাকি। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজার অস্থির হতে শুরু করেছে। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রোজার আগে আগে দাম আরো অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। আর এ জন্য এরই মধ্যে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নানা রকম অজুহাত তুলে ধরা শুরু হয়ে গেছে। চালের দাম এরই মধ্যে কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। শুল্ক কমানোর পরও সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি আট টাকা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। আর দুটি পণ্যের দামই সাধারণ মানুষকে খুব বেশি প্রভাবিত করে। অন্যদিকে রমজানে সয়াবিন তেলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ রমজানে কী হবে, সেটি ভেবে এ ধরনের অস্বস্তিতে আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাঁদের মতে, কিছুদিন আগেও ১১৭-১১৮ টাকায় যে ডলার কেনা যেত, এখন সেই ডলার কিনতে ব্যয় হয় ১৩০ টাকা পর্যন্ত। আছে ব্যাংকঋণের বাড়তি সুদ। বেড়ে গেছে পরিবহন খরচ। সব মিলিয়ে আমদানি পর্যায়েই খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের এই যুক্তিকে স্বীকার করেও বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব কারণে বাজারে যে পরিমাণ দাম বাড়ার কথা, বেড়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে। কারণ এর মধ্যে সরকার এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও অনেক পণ্যের দাম কমেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু এ বছর নয়, আগেও দেখা গেছে রোজা শুরুর দু-তিন মাস আগে থেকেই বাজারে পণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। আর এ জন্য প্রতিবছরই প্রায় একই ধরনের যুক্তি বা অজুহাত দেওয়া হয়। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, রমজানে কিছু পণ্যের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। আর এই বর্ধিত চাহিদার সুযোগ নেয় ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের নানা ধরনের সিন্ডিকেট। শুরু হয় নানা ধরনের কারসাজি। সরবরাহ বিঘ্নিত করে সাময়িক ঘাটতি তৈরি করা হয়। ফলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। আর এভাবে প্রতিবছরই অন্যায়ভাবে রমজানের অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এ জন্য তাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন। তাঁদের মতে, বাজারে তদারকি বাড়াতে হবে। মজুদদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যায়ভাবে মুনাফা করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ট্রাক সেল, ওপেন মার্কেট সেল, ফ্যামিলি কার্ড ও অন্যান্য মাধ্যমে বাজারে হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক বৈরী পরিস্থিতিও মানুষ মুখ বুজে সহ্য করছে। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে মানুষ খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আসন্ন রমজান মাসেও যদি পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়, তাহলে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেও যেতে পারে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।</span></span></span></span></p>